আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম,

স্বামী যিহার এর মাসালা বিধান জানেন না।।কিন্তু স্ত্রী যিহারের মাসালা বিধান জানেন।।স্বামীর কথায় যিহার হয়ে গিয়েছে।।স্বামী যিহার করে ফেলেছে।। স্ত্রী সেটা বুঝতে পারে যে তার স্বামী যিহার করেছে কিন্তু সে স্বামীকে যিহারের বিধান জানায় না এবং কাফফারা সম্পর্কে বলে না। কিন্তু এখন তো তার স্বামীর তাকে স্পর্শ করা হারাম।।এটা সে(স্ত্রী)জানে।। স্ত্রী যিহারের বিধানে বিশ্বাস করে।। এবং জানে এখন তার স্বামীর তাকে স্পর্শ করা হারাম।।তবে স্ত্রী তার স্বামীকে জানালো না এবং স্বামী আজিবন ভাবলো তার স্ত্রীকে স্পর্শ করা তার জন্য হালাল।। স্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে এই হারাম ঘর সংসার মৃত্যুর আগ অবধি চলমান রাখলো।


প্রশ্ন :  স্বামী যিহার করেছে, এখন স্বামীর স্পর্শ করা হারাম জেনেও স্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে মৃত্যুর আগ অবধি এই হারাম ঘর সংসার হারাম সহবাস চলমান রাখলো।। যিহারের বিধান জেনেও ইচ্ছাকৃতভাবে এই হারাম কাজ মৃতুর আগ অবধি চলমান রাখায় স্ত্রী ইমানহারা হয়ে মারা যাবে?? ( যেহেতু  হারাম জেনেও ইচ্ছাকৃত ভাবে এই হারাম কাজ মৃত্যুর আগ অবধি চলমান রেখেছে)

1 Answer

0 votes
by (662,340 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মহিলা নিজের ব্যাপারে কাযী সাহেবের স্থলাভিষিক্ত। মহিলা যখন তালাক জিহার ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে যাবে বা অথবা মহিলাকে কোনো নির্ভরযোগ্য মানুষ তালাক কিংবা জিহারের সংবাদ প্রদাণ করবে, তখন মহিলার জন্য স্বামীকে সহবাসের সুযোগ দেওয়া জায়েয হবে না। স্ত্রী তালাক জিহার তথা হারাম জানার পরও স্বামীকে সহবাসের সুযোগ দিলে এবং এই শারীরিক সম্পর্ককে চলমান রাখলে কবিরা গোনাহ হবে। যেহেতু কবিরা গোনাহ দ্বারা ঈমান চলে যায় না, তাই সে ঈমানহারা হবে না। 

مأخَذُ الفَتوی
كما في البحر الرائق: والمرأة كالقاضي إذا سمعته أو أخبرها عدل لا يحل لها تمكينه (إلى قوله) أنها ترفع الأمر إلى القاضي فإن لم يكن لها بينة يحلفه فإن حلف فالإثم عليه الخ ( باب الطلاق الصريح الخ، ج ۳، ۲۵۷،ط: ماجدية )-
و في فتاوى الهندية : و المرأة كالقاضي لا يحل لها أن تمكنه إذا سمعت منه ذلك أو شهد به شاهد عدل عندنا الخ ( الباب الثاني في إيقاع الطلاق ، ج ١ ، ص ۳۵4، ط: ماجدية )-
و في رد المحتار : تحت (قوله كا لقضاء باليمين الكاذبة) قالو ا لو ادعت أن زوجها أبانها بثلاث فأنكر فحلفه القاضي فحلف والمرأة تعلم أن الأمر كما قالت لا يسعها المقام منه ولا أن تأخذ من ميراثه شيئا (إلى قوله ) و في الخلاصة : ولا يحل وطؤها إجماعاً بحر الخ (مطلب في القضاء بشهادة الزور، ج ۵، ص 405، : سعید)-
و في فتاوى قاضي خان : وهم أصناف ، صنف لا يكون كلامهم شهادة لعدم الأهلية وأهلية الشهادة إنما تكون بالعقل الكامل والضبط والولاية والقدرة على التمييز بين المدعي والمدعى عليه فلا تقبل شهادة الصبيان والمجانين (إلى قوله ) فلا ينعقد النكاح بحضرتهم وكذلك شهادة النساء وحدهن الخ (كتاب الشهادة ، باب فيمن لا تجوز شهادتهم ، ج ۵، ص421، ط : رشيدية)-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...