আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ
১।কেউ ফেসবুকে পোস্ট করে যে ভবিষ্যতে কি হবে এরকম একটা মেশিন সেটা বলে দিবে ভবিষ্যতে কি হবে কত টাকার মালিক হবে ইত্যাদি। এসবে বিশ্বাস করলে শিরক হবে জানে। কিন্তু ঈমান ভাংতে পারে এটা না জেনে, এমনিতে ফেসবুকের এসব বিশ্বাস না করে মজার ছলে  আকিদা ঠিক রেখে এসব করলে বা পোস্ট করলে কি ঈমান চলে যাবে?ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টার উদ্দেশ্যে না।

২।এসব পোস্ট করা শিরক হতে পারে শুনার পর পোস্ট করে না এবং কোন ধরনের শিরক না জেনে মানে পোস্টের দ্বারা ঈমান চলে যাওয়ার মত সমস্যা হতে পারে না জেনে।তবুও মজার ছলে আকিদা ঠিক রেখে কেউ পোস্ট করে ফেললে কি তার ঈমান চলে যাবে?ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টার উদ্দেশ্যে না এমনিতে।

৩।ইসলামকে অস্বীকার করার জন্য না এমনতে ওসব শিরক শোনার পর কেউ যদি বলে এসব তহ বিশ্বাস করে না এমনিতে পোস্ট করলেও ঈমান চলে যাবে নাকি এমন বললেও কি ঈমানে সমস্যা হবে?ইসলামকে অস্বীকার করার উদ্দেশ্য না থাকলে এমনিতে এমন বললে?

৪।ঐসব পোস্টে এমনিতে হা হা রিয়েক্ট দিলে কি ঈমান হবে?

৫। আগে কোন কুফরি কিছু করেছে পরে জানার পর তওবার কথা মাথায় না থাকলে ৪_৫ মিনিট পর বা আরো পরে মাথায় আসলে সাথে সাথে ইসতেগফার পড়ে অথবা  অনুতপ্ত হয় ভয়ে এবং এরপরে নামাজ পড়ার সময় আবার তওবা করে কি কোন সমস্যা হবে ঈমানে?

৬।কোন মহিলা কষ্ট পেয়ে বা রাগ করে বললে আমি জন্ম নিয়ে ভুল হয়েছে,আল্লাহ আমাকে কেন বানাইলা,আল্লাহ কেন বানাইল ইত্যাদি।এসব যে কুফরি কথা সে জানেও না আর এসবের দ্বারা ঈমান চলে যেতে পারে এটা জানে না।। এসব কুফরি কথা আর ঈমান ভাঙার মত কথা কেউ না জেনে বললে এবং জানার পর  তওবা করলে তার বিয়ে ও ঈমান ঠিক থাকবে?

৭। ৬ নং এর কথাগুলো এমনিতে বললে মানে কুফরির উদ্দেশ্যে না এমনিতে কষ্ট পেয়ে আকিদা ঠিক রেখে বললে কি ঈমান চলে যাবে?

৮। মেশিন লার্নিং আর AI মানুষের মত চিন্তা করতে পারবে ভবিষ্যতে এসব বললে মানে কুফরি কোন চিন্তা না থাকলে।মানে বিজ্ঞানিরা এমন করতেও মানে এমন মেমরি দিতে পারে এসব যে কুফরি হতে পারে সেটা না জেনে কেউ বললে বা বিশ্বাস করলে পরে মাথায় আসার পর তওবা করলে তার কি ঈমান আর বিয়ে ঠিক থাকবে?মনে মনে যদি থাকে আল্লাহ চাইলে সব সম্ভব।ইসলামের বিপক্ষে গিয়ে কোন কিছু বলার চিন্তা ও না করে তাহলে কি তার ঈমান ও বিয়ে ঠিক থাকবে

1 Answer

0 votes
by (693,030 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।


আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।

https://idaars.com/courses/waswasa/


বিঃদ্র

ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...