আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
সম্মানিত উস্তাদ আমার একটি প্রশ্ন ছিল
আমি কিছুদিন আগে উমরাহ করে এসেছি আলহামদুলিল্লাহ। আমি উমরাহ উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হায়েজ অবস্থায় ছিলাম,আমার হায়েজের ৬ দিনের সময় উমরাহ করার জন্য কোনো উপায় না দেখে
ঔষধ খেয়ে ব্লাড বন্ধ করেছিলাম,,এভাবে কয়েকদিন ঔষধ খাওয়ার পর আর বাল্ড যাবেনা মনে করে ঔষধ বন্ধ করায় কিছুদিন পর আবার বাল্ড যাওয়া শুরু হয় তখন হায়েজ হওয়ার পর  ১১ দিন ছিল,, সেদিন ২য় উমরাহ এর নিয়ত করার পর হঠাৎ এই সমস্যা দেখা দেয়,,তখন আমাদের কাফেলার মুয়াল্লিম বলেছিলেন এটি ঔষধ  বন্ধের কারণে হওয়ায় অসুস্থতা ধরা হবে,, তাই উমরাহ করতে পারবে বলায় উমরাহ করেছিলাম।তবে আমার এই বিষয় নিয়ে অনেক কনফিউশন হচ্ছে এবং ভয় হচ্ছে কোনো ভুল হয়েছে কিনা তাই এই বিষয়টির সমাধান দিলে মুনাসিব হয়।আবার দেশে আসার পর ঔষধ বন্ধ করায় আবার ব্লাড যাচ্ছে তবে আমি ওনার কথা  অনুযায়ী ইস্তিহাযা ধরেই সলাত আদায় করছি।

বি:দ্র: সম্মানিত উস্তাদ,, এই ধরনের ঔষধ বন্ধ করলেই নাকি ব্লাড যায় আবার এইটা জানতে পারছি,,তবে ইস্তিহাযা হবে কিনা তা বুঝতেছি না।
আমাকে একটু সাহায্য করেন এই বিষয়ে না হয় আমার উমরাহ যদি সহিহ না হয় উল্টো গুনাহ হয়(আল্লাহ না করুক) এই ভয়ে আছি।

1 Answer

0 votes
by (616,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২য় উমরাহ এর নিয়ত করার পর আপনার যে ব্লাড দেখা গিয়েছিলো,এটা যদি আগের হায়েজ বন্ধ হওয়ার পরদিন থেকে হিসাব করে ১৬ দিন পর আসে এবং সর্বনিম্ন ৩ দিন পর্যন্ত আসে,বা ৩ দিনের মধ্যে না আসলেও ১০ দিনের মধ্যে আসে,সেক্ষেত্রে এটি হায়েজ।

অন্যথায় এটি ইস্তেহাজা। 
এমতাবস্থায় আপনার উমরাহ আদায় হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...