ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাতের প্রথম এক তৃতীয়াংশে এশার নামায পড়া মুস্তাহাব। গ্রীষ্ম কালিন সময়ে এশার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথেই এশার নামায পড়া মুস্তাহাব। আর শীতকালীন সময়ে কিছুটা দেড়ি করে তথা একতৃতীয়াংশের মাঝামাঝি বা শেষ সময়ে এশার নামায পড়া মুস্তাহাব।
وتاخیر عشاء إلی ثلث اللیل قیدہ في الخانیة وغیرھا بالشتاء، أما الصیف فیندب تعجیلها( ردالمحتار )
বিনা জরুতে অর্ধেক রাত পর্যন্ত এশার নামাযকে বিলম্ব করা যাবে, মাকরুহ হবে না। তবে অযথা এত দেড়ি না করাই উচিত। অর্ধেক রাত পরবর্তী দেড়ি করে এশার নামায পড়া মাকরুহ। এশার নামাযের সাথে সাথেই ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত। বিনা জরুরতে ইশার নামাযের পর অযথা গল্পগুজবে লিপ্ত হওয়া বা কাজ করা মাকরুহ। হ্যা, বিশেষ প্রয়োজনে অনুমোদিত থাকবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/120099
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রেক্ষাপট ভিন্ন কেন হবে? পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট আপনি নিজেই তৈরী করবেন। আপনি তাড়াতাড়ি পড়ার চেষ্টা করবেন। অর্ধেক রাত পর্যন্ত আপনি এশার নামাযকে বিলম্ব করতে পারবেন। মাকরুহ হবে না। ঘুমাতে যত দেড়ি হবে, তাহাজ্জুদ ও ফজর নামাযে ততবেশী সমস্যা তৈরী হবে।
(২) মাকরূহে তাহরিমি সগিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।
’’کلُّ ما کُرہ عندنا تحريمًا فہو من الصغائر کما استفيد ذٰلک مِن تعدادہا. ‘‘ (:- الرسائل الزينيۃ،الرسالۃ الثالثۃ والثلاثون، ص:۳۷۱)
(৩) ফেসবুক ইউটিউবের ইনকামে হালাল হারামের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এত্থেকে বেঁচে থাকাই তাকওয়ার দাবী।
(৪) মাকরুহে তানজিহি কাজ করলে আল্লাহ পাক এবং রাসুল সাঃ এর মহব্বতে সমস্যা হবে না। তবে নিয়মিত করলে সমস্যা হতে পারে।