আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in সালাত(Prayer) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম
১) জীবনে যতোগুলো সালাত কাজা হয়েছে সেইগুলো কিভাবে আদায় করবো? আর সেই কাযা সালাতগুলো আদায় করার হুকুম কি?

২) সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদার সালাতগুলো যদি কেও সারা জীবনে একবারো আদায় না করে সেক্ষেত্রে কি গুনাহ হবে? বা নিয়মিত যদি কেও আদায় করে তাহলে গুনাহ হবে? যেহেতু গায়রে মুয়াক্কাদা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই মাঝে মাঝে আদায় করতেন।

৩) আসরের ওয়াক্তে দাখিলুল মাসজিদ সালাত পড়া যাবে কিনা?

৪) মাগরিবের ওয়াক্তে দাখিলুল মাসজিদ সালাত আদায় করা যাবে?

৫) কাযা সালাত কিভাবে আদায় করবো? মানে আমি যদি অবসর সময়ে সিরিয়ালি ফজর/যোহর/আসর/মাগরিব/ইশা/বিতির আদায় করি তাহলে কি আদায় হবে? নাকি সেই সালাত গুলোর ওয়াক্ত হলে সেই সময়ে আগের ছুটে যাওয়া ওয়াক্তের সালাত আদায় করবো? অবসর সময়ে (নামাজের নিষিদ্ধ সময় নয়) এ সময়ে আদায় করলে হবে না?

৬) আমার অফিসে সালাত আদায়ের নির্ধারিত জায়গা আছে, সেখানে যদি সালাত আদায় করতে যাই, তাহলে কি সেখানে দাখিলুল মাসজিদ আদায় করা যাবে? যেহেতু সেটা মাসজিদ নয়।

৭) একটা আলোচনায় সম্ভবত শুনেছিলাম ফজরের ওয়াক্তে ফজরের সুন্নাত ২ রাকাত আর দাখিলুল মাসজিদের ২ রাকাতের নিয়ত নাকি একসাথেই করা যায়? মসজিদে ঢুকে দাখিলুল মাসজিদ+ফজরের সুন্নত ২ রাকাতের নিয়ত একসাথে করে শুধু ২ রাকাত সালাত পড়লেই কি ২ টাই আদায় হবে?
৮) ফজরের ওয়াক্তে কি দাখিলুল মাসজিদ আদায় করা যায়?

৯) আসরের ওয়াক্তে সেইদিনের আসরের সালাত আদায়ের পর পূর্বের কাযা হয়ে যাওয়া আসরের সালাত পড়া যাবে?
১০) আসরের ওয়াক্তে সেইদিনের নামাজ আদায় করার পরে সেইদিনের ছুটে যাওয়া কোনো এক ওয়াক্তের সালাত পড়া যাবে?

১১) আসরের ওয়াক্তে সূর্যাস্তের সময় কি অন্য দিনের আসরের সালাত পড়া যাবে নাকি শুধু সেইদিনের টা আদায় ছুটে গেলে সেইটা আদায় করা যাবে?

১২) আওয়াবীনের সালাত কত রাকাত? এই সালাত কি ২ রাকাত করে করে আদায় করতে হবে? আওয়াবীনের সালাত আদায় করার হুকুম কি?

১৩) সালাতুত তাসবিহ আদায় করার হুকুম কি? সালাতুত তাসবিহ আদায়ের বিস্তারিত নিয়ম জানতে চাই।

১৪) পূর্বের ছুটে যাওয়া বিতিরের সালাত যদি নামাজের নিষিদ্ধ সময় ছাড়া কোনো এক সময় আদায় করে তাহলে হবে? নাকি এশার পরেই আদায় করতে হবে?

১৫) কেও যদি নিশ্চিত না থাকে সে শেষ রাতে উঠবে কিনা তাই সে এশার পরেই বিতির আদায় করে নিলো। কিন্তু সেইদিন আবার সে শেষ রাতেও উঠতে পেরেছে, কিছু সময় তাহাজ্জুদ ও আদায় করেছে, তাহলে কি তাকে আবার বিতির সালাত আদায় করতে হবে?

১৬) কাযা সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে কি একেবারে সিরিয়ালি সালাত আদায় করতে হবে। একটা হিসাব করে একেবারে প্রথম দিন থেকে সবগুলো সিরিয়ালি আদায় করা লাগবে?  ধরুন আমার এক সপ্তাহের আগের কিছু কাযা সালাত আছে সেইগুলোর হিসাব স্পষ্ট মনে আছে, তো আমি কি সেইগুলো আগে আদায় করে নিতে পারবো?
by (713,000 points)
দয়া করে প্রশ্ন করার পূর্বে সার্চ করে নিবেন।আপনার প্রশ্নের হুবহু প্রশ্নের জবাব ইতিপূর্বে দেয়া হয়েছে কি না?

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) জীবনে যতোগুলো সালাত কাজা হয়েছে, সেগুলোর কা'যা আদায় করা অত্যান্ত জরুরী। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 968 

(২) সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদার সালাতগুলোকে যদি কেউ সারা জীবনে একবারও আদায় না করে, সেক্ষেত্রে  কোনো গুনাহ হবে না। এবং কেউ যদি নিয়মিত আদায় করে, তাহলে তার গুনাহ হবে না। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকদের সহজতার স্বার্থে মাঝেমধ্যেই আদায় করতেন।

(৩) আসরের ওয়াক্তে দাখিলুল মাসজিদ সালাত পড়া যাবে কি না? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1330 

(৪) মাগরিবের ওয়াক্তে দাখিলুল মাসজিদ সালাত আদায় করা যাবে?

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1330

(৫) কাযা সালাতের নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্ত নাই। যেকোনো ওয়াক্তে যে কোনো ওয়াক্তের কাযা নামায আদায় করা যাবে। ছুটে যাওয়া নামাযের সর্বপ্রথম বা সর্বশেষ নামায নির্দিষ্ট করে নামায পড়ে নিলেই হবে।

(৬) অফিসে দাখিলুল মসজিদ বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ার নিয়ম নাই।হ্যা, তাহিয়্যাতুল অজু পড়তে পারবেন।

(৭) ফজরের সুন্নতের সাথে তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় হয়ে যাবে। বা অন্যান্য নামাযের সুন্নতের সাথেও তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় হয়ে যাবে।

(৮) ফজরের ওয়াক্তে দাখিলুল মাসজিদ আদায় করা যায় কি না? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1330 

(৯) আসরের ওয়াক্তে সেই দিনের আসরের সালাত আদায়ের পর পূর্বের কাযা হয়ে যাওয়া আসরের সালাত পড়া যাবে।

(১০) আসরের ওয়াক্তে সেই দিনের নামাজ আদায় করার পর সেই দিনের ছুটে যাওয়া যে কোনো ওয়াক্তের নামাজ পড়া যাবে। 

(১১) আসরের ওয়াক্তে সূর্যাস্তের সময় শুধুমাত্র সেই দিনের নামায আদায় করা যাবে। 

(১২) আওয়াবীনের সালাত ৪/৬ রাকাত।  এই সালাত কি ২ রাকাত করে করে আদায় করাই নিয়ম। কেননা রাতের নফল ২ রাকাত করেই পড়তে হয়। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 4467 

(১৩) সালাতুত তাসবিহ আদায় করা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- 14301 

(১৪) পূর্বের ছুটে যাওয়া বিতিরের সালাতকে যেকোনো সময় কাযা করা যাবে।

(১৫) কেউ যদি নিশ্চিত না থাকে যে, সে শেষ রাতে উঠবে কি না? তাই সে এশার পরেই বিতির আদায় করে নিয়েছে। কিন্তু সেদিন সে শেষ রাতে উঠতে পারলো, তাহাজ্জুদ পড়লো, তাহলে তাকে আর বিতির সালাত আদায় করতে হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 4129

(১৬) কোনো ওয়াক্তের সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ নামায নির্ধারণ করে নিয়ে নামায পড়ে নিলেই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...