আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
নানু সারাক্ষণ নিজের প্রশংসা করে আর অন্যদের বদনাম করে সে কন্টিনিউয়াসলি বাবার কাছে আসে এবং বাবাকে মায়ের side এর অন্যান্য আত্মীয়দের সম্পর্কে খারাপ ধারণা তৈরি করায় এমনকি সে নানার নামেও গীবত করে মামার নামেও করে আমার নানির সাথে কারোরই ভালো সম্পর্ক নেই (তীব্র খারাপ নানাভাই নানা আপু আলাদা রান্না করে খায়)  শুধুমাত্র আমার বাবা ছাড়া। বাবা এমনি introvert টাইপের মানুষ কারো সাথে মিশেনা ফলে কে কেমন তা সে বুঝতে পারে না শুধুমাত্র নানীর কথা বিশ্বাস করে সংসারে অশান্তি করে আমার মায়ের সাথে প্রতিনিয়ত তার ঝগড়া লাগে। মা খুব সহ্য করে। পাঁচ বছর ধরে একই অবস্থা। বাবা খুবই সহজ সরল টাইপের মানুষ এই সমস্ত ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সংসারে কথা না বললেই হয় কিন্তু নানি এমন সমস্ত কথা বলেযায় পরে মাকে এসব ব্যাপার নিয়েই খোঁচাতে থাকে আমাদেরকে নাকি আমাদের নানাভাই নষ্ট করে ফেলেছে আরো অনেক আজেবাজে কথা। মা নানুর পা ধরে বলে এসেছে আমার সংসারে আগুন লাগাবেন না। এখন আমার নানী তার বোনদের কথা বলছে তার বোনরা ভালো না( আসলে আমি খুব সংক্ষিপ্ত করে কথা বলছি বিষয়টা খুবই গুরুতর পর্যায়ে চলে গিয়েছে ) আমার বাবা আমার মায়ের সাইডের কোনো আত্মীয়দের দেখতে পারে না। বাবার সাথে একসময় সবার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল সবাই বাবাকে এখনো খুব ভালোবাসে কিন্তু নানুর এসব কথার কারণে বাবা উনাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এখন বাবাকে সবাই অপছন্দ করা শুরু করেছে। আমি কি নানুর বোনদের বলতে পারব যে নানু এসে বাবার কাছে বানিয়ে বানিয়ে বলে যে তার বোনেরা খারাপ এজন্য বাবা নানুর বোনদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। এটা বললে কি গীবত হয়ে যাবে? (নানুর সম্পর্কে আসলে কেউ ভালো ধারণা পোষণ করে না) এখন বাবার ইমেজ সবার কাছে খারাপ করে ফেলছে তাই বলতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (643,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ). 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) এই হাদীসের সনদে কালাম থাকার ধরুণ মুহাদ্দিসিনে কেরাম এটা যঈফ হাদীস বলে বিবেচনা করেছেন।

প্রকাশ্যে গোনাহে জড়িত ফাসিক যে, নিজের গোনাহ প্রকাশ হওয়া সম্পর্কে কোনো প্রকার পরওয়াহ করে না।এমন ব্যক্তিদের কৃত পাপ সম্বন্ধে লোকদের সতর্ক করা হবে ও বারণ করা হবে।তার ফিসক ও গোনাহ অন্যর জন্য আলোচনা সমালোচনা এজন্য বৈধ যে, সে গোনাহে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যমে নিজে নিজের নফসের হুরমতকে নষ্ট করে ফেলেছে।তবে সাবধান তার এমন কোনো আলোচনা করা যাবে না,যা সে নিজেও লুকিয়ে রাখতে চায়,এবং সে যা করেনি তাও আলোচনা করা যাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2114

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নানি যেহেতু সদাসর্বদা আপনার বাবাকে দিয়ে উনার পরিবারের অন্যান্য আত্মীয়দের সাথে ঝগড়া বাধাতে চান, তাই আপনি সবাইকে আপনার নানি সম্পর্কে সতর্ক করতে পারবেন। এখানে গিবত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...