আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (21 points)

২ জনে মিলে একটি গরু কিনেছে কুরবানীর জন্য। 
আমাকে অংশীদার হতে বলেছে। 
২ জনের মধ্যে একজন ব্যাংকে চাকরি করে। তার কাজ মানুষ কে ঋণ দেওয়া এবং তা আদায় করা। 
ধারণা মতে , চাকরির উপার্জন দিয়ে সে গরুর অংশীদার হয়েছে। 
তার হালাল উপার্জনের উৎস (কৃষি) ও  আছে।

প্রশ্ন ১: এখন সে কিভাবে তার হালাল উপার্জনের উৎস কৃষি থেকে উক্ত কুরবানীর গরুতে অংশীদার হতে পারে?

প্রশ্ন ২: আমার স্ত্রীর ১২,৫০০ টাকা + ১টি গরু ও ১টি বাছুর রয়েছে (যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৮০, ০০০ টাকা এর বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে না)
গরু-বাছুর বর্তমানে বিক্রির নিয়ত নেই, লালন পালন করে বড় করার নিয়ত আছে। এতে কি কুরবানীর দিনগুলোতে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে? 

   

1 Answer

0 votes
by (648,600 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن  كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع - 
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তার কৃষি বাবৎ যা উপার্জন হবে, সেই টাকা দিয়ে তথা ধান গম ইত্যাদি বিক্রির টাকা দিয়ে যদি কুরবানিতে শরীক হয়, তাহলে ঐ ব্যক্তির সাথে কুবানিতে শরীক হওয়া হওয়া যাবে। তবে ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত বেতন দ্বারা কুরবানিতে শরীক হলে, তখন ঐ ব্যক্তির সাথে কুরবানিতে শরীক হওয়া যাবে না।

(২)
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1642

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রয়োজন অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ মালের মালিকের উপরই মূলত কুরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে। সুতরাং গরু এবং বাছুর যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয়, অর্থাৎ লোক দেখানো বা শখের বশে পালন করা হয়, হালচাষ বা দুধপানের জন্য না হয়, তাহলে এই গরু এবং বাচুর প্রয়োজন অতিরিক্ত হিসেবে গণ্য হবে। সবমিলে ৫২.৫ ভড়ি রূপার সমমূল্যের হয়ে গেলে তখন কুরবানি ওয়াজিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...