জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "
আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)
https://www.ifatwa.info/94162 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ-
নাপাক কাপড় ওয়াশিং মেশিনে ধুয়েও পাক করা যায়। মূলত কাপড় পাক হওয়া না হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ওয়াশ করার পদ্ধতির উপর। তিনবার যথানিয়মে নাপাক কাপড় মেশিনে ধৌত করলে তা পবিত্র হয়ে যাবে। এর জন্য প্রত্যেকবার নতুন পানি নিতে হবে এবং প্রতিবার ধোয়ার পর তা ফেলে দিতে হবে।
এর সহজ পদ্ধতি এই যে, কাপড় মেশিনে রেখে পরিমাণ মতো পানি ও সাবান দিয়ে মেশিন চালু করবে। কাপড় ধোয়া হয়ে গেলে সমস্ত পানি ছেড়ে দিবে। অতঃপর আবার নতুন পানি দিয়ে মেশিন চালু করবে এবং ওয়াশ হওয়ার পর পানি ছেড়ে দিবে। এভাবে পরপর তিনবার নতুন পানি দিয়ে কাপড় ধৌত করতে হবে এবং প্রতিবার পানি ছেড়ে দিতে হবে। যখন মনে হবে যে, কাপড়ের ভেতরের নাপাকী বের হয়ে গেছে তখন কাপড় পাক হয়েছে বলে ধরে নিবে। [রদ্দুল মুহতার ১/৩৩০; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৩/১৭১; কিতাবুন নাওয়াযিল ৩/৩৯; ফাতাওয়া হাক্কানিয়া ২/৫৮২]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/6688
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যখন মনে হবে যে কাপড়ের ভেতরের নাপাকী বের হয়ে গেছে, তখন কাপড় পাক হয়েছে বলে ধরে নিবেন।
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কোন মুফতী সাহেব ফতোয়া নিয়েছেন,সেটি দেখতে হবে।
তিনি আপনার মাযহাবের না হলে এক্ষেত্রে ভূল আপনার।
কেননা আপনি অন্য মতালম্বী আলেম থেকে ফতোয়া নিয়েছেন।
যাহা মুকাল্লিদের জন্য কাম্য নয়।
,
আপনি যদি ২ জন মুফতীর মধ্যে দুই জনই নিজ মাযহাব অনুসারী, এমন ২ জন থেকেই ফতোয়া নেন,তাহলে দেখবেন,যে উভয়ের কাছে প্রশ্নের বিবরন হুবহু একই ভাবে উপস্থাপন করেছেন?
নাকি ভিন্ন ভাবে?
উভয়ের কাছে প্রশ্নের বিবরন হুবহু একই ভাবে উপস্থাপন করে থাকলে দেখতে হবে যে
কার ফতোয়াতে নিজ মতের স্বপক্ষে সুস্পষ্ট দলিল রয়েছে,দলিল অনুযায়ী যিনি কথা বলবেন,তার কথা মানবেন।
,
যার ফতোয়াতে নিজ মতের স্বপক্ষে দলিল নেই,তার কথা আপনি মানবেননা।
,
যদি নিজ মাযহাবের স্কলার থেকেই ফতোয়া নেন,আর ফতোয়ার স্বপক্ষে স্পষ্ট দলিল থাকার ভিত্তিতে ফতোয়া নেয়ার পরেও ফতোয়া প্রদানে মুফতি সাহেবের ভুল হলে সেই অনুযায়ী আপনি না জেনে আমল করলে প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
গুনাহ সেই ফতোয়া প্রদানকারীরই হবে।
আরো জানুনঃ-