আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।

নবী স.) কখন থেকে নবী ছিলেন?
সৃষ্টির শুরুর সময় নাকি পরবর্তী সময়ে? যদি পরবর্তী সময়ে হয়ে থাকে তাহলে সকল নবীদের থেকে আল্লাহ তায়ালা কেন নবী (স.) এর উপর ইমান আনালেন? হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে, সাহাবায়ে কেরামগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কখন থেকে নবী? বা আপনাকে কখন নবুয়তি দেয়া হয়েছে? রাসূলে পাক (সা.) বললেন-আমি তখনও নবী ছিলাম যখন আদম (আ.) রূহে এবং শরীরে অবস্থান করছিলেন অর্থাৎ হযরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করার পূর্ব থেকেই আমি নবী (তিরমীজি শরীফ-দ্বিতীয় খÐ : পৃষ্ঠা-২০২, মিশকাত শরীফ : পৃষ্ঠা-৫১৩)।  এই হাদিস কি জাল?


এই ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা কি?


বিস্তারিত জানতে চাই।
জাযাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (726,120 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' কে প্রথম থেকেই নবী বানিয়ে প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো, অতপর যখন উনার বয়স ৪০ হল, তখন নিয়মতান্ত্রিকভাবে উনাকে নবী ও রাসূল বানিয়ে প্রেরণ করা হয়। 

في سنن الترمذي: عن أبي هريرة، قال: قالوا يا رسول الله متى وجبت لك النبوة؟ قال: ’’وآدم بين الروح والجسد‘‘ اھـ
وفي العرف الشذي شرح سنن الترمذي:تحت قوله: (متى وجبت لك النبوة؟ قال: وآدم بين الروح والجسد إلخ) أي كان النبي (ص) نبياً وجرت عليه أحكام النبوة من ذلك الحين، بخلاف الأنبياء السابقين، فإن الأحكام جرت عليهم بعد البعثة كما قال مولانا الجامي أنه كان نبياً قبل النشأة العنصرية اھـ (۲/۲۰۳)۔

وفي الترمذي: عن عباس قال: ٲنزل علی رسول اللہ ۔ صلی اللہ علیہ وسلم ۔ وھو ابن ٲربعین فٲقامه بمکة ثلاثة عشر و بالمدینة عشر وتوفي وھو ابن ثلاث وستین، ھذا حدیث حسن صحیح اھـ (۲/۲۰۳)۔

وفي مشکاۃ المصابیح: عن ابن عباس ۔ رضي اللہ عنه ۔ قال: بعث رسول اللہ ۔ صلی اللہ علیہ وسلم ۔ لأربعین سنة اھـ (۲/۵۳۰)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...