আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
ago in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
edited ago by

আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ, 

১. আমি একটি ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করি যেটা অটোমেটিক না। ধাপ-১: প্রথমে পানি ও ডিটারজেন্ট পাউডার দেই। এরপর মেশিন স্টার্ট দেই। ৩-৪ মিনিট পর সম্পূর্ণ পানি ছেড়ে দেই।
ধাপ-২: আবার পানি দেই, মেশিন চালু করি ১ মিনিট। আবার পানি ছেড়ে দেই
ধাপ - ৩: আবার পানি দেই, ১ মিনিট মেশিন চালানোর পর ছেড়ে দেই।
এরপর না নিংড়িয়ে কাপড় দরিতে শুকাতে দেই। মেশিন যখন কাপড় ঘোড়ায় তখন নাপাক পানি ছিটা মেশিনের উপরের অংশে আসে। ২য়/৩য় বার ও আসে। এক্ষেত্রে, যেহেতু নাপাক এর ছিটা ধুয়ে যেতে পারে সর্বশেষ বার ধোয়ার ক্ষেত্রেও কাপড় কি পাক হয়?

 

২. তালাক এর ক্ষেত্রে একেক জন মুফতি একেক ফতোয়া দিলে আমি কি আমার সুবিধামত একটি বাছাই কর‍তে পারবো? কিংবা এক্ষেত্রে সিন্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি কি? অর্থাৎ আমি এই প্রশ্নের ব্যাপারে বলছি (https://ifatwa.info/124147) 

দয়া করে প্রশ্নটি ওয়াসওয়াসা ক্যাটাগরিতে ফেলবেন না। আমি সত্যিই ভুক্তভোগী। কারণ আমি কোনভাবেই সঠিক সিন্ধান্ত এ পৌছাতে পারছিনা। ২০২২ সালে আপনার থেকে ফতোয়া পেয়েছিলাম তখন বলেছিলেন তালাক হবে। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে তালাক হবে না। তাই আমাকে ব্যাখ্যাসহ একটি উত্তর দিলে উপকৃত হবো যাতে এই বিষয় নিয়ে আর প্রশ্ন না কর‍তে হয়। আর যদি সত্যিই তালাক হয়ে তাহলে বিয়ের কোন পদ্ধতি আমি বাছাই করতে পারি? 

1 Answer

0 votes
ago by (653,610 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

https://www.ifatwa.info/94162 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ- 
নাপাক কাপড় ওয়াশিং মেশিনে ধুয়েও পাক করা যায়। মূলত কাপড় পাক হওয়া না হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ওয়াশ করার পদ্ধতির উপর। তিনবার যথানিয়মে নাপাক কাপড় মেশিনে ধৌত করলে তা পবিত্র হয়ে যাবে। এর জন্য প্রত্যেকবার নতুন পানি নিতে হবে এবং প্রতিবার ধোয়ার পর তা ফেলে দিতে হবে। 

এর সহজ পদ্ধতি এই যে, কাপড় মেশিনে রেখে পরিমাণ মতো পানি ও সাবান দিয়ে মেশিন চালু করবে। কাপড় ধোয়া হয়ে গেলে সমস্ত পানি ছেড়ে দিবে। অতঃপর আবার নতুন পানি দিয়ে মেশিন চালু করবে এবং ওয়াশ হওয়ার পর পানি ছেড়ে দিবে। এভাবে পরপর তিনবার নতুন পানি দিয়ে কাপড় ধৌত করতে হবে এবং প্রতিবার পানি ছেড়ে দিতে হবে। যখন মনে হবে যে, কাপড়ের ভেতরের নাপাকী বের হয়ে গেছে তখন কাপড় পাক হয়েছে বলে ধরে নিবে। [রদ্দুল মুহতার ১/৩৩০; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৩/১৭১; কিতাবুন নাওয়াযিল ৩/৩৯; ফাতাওয়া হাক্কানিয়া ২/৫৮২]

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/6688

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যখন মনে হবে যে কাপড়ের ভেতরের নাপাকী বের হয়ে গেছে, তখন কাপড় পাক হয়েছে বলে ধরে নিবেন।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কোন মুফতী সাহেব ফতোয়া নিয়েছেন,সেটি দেখতে হবে।
তিনি আপনার মাযহাবের না হলে এক্ষেত্রে ভূল আপনার।
কেননা আপনি অন্য মতালম্বী আলেম থেকে ফতোয়া নিয়েছেন।
যাহা মুকাল্লিদের জন্য কাম্য নয়।
,
আপনি যদি ২ জন মুফতীর মধ্যে দুই জনই নিজ মাযহাব অনুসারী, এমন ২ জন থেকেই ফতোয়া নেন,তাহলে দেখবেন,যে উভয়ের কাছে প্রশ্নের বিবরন হুবহু একই ভাবে উপস্থাপন করেছেন?
নাকি ভিন্ন ভাবে?

উভয়ের কাছে প্রশ্নের বিবরন হুবহু একই ভাবে উপস্থাপন করে থাকলে দেখতে হবে যে
কার ফতোয়াতে নিজ মতের স্বপক্ষে সুস্পষ্ট  দলিল রয়েছে,দলিল অনুযায়ী যিনি কথা বলবেন,তার কথা মানবেন।
,
যার ফতোয়াতে নিজ মতের স্বপক্ষে দলিল নেই,তার কথা আপনি মানবেননা।
,
যদি নিজ মাযহাবের স্কলার থেকেই ফতোয়া নেন,আর ফতোয়ার স্বপক্ষে স্পষ্ট দলিল থাকার ভিত্তিতে ফতোয়া নেয়ার পরেও ফতোয়া প্রদানে মুফতি সাহেবের  ভুল হলে সেই অনুযায়ী আপনি না জেনে আমল করলে প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

গুনাহ সেই ফতোয়া প্রদানকারীরই হবে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...