ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রাণীকে ওজন বা পরিমাপন করে ক্রয় বিক্রয় করা শরীয়া আইনে দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ।
قال في الہدایة: لأن الحیوان لا یوزن عادة ولا یمکن معرفة ثقلہ بالوزن لأنہ یخفف نفسہ مرة بصلابتہ ویثقل أخری (الہدایة مع الفتح: ۷/۲۷) وفي الفتح: إنما قلنا: إن الحیوان لیس بموزون (لأنہ لا یوزن عادة) فلیس فیہ أحد المقدرین الشرعیین الوزن أو الکیل، لأن الحیوان لا یعرف قدر ثقلہ بالوزن لأنہ یثقل نفسہ ویخففہا فلا یدری حالہ․ (فتح القدیر ۷/۲۶، کتاب البیوع، ط: اشرفیہ)
জবাইয়ের পূর্বে মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে। ওজন করে হোক বা পরিমাপ করে হোক বা অন্য যেকোনো ভাবে হোক, জবাইয়ের পূর্বে পশুর মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।
بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع (5 / 158، 159):
"و جهالة الثمن تمنع صحة البيع ... لأنّ المانع من الصحة جهالة الثمن؛ لكونها مفضيةً إلى المنازعة."
মূল বিধান নিষিদ্ধতার থাকলেও বর্তমান সময়ে ওজন বা পরিমাপন করে প্রাণী বিক্রয়ের রুখসত ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।
" مسئلہ نمبر۱۴:۔۔۔ موجودہ دور میں جانوروں کو تول کر (وزن کرکے) خریدوفروخت کرنا بھی جائز ہے، ایسی قربانی بلاشبہ درست ہے۔" (قربانی کے احکام و مسائل از مفتی اعظم پاکستان مفتی ولی حسن ٹونکی رحمہ اللہ -
ص:21، ناشر: جامعہ علوم اسلامیہ بنوری ٹاؤن کراچی)
فتوی نمبر : 144310100518
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن
কুরবানির জন্য গোশত কখনো উদ্দেশ্য হতে পারবে না। বরং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনই উদ্দেশ্য হতে হবে।
رد المحتار علی الدر المختار:
" قد علم أن الشرط قصد القربة من الكل."
(6/ 326، كتاب الأضحية، ط: دار الفكر)
حاشیہ فتاویٰ عثمانی: (99/3، ط: معارف القرآن)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওজন বা পরিমাপন করে কুরবানির পশু ক্রয় করা জায়েয। তবে শর্ত হলো, জবাইয়ের পূর্বেই ওজন বা পরিমাপ করে অথবা অন্য যেকোনোভাবে মূল্যকে নির্ধারণ করে নিতে হবে। জবাইয়ের পূর্বে মূল্য নির্ধারণ না হলে, সেই পশু দ্বারা কুরবানি করা জায়েয হবে না।