আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্।
আমার জিজ্ঞাসাসমূহ-

১)ফরজ-সুন্নাত নামাজের সিজদাহ্ তে কুরআন -হাদিসে বর্ণিত দুয়াসমূহ করা যাবে?

২)আমাদের এদিকে যুহরের ওয়াক্ত শুরু হয় প্রায় ১২.০০ এর দিকে।আমি কি ১২.৩০/১২.৪০ এর দিকে সালাত আদায় করতে পারবো? নাকি আযানের জন্য অপেক্ষা করবো?
৩) সালাতে হাত পায়ের তালু খোলা রাখা যায়। এখানে তালু বলতে পিঠ- তালু উভয় বুঝাচ্ছে? আমরা যে সালোয়ার পরি তা টাখনুর নিচ পর্যন্ত থাকে মানে টাখনু খাভার হয়ে যায়।গুড়ালি ঢাকে না। এটা একটু বুঝিয়ে বলবেন ইন শা আল্লাহ।
৪) মাগরিবের ফরজ সালাতে শেষ বৈঠক না করে দাড়িয়ে গেলে ৪র্থ রাকাত শেষ হওয়ার পর মনে উঠলে কী করবো? সাহু সিজদাহ্ দিলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে? নাকি দোহরাতে হবে? অনুরুপ চার রাকাআত বিশিষ্ট ফরজ সালাতের ক্ষেত্রে ৫ম রাকাআত পড়ে ফেললে কী করবো? এমতাবস্থায় শেষ করে পুনরায় সালাত আদায় করবো? জাঝাকাল্লাহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (633,360 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ফরজ-সুন্নাত নামাজের সিজদাহ্ তে কুরআন -হাদিসে বর্ণিত দুয়াসমূহ করা যাবে।
এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রুকু ও সিজদায় কখনো কখনো তাসবিহের সঙ্গে এ দোয়াটিও পড়তেন-
سبوح قدوس رب الملأ كة والروح
উচ্চারণ : ‘সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।’ (মুসলিম)অর্থ : ‘সকল ফেরেশতা এবং জিবরিলের প্রতিপালক অতিপবিত্র।’

-হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সিজদা করতেন তখন তিনি বলতেন
اللهم  لك سجدت وبك آمنت و لك أسلمت سجدا وجهي للذي خلقه و صوره وشق سمعه تبارك الله احسن الخالقين 
-উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাজি খালাকাহু ওয়া চাওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সামআ’হু ওয়া বাচারাহু তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিক্বিন।

অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার জন্যই সিজদা করছি। একমাত্র তোমার প্রতিই ঈমান এনেছি এবং তোমার কাছেই আত্মসমর্পন করেছি। আমার মুখমণ্ডল ঐ সত্ত্বার জন্য সিজদাবনত হয়েছে, যিনি উহাকে সৃষ্টি করেছেন, সুসমন্বিত আকৃতি দিয়েছেন এবং তাতে কান ও চক্ষু স্থাপন করেছেন। নিপুনতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা কত কল্যাণময়!

হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রুকু ও সিজদায় কখনো কখনো তাসবিহের সঙ্গে এ দোয়াটিও পড়তেন-
سبوح قدوس رب الملأ كة والروح
উচ্চারণ : ‘সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।’ (মুসলিম)অর্থ : ‘সকল ফেরেশতা এবং জিবরিলের প্রতিপালক অতিপবিত্র।’

-হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সিজদা করতেন তখন তিনি বলতেন
اللهم  لك سجدت وبك آمنت و لك أسلمت سجدا وجهي للذي خلقه و صوره وشق سمعه تبارك الله احسن الخالقين 
-উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাজি খালাকাহু ওয়া চাওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সামআ’হু ওয়া বাচারাহু তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিক্বিন।

অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার জন্যই সিজদা করছি। একমাত্র তোমার প্রতিই ঈমান এনেছি এবং তোমার কাছেই আত্মসমর্পন করেছি। আমার মুখমণ্ডল ঐ সত্ত্বার জন্য সিজদাবনত হয়েছে, যিনি উহাকে সৃষ্টি করেছেন, সুসমন্বিত আকৃতি দিয়েছেন এবং তাতে কান ও চক্ষু স্থাপন করেছেন। নিপুনতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা কত কল্যাণময়!

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
আযানের অপেক্ষা করতে হবেনা।
বরং ওয়াক্ত আসা মাত্র আপনি জোহরের সালাত আদায় করতে পারেন।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
হ্যাঁ, এখানে তালু বলতে পিঠ- তালু উভয় বুঝানো হয়েছে।

নামাজে টাখনুর নিচ পর্যন্ত ঢাকলেই হবে।
গোড়ালি ঢাকতে হবেনা।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এ ধরনের সালোয়ার পরিধান করে নামাজ আদায় করতে পারবেন। কোনো সমস্যা নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
এক্ষেত্রে উক্ত মাগরিব নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
৪ রাকআত বিশিষ্ট ফরজ নামাজে ৪র্থ রাকআতের তাশাহুদ পড়ে ভুলে দাড়িয়ে গেলে সেক্ষেত্রে সেজদার আগে মনে পড়লে সেজদাহ না করে বৈঠকে গিয়ে সেজদায়ে সাহু আদায় করে নামাজ শেষ করে দিতে হবে।

৫ম রাকাতের সেজদাহ করে থাকলে সেক্ষেত্রে 
৬ষ্ঠ রাকাতও আদায় করে নিবে।
এক্ষেত্রে ফরজ নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
আর দুই রাকাত নফল হবে।
ফরজ নামাজটি আর আদায় করতে হবেনা।

হ্যাঁ যদি ৪র্থ রাকআতে বৈঠক না করেই দাঁড়িয়ে যায়,সেক্ষেত্রে তার নামাজের ফরজিয়্যাত বাতিল হয়ে যাবে।

পুনরায় ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...