বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع -
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1900
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তার কৃষি বাবৎ যা উপার্জন হবে, সেই টাকা দিয়ে তথা ধান গম ইত্যাদি বিক্রির টাকা দিয়ে যদি কুরবানিতে শরীক হয়, তাহলে ঐ ব্যক্তির সাথে কুবানিতে শরীক হওয়া হওয়া যাবে। তবে ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত বেতন দ্বারা কুরবানিতে শরীক হলে, তখন ঐ ব্যক্তির সাথে কুরবানিতে শরীক হওয়া যাবে না।
(২)
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1642
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রয়োজন অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ মালের মালিকের উপরই মূলত কুরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে। সুতরাং গরু এবং বাছুর যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয়, অর্থাৎ লোক দেখানো বা শখের বশে পালন করা হয়, হালচাষ বা দুধপানের জন্য না হয়, তাহলে এই গরু এবং বাচুর প্রয়োজন অতিরিক্ত হিসেবে গণ্য হবে। সবমিলে ৫২.৫ ভড়ি রূপার সমমূল্যের হয়ে গেলে তখন কুরবানি ওয়াজিব হবে।