আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in সাওম (Fasting) by (10 points)
edited by
১। রমাদ্বানের কাযা সিয়াম যে বছরের যে রোজা কাযা করছি তার উল্লেখ নিয়তে করতে হয়। কোন বছর কতটা কাযা গিয়েছে নির্দিষ্ট করতে না পারলে জীবনের সর্বপ্রথম কাযা রোজা রাখছি এরকম নিয়তে উল্লেখ রাখতে হয়। কিন্তু আমি এ মাসআলা যখন জানতাম না তখন কখনোই এভাবে উল্লেখ করে কাযা রোজা রাখিনি।
বরং আমি প্রথম প্রথম কিছু রোজা প্রথম দিকের বছর থেকে রেখেছিলাম, কিন্তু অনেক দিন পরে এই রোজাগুলোই পেছনের দিকের বছর থেকে ধরে নিয়ে বাকি দিনগুলোর হিসাব তুলে রেখেছি। (অর্থাৎ প্রথম দিকের বছরের রোজাগুলোর কাযা বাকি রয়েছে হিসেবে হিসাব রেখেছি)
তখন প্রত্যেক বছরের সবগুলো রোজার হিসাব ছিল আমার কাছে। কিন্তু এখন আর আমার মনে নেই পেছনের বছরগুলোতে কতটি রোজা করে কাযা গিয়েছিল। আমার কাছে শুধু প্রথম দিকের ৫ বছর(১৪৩৬ থেকে ১৪৪০ সন) এবং ১৪৪৬ সনের কাযা রোজার হিসাব আছে। এক্ষেত্রে আমার আসলে কী করণীয়?

২। কিছু সিয়ামের (আনুমানিক ৭টা) হিসাব নিয়ে কনফিউশানে আছি, যে ঐগুলো সত্যি রেখেছিলাম কিনা ভালোভাবে মনে পড়ছে না। এক্ষেত্রে আমার কী করণীয়?

৩। রমাদ্বানের রোজার কাযার নিয়ত রাতে করতে হয়, নয়তো ঐ সিয়াম বিশুদ্ধ হয় না। আমি এ মাসে একটা সিয়াম কাযা নাকি শাউয়ালের রাখব ঠিক করতে পারছিলাম না, তবে সিয়ামের নিয়তে সেহরি খেয়ে সিয়াম রেখেছিলাম। সুবহে সাদিকের পর ঠিক করি এটা কাযা রাখব। এবং তখন আমার এই মাসআলা জানা ছিল না। এখন এর জন্য হুকুম কি হবে?

৪। ছেলে/মেয়েরা কখন বালেগ হয়? জীবনের প্রথমবার স্বপ্নদোষ/হায়েজ হওয়ার সাথে কী এটা সম্পর্কিত?

যদি তাদের অন্যান্য শারীরিক গ্রোথ (কোন রোগ ব্যাতীত স্বাভাবিকভাবেই) স্বপ্নদোষ/হায়েজ হওয়ার পূর্বেই হয় তাহলে কখন থেকে বালেগ ধরব?

তারা কাযা সিয়াম ও সালাতের উমরি কাযা কী স্বপ্নদোষ/হায়েজ হওয়ার পর থেকে শুরু করবে?

৫। তাহলে আমলনামায় আমলের হিসাব লিপিবদ্ধ করা কখন থেকে শুরু হয়েছে ধরব?

এর আগে করা গুনাহের জন্য কী ক্ষমা চাইতে হবে? নাকি যখন থেকে আমলনামায় সওয়াব-গুনাহ লিপিবদ্ধ হচ্ছে তখন থেকে করা গুনাহগুলোর জন্য পরিপূর্ণরূপে ক্ষমা চাইলে হবে?

1 Answer

0 votes
by (616,290 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
বালেগ/বালেগাহ হওয়ার পর থেকে আপনার আর কয়টি অনাদায়ী কাজা রোযা আছে,প্রবল ধারণার ভিত্তিতে সেটি মনে করে তার কাজা আদায় করে নিবেন।

(০২)
আপনার প্রবল ধারণা কোন দিকে হয়,তার উপর আমল করবেন।

কোনোদিকেই প্রবল ধারণা না হলে সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক সেই ৭ টি রোযা রাখার পরামর্শ থাকবে। 

(০৩)
https://www.ifatwa.info/22627/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-

রমজানের কাজা রোজাসাধারণ মানতকাফফারা ও যিহারের কাফফারা রোজার নিয়ত রাতে না করলে রোজা বিশুদ্ধ হবে না।

 

হাদীস শরীফে এসেছে। উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা. বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

 من لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.

যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।

(সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩)

 

২. আর রমজান মাসের রোজানির্দিষ্ট মানতের রোজা ও নফল রোজার নিয়ত রাত থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা যাবে। 


হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً يُنَادِي فِي النَّاسِ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ " أَنْ مَنْ أَكَلَ فَلْيُتِمَّ أَوْ فَلْيَصُمْ، وَمَنْ لَمْ يَأْكُلْ فَلاَ يَأْكُلْ ".


সালমা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ‘আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠালেনযে ব্যাক্তি খেয়ে ফেলেছে সে যেন পূর্ণ করে নেয় অথবা বলেছেনসে যেন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) আদায় করে নেয় আর যে এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়। সহীহ বুখারী১৮০২)

 

রমজানের ফরজ রোযা/নফল রোযার নিয়ত রাত থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করতে পারবেন।

আর কাজা রোযার নিয়ত রাতের মধ্যেই করতে হবে।
ফজরের ওয়াক্ত চলে আসলে আর কাজা রোযার নিয়তের সুযোগ নেই।

আরো জানুনঃ- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে পুনরায় সেই কাজা রোযাটি আদায় করতে হবে।

(০৪)
ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত হল, স্বপ্নদোষ, বীর্যপাত, অথবা ছেলে এমন বয়সে উপনীত হওয়া যে, তার বীর্য গর্ভ ধারণ করার উপযুক্ত হয়ে গেছে। 

আর মেয়েদের বালেগাহ হওয়ার আলামত হল, স্বপ্নদোষ, হায়েয, এবং গর্ভ ধারণের সক্ষম হওয়া।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৫)
বালেগ/বালেগাহ হওয়ার পর থেকে আমলনামায় আমলের হিসাব লিপিবদ্ধ করা শুরু হয়েছে,বলে ধরবেন।

এর আগে করা গুনাহের জন্য ক্ষমা চাইতে হবেনা।

যখন থেকে আমলনামায় সওয়াব-গুনাহ লিপিবদ্ধ হচ্ছে তখন থেকে করা গুনাহ গুলোর জন্য পরিপূর্ণরূপে ক্ষমা চাইলে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 56 views
...