জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ফ্লোরে কোনো নাপাক আছে কিনা আপনি নিশ্চিত নন,অযথা সন্দেজ কাজ করছে,এক্ষেত্রে এখানে ওজু করার সময় পানি ছিটে শরীরে পড়লে ওজু হবে।
তবে যদি আপনি নিশ্চিত হন বা আপনার যদি প্রবল ধারণা হয় যে ফ্লোরে নাপাক আছে তাহলে এক্ষেত্রে শরীরে/কাপড়ে সে পানি ছিটে আসা স্থান পাক করতে হবে।
আপনার ওয়াসওয়াসা থেকে পরিত্রানের উপায় হলো এটিকে পাত্তা না দেয়া।
2.
ক.
এ ধরনের কল্পনা করা উচিত নয়।
ফিউজিক্যাল রিলেশন নিয়ে কল্পনা মনের যিনা এর মধ্যে পড়ে।
আপনার জন্য দ্রুত বিবাহ জরুরী।
খ. সাধারণত মাগরিবের আজান ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত নামাজের আজানের পর কমপক্ষে 15 মিনিটের মতো সময় থাকে একামতের আগ পর্যন্ত।
তাই আপনি আপনার মনের বিস্তারিত বিষয় আল্লাহর কাছে দোয়ায় বলতে পারবেন, আশা করি সমস্যা হবে না।
গ. ইস্তেগফার, দুরুদ দুআ কবুলের নিয়তে পড়লে নিয়তটা দুনিয়া কেন্দ্রীক হয়ে যায়,এ কথা বলা সহীহ নয়।
৩.
শরীয়ত সম্মত ভিডিও হলে তাহা আপলোড দেয়া যাবে।
আরো জানুনঃ-
৪. উক্ত স্বপ্নের ব্যাখ্যা হলো আপনার সম্মান বাড়বে।
এক্ষেত্রে আপনাদের বিবাহ হতে পারে।
তবে শতভাগ এমনটি হবেই,এটি সহীহ নয়
৫. ঢিলেঢালা হলে আর সেখানে কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষ না থাকলে এতে সমস্যা নেই।
খ. - ফিতনার আশঙ্কা থাকলে তো কোনোক্রমেই জায়েজ নেই।
ফিতনার আশঙ্কা না থাকলেও বিনা প্রয়োজনে গাইরে মাহরাম মহিলাকে সালাম দেওয়ার ঠিক নয়।
প্রয়োজন বশত হলে সেক্ষেত্রে পূর্ণ পর্দার আড়ালে থেকে হলে তাহা মুবাহ।
যেমনঃ পরপুরুষের সাথে কোনো বেগানা মহিলার কথা বলার প্রয়োজন হলে তখন কথার শুরুতে সালাম আদান-প্রদান করতে পারবে।
গায়রে মাহরামদের সাথে জরুরী বিষয়ে কথা বলতে হলে নারীদের জন্য গায়রে মাহরামের সাথে কথা বলতে গিয়ে কর্কশ ভাষায় কথা বলা সবচেয়ে ভালো।
সুমিষ্ট মোলায়েম স্বরে নয়।
তবে এক্ষেত্রে কর্কশ ভাষায় কথা বলা সমস্যাকর বা বিরক্তিকর মনে হলে বা এভাবে কথা বলতে না পারলে সেক্ষেত্রে মুখের ওপর হাত রেখে কণ্ঠ বিকৃত করে পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে বিনম্র হয়ে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে পৌরষত্ব আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে। {সূরা আহযাব-৩২}
আরো জানুনঃ-
৬. মিরাজের আগে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ ছিল না।
প্রথমে রাতের নামাজ (কিয়ামুল লাইল) ফরজ ছিল, পরে নফল করা হয়।
কিছু আলেমের মতে মিরাজের আগে দু’বার দুই রাকাত করে নামাজ ছিল (সকাল ও সন্ধ্যায়), তবে তা সর্বসম্মত নয়।
(০৭)
স্বামীকে আল্লাহর রাসূল ﷺ স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন:
“তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর প্রতি সর্বোত্তম।”
(সুনান তিরমিজি, হাদিস ৩৮৯৫)
অযথা মারধর ও গালাগাল হারাম, এটি গুনাহে কবীরা (বড় গুনাহ)। কুরআনে স্পষ্ট নিষেধ আছে:
وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ
“তোমরা তাদের (স্ত্রীর) সাথে উত্তমভাবে বসবাস কর।”
(সূরা আন-নিসা: ১৯)
মারধর ও কষ্ট দেওয়া জুলুম, এবং জালিমের জন্য কঠিন শাস্তির হুঁশিয়ারি আছে।
★ এ অবস্থায় আপনার আম্মুর করণীয়:
শরীয়াহ তিনটি বিকল্প দেয়:
(ক) স্বামীকে সংশোধনের চেষ্টা
প্রথমে উপদেশ, পরামর্শ, পরিবার থেকে বয়স্কদের হস্তক্ষেপ। কিন্তু আপনি বলেছেন, আম্মু অনেক চেষ্টা করেছেন, কাজ হয়নি।
(খ) মুরব্বিদের মিমাংসার ভিত্তিতে আলাদা থাকা (তালাক না দিয়ে)
স্ত্রী যদি মারধরের ভয় পায় বা স্বামীর সাথে থাকা কষ্টকর হয়, তাহলে আলাদা থাকা জায়েজ।
দলিল:
وَإِنِ امْرَأَةٌ خَافَتْ مِن بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يُصْلِحَا بَيْنَهُمَا صُلْحًا
“যদি কোনো স্ত্রী তার স্বামীর অবাধ্যতা বা অবহেলার আশঙ্কা করে, তবে তাদের মধ্যে মীমাংসা করার কোনো দোষ নেই।”
(সূরা আন-নিসা: ১২৮)
অন্য ঘরে থাকা বা সম্পূর্ণ আলাদা বাসায় চলে যাওয়া গোনাহ নয়, বরং নিজের ইজ্জত, জান ও মানসিক সুস্থতার জন্য তা করা বৈধ।
(গ) তালাক বা খোলার উদ্যোগ নেওয়া
যদি সংশোধনের আশা না থাকে, তালাক চাওয়া জায়েজ।
খোলা (স্ত্রী পক্ষ থেকে বিচ্ছেদ) সম্ভব, যদি স্বামী তালাক না দেয়।
কুরআনে বলা হয়েছে:
فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ
“তাহলে হয় উত্তমভাবে ধরে রাখা, নয়তো সুন্দরভাবে ছেড়ে দেওয়া।”
(সূরা বাকারা: ২২৯)
(০৮)
এক্ষেত্রে আপনার পর্দা রক্ষার্থে আপনার স্বামীর উচিত হলো আপনার জন্য আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।
অন্যথায় আপনি ঘর হতে বের হওয়ার সময় হিজাব পড়ে চেহারা ঢেকে বের হবেন।
এরপরেও যদি পর্দা রক্ষা করা কষ্টকর হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে আপনি যদি বাবার বাসায় যান,এতে আপনার গুনাহ হবেনা।
(০৯)
ক.. দাদা যদি নাতনীর জন্য ছেলের নামে জমি লিখে দেয় সেক্ষেত্রে নাতনী হকদার হবেনা।
খ. বাবা মারা যাওয়ার আগে সন্তান বাবার সম্পদের অংশ পাবে না।
হ্যাঁ যদি বাবা সন্তুষ্টি চিত্তে তাকে লিখে দেয়,সেক্ষেত্রে সে সেটির মালিক হবে।
১০. প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে তাদের সাথে কথা বলার বিধানঃ-
ফিতনার আশঙ্কা থাকলে তো তাদের সাথে কথা বলা কোনোক্রমেই জায়েজ নেই।
ফিতনার আশঙ্কা না থাকলেও বিনা প্রয়োজনে কথা বলা যাবেনা।
প্রয়োজন বশত হলে সেক্ষেত্রে পূর্ণ পর্দার আড়ালে থেকে হলে তাহা মুবাহ।
যেমনঃ পরপুরুষের সাথে কোনো বেগানা মহিলার কথা বলার প্রয়োজন হলে তখন কথার শুরুতে সালাম আদান-প্রদান করতে পারবে।
গায়রে মাহরামদের সাথে জরুরী বিষয়ে কথা বলতে হলে নারীদের জন্য গায়রে মাহরামের সাথে কথা বলতে গিয়ে কর্কশ ভাষায় কথা বলা সবচেয়ে ভালো।
সুমিষ্ট মোলায়েম স্বরে নয়।
তবে এক্ষেত্রে কর্কশ ভাষায় কথা বলা সমস্যাকর বা বিরক্তিকর মনে হলে বা এভাবে কথা বলতে না পারলে সেক্ষেত্রে মুখের ওপর হাত রেখে কণ্ঠ বিকৃত করে পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলবে।
১১.
আপনি যেহেতু আপনার স্বামীকে মন থেকে মাফ করে দিয়েছেন, সুতরাং আপনার স্বামী যদি মোহরানা বাবদ আপনাকে আর একটি টাকাও না দেন, সেক্ষেত্রেও এর জন্য তার কোনো আজাব হবে না, কিয়ামতের ময়দানে এর জন্য তাকে কোন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে না।
এর জন্য তাকে কবরে হিসাব দিতে হবেনা।
আপনি যেহেতু তাকে মাফ করে দিয়েছেন,সুতরাং আপনিও তার থেকে আর কোন মোহরানার দাবি করতে পারবেন না।
★ কাবিন নামা তো এটা শরীয়তের কোন নিয়ম নয়, এটি আমাদের রাষ্ট্রের নিয়ম।
এটি সংশোধন করা বা না করা এটা আমাদের রাষ্ট্রের আইনের সাথে সম্পৃক্ত, শরীয়তের আইনের সাথে আর কোন সম্পর্ক নেই।
১২.
আপনি যে লিংক পাঠিয়েছেন সেখানে তিনটি ছবি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম ছবিতে প্রাণীর মাথা চোখ চেহারা দেখা যাচ্ছে।
আর দ্বিতীয় ছবিতে মাথা কান চোখ দেখা যাচ্ছে।
উভয় ছবিতেই চেহারা কিছুটা স্পষ্ট হওয়ায় এগুলো জায়েজ নেই।
এগুলো তৈরি করা এবং ঘরে রাখা জায়েজ হবেনা।
শেষের ছবিতে চেহারা নাক মুখ কোন কিছুই স্পষ্ট নয়, তাই এটার অনুমোদন রয়েছে।
তবে এটিকেও অনেকে অনুচিত বলেছেন।