আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
298 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
নামাজের মধ্যে বায়ুবাতাস হলে, ওযু করে নামাজ কোথা থেকে শুরু করতে হবে?নামাজের মধ্যে বায়ু বাতাসের বেগ ধরে রাখলে কি নামাজ হবে? যদি নামাজের মধ্যে বায়ু বাতাস বের হয় তাহলে কি ওজু করে এসে নামাজ আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (582,780 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামাযের মধ্যে বায়ূ বের হওয়ার উপক্রম হলে, প্রথমে চেপে রাখার চেষ্টা করা হবে।যদি সম্ভব না হয়, বরং অশান্তির পর্যায়ে চলে যায়, তাহলে তখন বায়ূ ছেড়ে দিয়ে তারপর মসজিদ থেকে বের হয়ে কারো সাথে কথা বলা ব্যতিত অজু করতে হবে। অজু করার পর মসজিদে এসে ফলো করতে হবে এখন ইমাম সাহেব কোন রা'কাতে/রুকুনে আছেন, ইমাম সাহেবকে যেই রুকুনে রেখে এসেছিলেন,যদি তিনি সেই রুকুনে থাকেন, তাহলে ঐ ব্যক্তি সাথে সাথেই ইমাম সাহেবের সাথে শরীক হয়ে যাবে। অার যদি দেখা যায় যে, ইমাম সাহেব কিছু সামনে অগ্রসর হয়ে গেছেন, তাহলে ঐ ব্যক্তি প্রথমে একাকি (বিনা কিরাতে) সেই রুকুন গুলো পূর্ণ করবেন,তারপর ইমাম সাহেবের সাথে শরীক হবেন।

ফাতাওয়ায় হিন্দিয়ায় বলা হয় যে,
(الْبَابُ السَّادِسُ فِي الْحَدَثِ فِي الصَّلَاةِ) مَنْ سَبَقَهُ حَدَثٌ تَوَضَّأَ وَبَنَى. كَذَا فِي الْكَنْزِ.
وَالرَّجُلُ وَالْمَرْأَةُ فِي حَقِّ حُكْمِ الْبِنَاءِ سَوَاءٌ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَلَا يُعْتَدُّ بِاَلَّتِي أَحْدَثَ فِيهَا وَلَا بُدَّ مِنْ الْإِعَادَةِ هَكَذَا فِي الْهِدَايَةِ وَالْكَافِي وَالِاسْتِئْنَافُ أَفْضَلُ. كَذَا فِي الْمُتُونِ وَهَذَا فِي حَقِّ الْكُلِّ عِنْدَ بَعْضِ الْمَشَايِخِ وَقِيلَ هَذَا فِي حَقِّ الْمُنْفَرِدِ قَطْعًا وَأَمَّا الْإِمَامُ وَالْمَأْمُومُ إنْ كَانَا يَجِدَانِ جَمَاعَةً فَالِاسْتِئْنَافُ أَفْضَلُ أَيْضًا وَإِنْ كَانَا لَا يَجِدَانِ فَالْبِنَاءُ أَفْضَلُ صِيَانَةً لِفَضِيلَةِ الْجَمَاعَةِ وَصُحِّحَ هَذَا فِي الْفَتَاوَى كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ
الفتاوى الهندية» (1/ 93)
যদি কারো নামাযে হাদাস হয়, তাহলে সে অজু করে এসে বিনা কিরাতে নামাযকে সম্পন্ন করে ইমামের সাথে শরীক হবে। এ বিধানে নারী পুরুষ সবাই সমান। যে রুকুনে অজু ভঙ্গ হয়েছে, সেই রুকুনকে নামায হিসেবে গণ্য করা যাবে না। বরং ঐ রুকুনকে অজু করে এসে পূনরায় পড়া অত্যাবশ্যকীয়। হ্যা, তবে আবার নতুনভাবে ঐ সব নামাযকে পূনরায় পড়ে নেওয়া উত্তম। এবং এ বিধান প্রায় সবার জন্য প্রযোজ্য। এবং কেউ কেউ বলেন, এ বিধান মুনফারিদের জন্য প্রযোজ্য। যদি ইমাম এবং মুক্তাদির নামাযে অজু ছুটে যায়, এবং অজু করার পর যদি জামাতকে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তাদের নতুনভাবে জামাতে শরীক হওয়াই উত্তম। আর যদি তারা জামাতকে না পান, তাহলে তাদের জন্য বিনা তথা বিনা কিরাতে উক্ত নামায সমূহ পড়ে সালাম ফিরানো উত্তম। কেননা এতকরে জামাতের সওয়াব পাওয়া যাচ্ছে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াা-১/৯৩) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/17138


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...