আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in সালাত(Prayer) by (17 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ্ উস্তায,

১. বিতরের নামায তাহাজ্জুদ ওয়াক্তে পড়বো ভেবে ঘুমিয়ে পরলাম, কিন্তু দেখা গেল তাহাজ্জুদে উঠতে পারিনি। ফজরের আযানের পরে উঠেছি, সেক্ষেত্রে কি বিতরের নামায কাযা করতে হবে?

২. বিতরের ওয়াজিব নামায কি কাযা করতে হয়?

৩. উপরোক্ত পরিস্থিতিতে বিতর কাযা আগে করবো নাকি ফজর নামায পরবো?

৪. ফজর নামায দেরি করে আদায় করাতে নামায শেষ হতে হতে যদি নিষিদ্ধ সময়ের ৩/৪ মিনিট পার হয়ে যায়, তবে কি নামায হয়েছে? নাকি আবার কাযা করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (650,850 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) বিতরের নামায তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে পড়ার ইচ্ছা করার পর ঘুমিয়ে গেলে, তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে উঠতে না পারলে, ফজরের আযানের পরে উঠলে, সেক্ষেত্রে বিতরের নামাযকে কাযা করতে হবে। 

الفتاوى الهندية (1 / 111):
"ويجب القضاء بتركه ناسيًا أو عامدًا وإن طالت المدة ولايجوز بدون نية الوتر".

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2 / 6):
"أما في القضاء عند الناس فلايرفع حتى لايطلع أحد على تقصيره"

(২) বিতরের ওয়াজিব নামায কাযা আদায় করতে হয়।

(৩) উপরোক্ত পরিস্থিতিতে বিতরের কাযা আগে আদায় করবেন। তারপর ফজরের কাযা আদায় করবেন। 

(৪) ফজরের নামায দেড়ী করে আদায় করাতে নামায শেষ হতে যদি নিষিদ্ধ সময়ের ৩/৪ মিনিট পার হয়ে যায়, তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। আবার কাযা করতে হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/471


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...