আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। এসব বিষয়ে জানা দরকার ঈমান আমল ঠিক রাখতে বর্তমানে ও ভবিষ্যতে।
১।আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। মাঝে মাঝে হিন্দি সিরিয়াল বা সিনেমা দেখার সময় ওদের পূজার সিন আসে এগুলো বিশ্বাস না করে আকিদা ঠিক রেখে এমনিতে দেখলে কি ঈমান চলে যাবে?
২।এসব সিন দেখার সময় হঠাৎ করে কারো মনে কু-চিন্তা (বুঝে নিয়েন) বা শয়তানের ওয়াসওয়াসা এসে আবার চলে গেলে কি ঈমান চলে যাবে?
৩।হারাম কিছু জানার পর ও করতে ভালো লাগলে তার কি কবিরা গুণাহ হবে নাকি ঈমান চলে যাবে? যেমনঃ অনেকে প্রেম করে ইত্যাদি।
৪।স্ত্রীর সাথে বসে এমনিতে বিনোদনের জন্য বা ভালো লাগার এসব হিন্দি সিনেমা যেখানে কিছু পূজার সিন থাকে,প্রেমের নাটক,ফানি নাটক,কার্টুন ইত্যাদি এসব দেখলে কি ঈমান চলে যাবে নাকি কবিরা গুণাহ হবে?
৫। আল্লাহর প্রতি আকিদা ঠিক রেখে হিন্দি গান যেগুলোতে শিরক আছে এগুলো গাইলে বা স্ত্রীকে শোনালে আর গাওয়ার সময় কু-চিন্তা(শয়তানের দ্বারা কু-চিন্তা) আসলে আবার চলে গেলে কি ঈমান চলে যাবে?
৬।কেউ ছোট শিরক জেনে করলে তার কি ছোট শিরকের গুণাহ হবে নাকি বড় শিরকের?
৭।কেউ ভুলে গিয়ে ছোট শিরক ভেবে বড় শিরক করলে তারপর জানার পর তওবা করলে তার কি ঈমান চলে যাবে?
৮।হিন্দু লেখকের বই যেখানে পূজা,তাদের দেব দেবি নিয়ে লেখ ও আছে এমন বই আকিদা ঠিক রেখে পড়লে কি ঈমান চলে যাবে আর পড়ার সময় বিভিন্ন কু চিন্তা এসে আবার চলে গেলে কি ঈমান চলে যাবে?
৯।কেউ ধরেন জানে কাজটা হারাম তবু ঐ কাজটা করল ভালো লাগার উদ্দেশ্যে।এটা হালাল ভাবে না এমনিতে করল ভালো লাগা থেকে তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে নাকি কবিরা গুণাহ হবে? অনেক কাজ যেমন হতে পারে ফেসবুকে কোন মেয়ের ছবি পোস্ট করা, প্রেম করা,প্রেমে সাহায্য করা, হারাম ইনকাম, হারাম খাওয়া দাওয়া এমন আরো অনেক কিছু।
১০।কোন একটা কাজ কুফরি বা ইমান ভংগের জানে।মানুষ ওটা চায় না সেই করতে তবুও কোন একটা কারণে বা মানুষের কথার কারনে যদি করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে?
১১।অনেকে ফেসবুকে লেখে মুসলিম হলে আল্লাহ লিখ,হিন্দু না হলে আল্লাহ লিখ কমেন্টে ইত্যাদি এসব জাতীয় পোস্টে কিছু কমেন্ট না করলে কি ঈমান চলে যাবে?