আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাত। মুহতারাম আপনার কাছে একটি প্রশ্ন ছিল। যদি কেউ অসুস্থতা ও বয়সের কারণে ফজর ত নামাজে ঘুম থেকে উঠতে না পারে। তাহলে কি সে ফজর নামাজ কাজা করতে পারে বা তার কি ফজর নামাজ কাজা হবে? সে কি গুনাহগার হবে?

1 Answer

0 votes
by (633,330 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى

অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।

(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)

হাদীসে এসেছে,,
.
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِي ”
.
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি ঘুমিয়ে পড়ে অথবা ভুলে যায় তাহলে তার স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে নিবে। কেননা আল্লাহ বলেছেন, “আমার স্মরণে সালাত আদায় কর [ত্বাহাঃ ১৪]।
(সহীহ মুসলিম-হা/১৪৪১, ১৪৪২; সুনানে নাসাঈ-হা/৬১৫, ৬২০, ৬২১; মিশকাত-হা/৬০৩; মুসনাদে আহমাদ-হা/১২৯৩২, ১৩৫৫০; সুনানে বায়হাকী কুবরা-হা/৪১৮২; আবূ দাঊদ-হা/৪৪২; নাসায়ী-হা/৬১৩; তিরমিযী-হা/১৭৭, ১৭৮; ইবনে মাজাহ-হা/৬৯৮; সহীহ ইবনু হিব্বান-হা/১৫৫৬; ইরওয়া-হা/২৬৩)
.
حدثنا قتيبة، حدثنا حماد بن زيد، عن ثابت البناني، عن عبد الله بن رباح الانصاري، عن ابي قتادة، قال ذكروا للنبي صلى الله عليه وسلم نومهم عن الصلاة فقال “ انه ليس في النوم تفريط انما التفريط في اليقظة فاذا نسي احدكم صلاة او نام عنها فليصلها اذا ذكرها ” . وفي الباب عن ابن مسعود وابي مريم وعمران بن حصين وجبير بن مطعم وابي جحيفة وابي سعيد وعمرو بن امية الضمري وذي مخبر ويقال ذي مخمر وهو ابن اخي النجاشي . قال ابو عيسى وحديث ابي قتادة حديث حسن صحيح . وقد اختلف اهل العلم في الرجل ينام عن الصلاة او ينساها فيستيقظ او يذكر وهو في غير وقت صلاة عند طلوع الشمس او عند غروبها . فقال بعضهم يصليها اذا استيقظ او ذكر وان كان عند طلوع الشمس او عند غروبها . وهو قول احمد واسحاق والشافعي ومالك . وقال بعضهم لا يصلي حتى تطلع الشمس او تغرب
আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, লোকেরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন নিদ্রার বেলায় কোন গোনাহ নেই, গোনাহ হল জাগ্রত থাকার বেলায়। তোমাদের কেউ যদি সালাত আদায় করতে ভুলে যায় বা ঘুমিয়ে পড়ে তবে যে সময়ই মনে পড়বে তা আদায় করে নিবে।
(তিরমীজি-হা/১৭৭; সুনানে নাসাঈ-হা/৬১৬)
.
عن جابر بن عبد الله : أن عمر بن الخطاب جاء يوم الخندق بعدما غربت الشمس فجعل يسب كفار قريش قال يا رسول الله ما كدت أصلي العصر حتى كادت الشمس تغرب قال النبي صلى الله عليه و سلم ( والله ما صليتها ) . فقمنا إلى بطحان فتوضأ للصلاة وتوضأنا لها فصلى العصر بعدما غربت الشمس ثم صلى بعدها المغرب
.
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত-ওমর বিন খাত্তাব রা. খন্দকের দিন সূর্য ডুবার পর কুরাইশ কাফেরদের তিরস্কার করতে করতে এলেন। নবীজী সাঃ কে বললেন-“হে আল্লাহর নবী! আমি আসরের নামায পড়তে পারিনি এরই মাঝে সূর্য ডুবে গেছে”।
নবীজী সাঃ বললেন-“হায় আল্লাহ! আমরাওতো পড়তে পারিনি! তারপর আমরা সমতল ভূমিতে দাঁড়ালাম। আর তিনি নামাযের জন্য অযু করলেন। আর আমরাও নামাযের জন্য অযু করলাম। তারপর সূর্য ডুবে গেলেও প্রথমে আমরা আসর পড়লাম। তারপর মাগরিব পড়লাম।
(বুখারী শরীফ-হা/৫৬৯, ৬১৩, ৮৯৮, ১৩১৬; আল লুলু ওয়াল মারজান-হা/৩৬৬)
.
عن أنس بن مالك قال : سئل رسول الله صلى الله عليه و سلم عن الرجل يرقد عن الصلاة أو يغفل عنها قال : كفارتها يصليها إذا ذكرها
.
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কে নামায রেখে ঘুমিয়ে যাওয়া ব্যক্তি ও নামায সম্পর্কে গাফেল ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন-এর কাফফারা হল যখনই নামাযের কথা স্মরণ হবে তখনই তা আদায় করে নিবে।
(সহীহ ইবনে খুজাইমা-হা/৯৯১; মুসনাদে আবী আওয়ানা-হা/১০৪১; মুসনাদে আবী ইয়ালা-হা/৩০৬৫; মুসনাদে আহমাদ-হা/১৩২৬২; সুনানে নাসায়ী কুবরা-হা/১৫৮৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি যেহেতু ঘুমের কারণে এবং অসুস্থতার কারণে ফজরের নামাজ উঠতে পারেনি, নামাজ কাজা হয়ে গিয়েছে, এক্ষেত্রে ঘুম থেকে উঠার পর নামাজের নিষিদ্ধ টাইম না থাকলে সে ক্ষেত্রে নামাজকে দ্রুত কাজা করে নিবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবে।

সে ব্যক্তির জন্য করণীয় হলো পরবর্তীতে ফজরে উঠার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া,মোবাইলে এলার্ম দেয়া বা কাউকে জাগিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেয়া,ইত্যাদি ।

যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার পরেও ঘুমের প্রবলতা ও অসুস্থতার দরুন না উঠতে পারলে পরবর্তীতে দ্রুত কাজা আদায় করে নিলে সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...