জবাবঃ-
(০১)
বালেগ/বালেগাহ হওয়ার পর থেকে আপনার আর কয়টি অনাদায়ী কাজা রোযা আছে,প্রবল ধারণার ভিত্তিতে সেটি মনে করে তার কাজা আদায় করে নিবেন।
(০২)
আপনার প্রবল ধারণা কোন দিকে হয়,তার উপর আমল করবেন।
কোনোদিকেই প্রবল ধারণা না হলে সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক সেই ৭ টি রোযা রাখার পরামর্শ থাকবে।
(০৩)
রমজানের কাজা রোজা, সাধারণ মানত, কাফফারা ও যিহারের কাফফারা রোজার নিয়ত রাতে না করলে রোজা বিশুদ্ধ হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছে। উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.
যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।
(সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩)
২. আর রমজান মাসের রোজা, নির্দিষ্ট মানতের রোজা ও নফল রোজার নিয়ত রাত থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً يُنَادِي فِي النَّاسِ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ " أَنْ مَنْ أَكَلَ فَلْيُتِمَّ أَوْ فَلْيَصُمْ، وَمَنْ لَمْ يَأْكُلْ فَلاَ يَأْكُلْ ".
সালমা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ‘আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠালেন, যে ব্যাক্তি খেয়ে ফেলেছে সে যেন পূর্ণ করে নেয় অথবা বলেছেন, সে যেন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) আদায় করে নেয় আর যে এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়। সহীহ বুখারী, ১৮০২)
রমজানের ফরজ রোযা/নফল রোযার নিয়ত রাত থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করতে পারবেন।
আর কাজা রোযার নিয়ত রাতের মধ্যেই করতে হবে।
ফজরের ওয়াক্ত চলে আসলে আর কাজা রোযার নিয়তের সুযোগ নেই।
আরো জানুনঃ-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে পুনরায় সেই কাজা রোযাটি আদায় করতে হবে।
(০৪)
ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত হল, স্বপ্নদোষ, বীর্যপাত, অথবা ছেলে এমন বয়সে উপনীত হওয়া যে, তার বীর্য গর্ভ ধারণ করার উপযুক্ত হয়ে গেছে।
আর মেয়েদের বালেগাহ হওয়ার আলামত হল, স্বপ্নদোষ, হায়েয, এবং গর্ভ ধারণের সক্ষম হওয়া।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৫)
বালেগ/বালেগাহ হওয়ার পর থেকে আমলনামায় আমলের হিসাব লিপিবদ্ধ করা শুরু হয়েছে,বলে ধরবেন।
এর আগে করা গুনাহের জন্য ক্ষমা চাইতে হবেনা।
যখন থেকে আমলনামায় সওয়াব-গুনাহ লিপিবদ্ধ হচ্ছে তখন থেকে করা গুনাহ গুলোর জন্য পরিপূর্ণরূপে ক্ষমা চাইলে হবে।