আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
83 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
মুহতারাম
বড় দুঃখ নিয়ে লিখছি ।


বিয়ে হল বেশি দিন হয়নি। আমি বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি, আমার স্বামীর সাথে কাজের বুয়ার নিয়মিত চোখাচোখি হয়। প্রথমে খুব সাধারণ ঘটনা বা স্বাভাবিক ভাবেই নিতাম। কিন্তু ঘটনা তা না। কাজের মহিলা যেন উদগ্রীব হয়ে থাকে আমার যাওজের এক পলক নজর এর জন্য! অল্প জায়গায় পাশ দিয়ে হেঁটে যায়, নিজ থেকে কথা বলবে ভাইয়া দেখি আমি করে দিচ্ছি/ভাইয়া সরেন ইত্যাদি,যা ইদানিং বেশি খেয়াল করছি,ওড়না ছাড়া একবার মহিলাটাকে আমার স্বামীর সামনে দেখি আর এ অবস্থায় আমার যাওজ তার সামনে পড়ে যাওয়ায় সে উৎফুল্ল! অর্থাৎ নানাভাবে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে পরপুরুষের সামনে।


মহিলা একই সাথে ডিভোর্সী এবং বিধবা।তার এক প্রেমিক ছিল বিয়ের প্রলোভন দেখাত। দুই তিন মাস আগে লোকটার বউ জেনে যাওয়ায় তাদের সম্পর্কে ছেদ পড়ল। এখন সে হয়ত অন্য পুরুষদের দিকে ঝুঁকছে বা অজান্তেই আগ্রহ জন্মাচ্ছে। আবার বিয়ের কথা বললে বলে বিয়ে করবেনা নাকি। ছেলেমেয়ে মানুষ করাই নাকি লক্ষ্য। আগে শুনতাম মানুষ এইধরনের মেয়েলোক থেকে সতর্ক থাকত/স্বামীকে সাবধানে রাখত। আসলেই খারাপ লাগলেও এটাই ঠিক আছে কারণ তারা জামাইয়ের অভাব বেশি অনুভব করে+অভিজ্ঞতা আছে।
আর আমার স্বামীও কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ছে। দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।এটা তো হবেই কারণ পুরুষরা নারী ফিতনা থেকে সহজে বাঁচতে পারেনা। এক বুযূর্গ বলেছিলেন 'আমি নিজেকে কুৎসিত বিকৃত চেহারার দাসীর থেকেও নিরাপদ মনে করিনা'। আসলেই এটা বাস্তব হালত পুরুষদের।
আমি এখন কি করব বুঝতে পারছি না। স্বামীকে কিভাবে নিজের মনের হালত এর কথা বলব? এসব নিয়ে কথা বললে উনি কষ্ট পাবেন তার রাগ বেশি,নাকি শাশুড়ি মার সাথে আলাপ করব এই বুয়াকে বিদায় করার জন্য?
by (1 point)
+1
Pls Sister, joto taratari sombob, kajer buaa ke biday korun, take bad diye din.
by (17 points)
edited by
ইন শা আল্লাহ আল্লাহ তাকে বিদায় করে দিবেন..
by (17 points)
edited by
////////////

1 Answer

0 votes
by (616,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ؛ فَإِنَّمَا  لَكَ الْأُولَى وَلَيْسَتْ لَكَ الْآخِرَةُ “

হযরত বুরাইদা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ  হযরত আলী রাঃ কে বলেন, হে আলী! [সহসা] একবার দেখার পর পুনরায় [কোন বেগানা নারীকে] দেখো না। কারণ, তোমার জন্য প্রথমবারে অনুমতি রয়েছে [যখন তা অনিচ্ছায় হয়ে যাবে], কিন্তু দ্বিতীয়বারের অনুমতি নেই।
 {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২৯৭৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৭৫১, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৪৯, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৭৭৭}

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَنْظُرُ إِلَى مَحَاسِنِ امْرَأَةٍ أَوَّلَ مَرَّةٍ، ثُمَّ يَغُضُّ بَصَرَهُ إِلَّا أَحْدَثَ اللهُ لَهُ عِبَادَةً يَجِدُ حَلَاوَتَهَا “

হযরত আবু উমামা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে কোন মুসলমান কোন নারীর সৌন্দর্যের প্রতি হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে যায়, অতঃপর সে নিজ চক্ষু নিচু করে নেয়, তবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য এক ইবাদতের সুযোগ সৃষ্টি করেন, যাতে সে তার স্বাদ পায়। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২২৭৮}

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দ্রুত সেই কাজের মহিলাকে বিদায় করতে হবে।

প্রয়োজনে শাশুড়ীর সাথে আলোচনা করে দ্রুত সেই কাজের মহিলাকে বিদায় করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...