আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। এসব বিষয়ে জানা দরকার ঈমান আমল ঠিক রাখতে বর্তমানে ও ভবিষ্যতে।

১।আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। মাঝে মাঝে হিন্দি সিরিয়াল বা সিনেমা দেখার সময় ওদের পূজার সিন আসে এগুলো বিশ্বাস না করে আকিদা ঠিক রেখে এমনিতে দেখলে কি ঈমান চলে যাবে?

২।এসব সিন দেখার সময় হঠাৎ করে  কারো মনে কু-চিন্তা (বুঝে নিয়েন)  বা শয়তানের ওয়াসওয়াসা  এসে আবার চলে গেলে কি ঈমান চলে যাবে?

৩।হারাম কিছু জানার পর ও করতে ভালো লাগলে তার কি কবিরা গুণাহ হবে নাকি ঈমান চলে যাবে? যেমনঃ অনেকে প্রেম করে ইত্যাদি।

৪।স্ত্রীর সাথে বসে এমনিতে বিনোদনের জন্য বা ভালো লাগার এসব হিন্দি সিনেমা যেখানে কিছু পূজার সিন থাকে,প্রেমের নাটক,ফানি নাটক,কার্টুন  ইত্যাদি এসব দেখলে কি ঈমান চলে যাবে নাকি কবিরা গুণাহ হবে?

৫। আল্লাহর প্রতি আকিদা ঠিক রেখে হিন্দি গান যেগুলোতে শিরক আছে এগুলো গাইলে বা স্ত্রীকে শোনালে আর গাওয়ার সময় কু-চিন্তা(শয়তানের দ্বারা কু-চিন্তা) আসলে আবার চলে গেলে কি ঈমান চলে যাবে?

৬।কেউ ছোট শিরক জেনে করলে তার কি ছোট শিরকের গুণাহ হবে নাকি বড় শিরকের?

৭।কেউ ভুলে গিয়ে ছোট শিরক ভেবে বড় শিরক করলে তারপর জানার পর তওবা করলে তার কি ঈমান চলে যাবে?

৮।হিন্দু লেখকের বই যেখানে পূজা,তাদের দেব দেবি নিয়ে লেখ ও আছে এমন বই আকিদা ঠিক রেখে পড়লে কি ঈমান চলে যাবে আর পড়ার সময় বিভিন্ন কু চিন্তা এসে আবার চলে গেলে কি ঈমান চলে যাবে?

৯।কেউ ধরেন জানে কাজটা হারাম তবু ঐ কাজটা করল ভালো লাগার উদ্দেশ্যে।এটা হালাল ভাবে না এমনিতে করল ভালো লাগা থেকে তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে নাকি কবিরা গুণাহ হবে? অনেক কাজ যেমন হতে পারে ফেসবুকে কোন মেয়ের ছবি পোস্ট করা, প্রেম করা,প্রেমে সাহায্য করা, হারাম ইনকাম, হারাম খাওয়া দাওয়া এমন আরো অনেক কিছু।

১০।কোন একটা কাজ কুফরি বা ইমান ভংগের জানে।মানুষ ওটা চায় না সেই করতে তবুও কোন একটা কারণে বা মানুষের কথার কারনে যদি করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে?

১১।অনেকে ফেসবুকে লেখে মুসলিম হলে আল্লাহ লিখ,হিন্দু না হলে আল্লাহ লিখ কমেন্টে ইত্যাদি এসব জাতীয় পোস্টে কিছু কমেন্ট না করলে কি ঈমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (693,030 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...