আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
279 views
in সালাত(Prayer) by (61 points)
১। গত ৮ থেকে ১২ তারিখ আমি আমার দেশের বাড়িতে ছিলাম। এ সময় সফরে থাকার দরুন আমি ৮ তারিখ ইশা, ৯ তারিখ যোহর ও আসর প্রতিটি ২ রাকাত করে করে পড়ি। পরে আমার মনে পড়ে যে নিজের বাড়িতে গেলে কসর পড়তে নেই। ৯ তারিখ ইশা থেকে আমি প্রতিটা নামাজ সাধারণ সময়ের মত করে পড়ি, যেমন যোহরের ফরজ ৪ রাকাত এরকম। এখন কথা হচ্ছে আমাকে কি ৮-৯ তারিখের ইশা, যোহর ও আসর কাজা নামাজ পড়তে হবে?
২। কারো ফজরের ওয়াক্তের আগে মাসিক সেরে গেছে, কিন্তু তিনি বুঝতে না পারায় ঐ সময় ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। সকাল ৮ টায় উঠে ফরজ গোসল করে নিয়েছেন। এরপর কি তাকে ফজরের কাজা আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (63,080 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

মুকীম অবস্থায় জহর, আসর ও ইশার নামাজ চার রাকাত করে ও মুসাফির অবস্থায় দুই রাকাত করে পড়তে হবে। হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ فِي الْحَضَرِ الظُّهْرَ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ وَصَلَّيْتُ مَعَهُ فِي السَّفَرِ الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ وَالْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ وَلَمْ يُصَلِّ بَعْدَهَا شَيْئًا وَالْمَغْرِبَ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ سَوَاءً ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ لاَ تَنْقُصُ فِي الْحَضَرِ وَلاَ فِي السَّفَرِ وَهِيَ وِتْرُ النَّهَارِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ مَا رَوَى ابْنُ أَبِي لَيْلَى حَدِيثًا أَعْجَبَ إِلَىَّ مِنْ هَذَا وَلاَ أَرْوِي عَنْهُ شَيْئًا .

 

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি নিজ এলাকায় থাকার সময় এবং সফরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে নামায আদায় করেছি। বাড়িতে থাকার সময় তাঁর সাথে যুহরের (ফরয)নামায চার রাকা’আত আদায় করেছি। অতঃপর দুই রাকা’আত (সুন্নাত) নামায আদায় করেছি। সফরে তাঁর সাথে যুহরের (ফরয) নামায দুই রাকা’আত আদায় করেছি। অতঃপর দুই রাকা’আত (সুন্নাত) নামায আদায় করেছি। আসরের (ফরয) নামায দুই রাকা’আত আদায় করেছি। তারপর তিনি আর কোন নামায আদায় করেননি। মাগরিবের (ফরয) নামায সফরে ও বাসস্থানে সমানভাবে তিন রাকা’আত আদায় করেছি। এটা সফরে ও বাসস্থানে কম হয় না। আর এটাই হল দিনের বিতরের (বেজোড়) নামায। তারপর দুই রাকা’আত (সুন্নাত) আদায় করেছি। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং- ৫৫২

 

হায়েজ অবস্থায় অবস্থায় তো পবিত্রতাই অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই এ ক্ষেত্রে আসলে নামাজ পড়ার কোন সুযোগই নেই। হাদিস শরিফে এসেছে

 

عَنْ هِشَامٍ، بِإِسْنَادِ زُهَيْرٍ وَمَعْنَاهُ وَقَالَ : " فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلَاةَ فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا فَاغْسِلِي الدَّمَ عَنْكِ وَصَلِّي " .

হিশাম (রহঃ) যুহাইর সূত্রে উপরোক্ত অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঋতুস্রাব আসলে সলাত ছেড়ে দিবে আর ঋতুস্রাবের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে রক্ত ধুয়ে নিয়ে (গোসল করে) সলাত আদায় করবে।

বুখারী (অধ্যায়ঃ হায়িযঅনুঃ হায়িযের রক্ত ধোয়াহাঃ ৩০৭)মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িযঅনুঃ মুস্তাহাযা এবং তার গোসল ও সালাত,আবু দাউদ ২৮৩)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু উক্ত নামাজগুলো চার রাকাত করে পড়া আপনার উপর আবশ্যক ছিলো। কিন্তু আপনি দুই রাকাত করে পড়েছেন। তাই উক্ত নামাজগুলো এখনও আপনার জিম্মায় থেকে গেছে। তাই এখন আপনি ৮ ও ৯ তারিখের ইশা, জহর ও আসরের নামাজ চার রাকাত করে কাজা করে নিবেন।

২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু ফজরের আগেই মাসিক সেরে গিয়েছে। তাই ফজরের নামাজ পড়া আবশ্যক ছিলো। কিন্তু যেহেতু তা আদায় করা হয়নি তাই এখন উক্ত ফজরের নামাজ কাজা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...