আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
১. Assalamu alaikum. Versityr hall er gosolkhanay ফ্লোরে কোনো নাপাক আছে কিনা জানি না,,এক্ষেত্রে এখানে ওজু করার সময় পানি ছিটে শরীরে পড়লে কি ওজু হবে না?
আর আমার ওয়াসওয়াসার সমস্যা আছে,প্রস্রাবের পর ৩-৪ বদনা পানি নিলেও আসার পর মনে হয় এখানে মনে হয় ধুই নি,,তখন গোসল না করা পর্যন্ত নিজেকে নাপাক মনে হয়।এর থেকে পরিত্রানের উপায় কি?

2. আসসালামু আলাইকুম আমার কাছের একজনের হয়ে জানতে চাওয়া।
ক. আমি যেমন লাইফপার্টনার চাই তেমন একজন মানুষকে সবসময় কল্পনা করা কি গুনাহের অন্তর্ভুক্ত? কোনো নির্দিষ্ট মানুষকে না। এমনি একটা পুরুষকে কল্পনা করা। কল্পনায় তাকে নিয়ে সংসার, বাচ্চা এমনকি ফিউজিক্যাল রিলেশন নিয়ে কল্পনা করা, এগুলো কি যিনা এর মধ্যে পড়ে?

খ. আমার দুআগুলো অনেক বড়। তাই আমি আজান ও ইকামাতে সময় মন ভরে সব দুআ করতে পারি না। আমি কি আজান ও ইকামাতের সময় এমন ভাবে বলতে পারবো – “আল্লাহ আমার প্রতিটি দুআ উত্তম ভাবে কবুল করে নিন”। এই এক লাইনের দুআয় কি আমার সবগুলো দুআ কভার হবে?
গ. আমল আল্লাহর জন্য করতে হয়। অনেকে ইস্তেগফার, দুরুদ পড়ে দুআ কবুলের নিয়তে। এতে নিয়তটা দুনিয়া কেন্দ্রীক হয়ে যায়, যার ফায়দা আখিরাতে নেই।
তো আমি যদি নিয়ত করি – “আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের জানা-অজানা সমস্ত ফজিলত আফিয়াহ ও খইরের সাথে লাভ”  এই নিয়ত দুনিয়া আর আখিরাতে উভয়ে কাজে আসবে? নাকি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়তে আমল করবো। যেমন ইস্তেগফার, দুরুদ, স্পেসিফিক কিছু কুরআনের দুআ, যিকির।

৩. Assalamualaikum.. Akjon meye ki YouTube e tar  art& craft  er video upload kortey parbe? nije k প্রদর্শন kora Sara এবং voice দেওয়া ছাড়া। শুধু মাত্র craft এর video?

৪. আসসালামু আলাইকুম,  আমার একজনের সাথে বিয়ের আলাপ আসে অর্ধেকদ্বীন পেইজ থেকে।  উনি যেদিন যোগাযোগ করেন ওইদিনই ফজরের পরপর আমি স্বপ্নে দেখি এ পেইজের অফিসে আমি আর আব্বু গেছি একজন লোক আড়ালে থেকে আমাদের দেখছিল।৷
ঘুম থেকে উঠার পর উনি আব্বুকে কল করে প্রস্তাব দেন৷ তারপর যখন পাত্রের ছবি দেখি তখন অবাক লাগে যাকে স্বপ্নে দেখলাম আমাদের আড়াল থেকে দেখতে অনেকটাই উনার মত৷ ৮ মাস ধরে ২/৩ বার উনার সাথে আমার বিয়ের কথাবার্তা ঠিকঠাক হয়েও ভেঙে যাচ্ছে, একবার আমাদের দিক থেকে আরেকবার উনাদের দিক থেকে।
উনি প্রস্তাব দেয়ার আগেই যে আমি উনাকে স্বপ্নে দেখেছিলাম এটার ব্যাখ্যা কি হতে পারে জানাবেন প্লিজ।

৫. আসসালামু আলাইকুম আমার প্রশ্ন হলো
ক.- বর্তমানে এমন কাপড় পরে মেয়েরা নামায পড়ে যা বাহির থেকে ভিতরের কাঠামো বোঝা যায় এমন কাপড় পরে মেয়েরা নামায পড়তে পারবে কী?
খ. - কোনো মেয়ে গায়রে মাহরামে সাথে কী এসব কথা বলতে পারবে- সালাম দেওয়া, কেমন আছে জিজ্ঞাসা করা ইত্যাদি।

৬. আসসালামু আলাইকুম
মিরাজের আগে কি কোনো নামাজ ছিলো?একজন বলতেছে ২ ওয়াক্ত নামাজ ছিলো?
জাঝাকুমুল্লহু খইর

৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ
 আমার আব্বু আমার আম্মু কে অনেক মারধর করে অনেক আগে থেকে আর অনেক গালিগালাজ করে।আম্মু আব্বুর উপর এতো  বেশি কষট পেয়েছে যে আব্বুর সাথে আর কোন কথাই বলে না  এক রুমে থাকেও না। আবার তালাক দিতেও চায় না কারন আমার নানা নানু বেচে নেই। তালাক দিয়ে জাওয়ার কোথাও জায়গা নেই। আম্মু আগে অনেক চেস্টা করেছে আব্বু কে ভাল হওয়ার জন্য কিন্তু আব্বু ভালো হয় না। সামান্য কথা কাটাকাটি হলেই ধরে মারে। এ ক্ষেত্রে আমার আম্মু কি করতে পারে?? আলাদা থাকলে কি আম্মুর গোনাহ হবে?

৮. আসসালামু আলাইকুম।
আমার বাসুর অবিবাহিত।শশুড়বাড়িতে বাসুরের সামনে পড়ে যায় হুটহাট।আর উনাকে বুঝালে বুঝেনা সামনে চলে আসে হালকা মানসিক সমস্যা আছে উনার।এমনিতে সবকিছু বুঝে।এক্ষেত্রে আমার পর্দা রক্ষার্থে আমার স্বামীর কি উচিত নয় আমাকে আলাদা রাখা যদিও উনার মা-বাবা কষ্ট পায়।আর স্বামী যদি রাজি নাহয় আলাদা রাখতে স্বামীর কথা না শুনে আমি কি বাবার বাড়ি থাকতে পারবো?

৯. আসসালামু আলাইকুম।
ক.. দাদা যদি নাতনীর জন্য ছেলের নামে জমি লিখে দেয় সেক্ষেত্রে নাতনী আদৌ হকদার হবে? কেননা জমি নাতনীর পড়াশোনা বা বিয়ের জন্য খরচ করার জন্য বলে দিলেও দিয়েছে তো উনার ছেলের নামেই লিখে।
খ.  বাবা মারা যাওয়ার আগে সন্তান বাবার সম্পদের অংশ পাবে না?

১০. আমার স্বামী যদি আমাকে চাকরি পেতে বাধ্য করে, (চাকরি পেতে হলে আমার রেজাল্ট ভালো করতে হবে এবং তার জন্য আমাকে নন মাহারাম টিচারদের সাথে ভালোভাবে কথা বলতে হবে,আর আমার বাবা মাও এটাই চায় যাতে আমি রেজাল্ট ভালো করে ভালো চাকরি করি,তারা আসলে আমাকে নিয়ে গর্বিত হতে চায়)এক্ষেত্রে যদি আমি নন মাহারাম টিচার বা ব্যাচমেট দের সাথে কথা বলি,তাহলে কি গুনাহ হবে?সে আমাকে ডিভোর্স এর ভয় দেখিয়েছে যদি ভালো চাকরি না পাই

১১. আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ।
আমার বিয়ের ৩য় বছর চলছে। বিয়ের সময় কাবিনে দেনমোহর ধরা হয় ১০ লক্ষ টাকা এবং ৫ ভরি স্বর্ণ। বিয়ের সময় স্বর্ণ প্রায় ৫ ভরি + দেয়। সাজানি দেয় ৭০/৮০ টাকার মতো। কত টাকা জানি উসুল লিখা  হয় আমার মনে নেই কিছু। বিয়ের সময় আমার বাবার বাড়ি থেকে ৮/১০ টা সমাজের বিয়ের রীতিতে ১০ লক্ষ টাকা মোহরানা ধরে ।তখন আমি মাত্র এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছি।দ্বীনের কোনো বুঝ / জ্ঞান কিছুই ছিলো না আমার।আমার স্বামী দেশের বাহিরে থাকে, ওর ইনকাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো । কিন্তু ওর দ্বারা ওই মুহুর্তে ১০ লক্ষ টাকা মোহরানা নগদ পরিশোধ করে বিয়ে করা সাধ্য ছিলো না। কিন্তু কে বুঝাবে কাকে, ছেলের বাড়ি থেকে একজন লোক একবার বলে, কিন্তু আমার বাবা সমাজের বিয়ের মত বলায় ওরা বাড়াবাড়ি করে নি। বিয়ের রাতে আমার স্বামী আমাকে সবকিছু বুঝিয়ে বলে। আমি আমার স্বামী কে মন থেকে মাফ করে দিই।আমার দ্বীনের বুঝ এসেছে  ১- দেড় বছর। অনলাইনে একটা মাদ্রাসায় পড়ি। যেদিন উস্তাদ বিয়ের মোহরানার বিষয়ে দারস পড়ায়। সেদিন থেকে আমার কেমন যেন লাগে।সবসময় নিজেকে ছোট ছোট লাগে। মনে হয় আমার বাবা আমার স্বামীকে জোর করে তার উপর কিছু চাপিয়ে দিয়েছে। এখনো আমার মোহরানা পরিশোধ হয় নি।আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমার দেনমোহর যদি ১ লক্ষ টাকা হতো হয়তো আমার স্বামী অনেক আগে পরিশোধ করতে পারত।আমি চাচ্ছি আমার কাবিনে সবকিছু ঠিক রেখে শুধু দেনমোহর টা চেঞ্জ করতে। ইসলামি শরীয়াহ তে এমন কোনো নিয়ম আছে কাবিন সংশোধনের।সত্যিই বলতে কি - আমার কোনো দাবি নেই এই দেনমোহর নিয়ে আমার স্বামীর উপর । আমি মন থেকে চাচ্ছি এটা।
আমি কি করতে পারি?  আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি যদি মারা যাই এই মুহুর্তে ওকে( আমার স্বামীকে) হয়তো কখনো তার কবরে হিসাব দিতে হবে আমার মোহরানা নিয়ে। আমার কাছে অনেক ঝঞ্জাট মনে হচ্ছে এই বিষয়টি।আমার স্বামীর উপর তো এটা একটা দায়বদ্ধতা। আমি চাচ্ছি না আমার স্বামী আমার জন্য এমন একটা বিষয় নিয়ে দায়বদ্ধ থাকুক।

১২. আসসালামু আলাইকুম
এই তিনটি ছবি সম্পর্কে আলাদা আলাদা ভাবে জানতে চাচ্ছিলাম - এগুলো তৈরি করা  এবং ঘরে রাখা কি জায়েজ হবে?

দয়া করে প্লিজ আমাকে উত্তরটা জানাবেন।

ছবি লিংক:

https://www.facebook.com/groups/ifatwa.info/permalink/1305328157842845/

1 Answer

0 votes
by (704,310 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ফ্লোরে কোনো নাপাক আছে কিনা আপনি নিশ্চিত নন,অযথা সন্দেজ কাজ করছে,এক্ষেত্রে এখানে ওজু করার সময় পানি ছিটে শরীরে পড়লে ওজু হবে।

তবে যদি আপনি নিশ্চিত হন বা আপনার যদি প্রবল ধারণা হয় যে ফ্লোরে নাপাক আছে তাহলে এক্ষেত্রে শরীরে/কাপড়ে সে পানি ছিটে আসা স্থান পাক করতে হবে।

আপনার ওয়াসওয়াসা থেকে পরিত্রানের উপায় হলো এটিকে পাত্তা না দেয়া। 

2. 
ক. 
এ ধরনের কল্পনা করা উচিত নয়।

ফিউজিক্যাল রিলেশন নিয়ে কল্পনা মনের যিনা এর মধ্যে পড়ে।

আপনার জন্য দ্রুত বিবাহ জরুরী। 

খ. সাধারণত মাগরিবের আজান ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত নামাজের আজানের পর কমপক্ষে 15 মিনিটের মতো সময় থাকে একামতের আগ পর্যন্ত।

তাই আপনি আপনার মনের বিস্তারিত বিষয় আল্লাহর কাছে দোয়ায় বলতে পারবেন, আশা করি সমস্যা হবে না।

গ.  ইস্তেগফার, দুরুদ দুআ কবুলের নিয়তে পড়লে নিয়তটা দুনিয়া কেন্দ্রীক হয়ে যায়,এ কথা বলা সহীহ নয়।

৩. 
শরীয়ত সম্মত ভিডিও হলে তাহা আপলোড দেয়া যাবে।

আরো জানুনঃ- 
৪. উক্ত স্বপ্নের ব্যাখ্যা হলো আপনার সম্মান বাড়বে।

এক্ষেত্রে আপনাদের বিবাহ হতে পারে।
তবে শতভাগ এমনটি হবেই,এটি সহীহ নয় 

৫. ঢিলেঢালা হলে আর সেখানে কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষ না থাকলে এতে সমস্যা নেই।

খ. - ফিতনার  আশঙ্কা থাকলে তো কোনোক্রমেই জায়েজ নেই।

ফিতনার আশঙ্কা না থাকলেও বিনা প্রয়োজনে গাইরে মাহরাম মহিলাকে সালাম দেওয়ার ঠিক নয়।

প্রয়োজন বশত হলে সেক্ষেত্রে পূর্ণ পর্দার আড়ালে থেকে হলে তাহা মুবাহ।

যেমনঃ পরপুরুষের সাথে কোনো বেগানা মহিলার কথা বলার প্রয়োজন হলে তখন কথার শুরুতে সালাম আদান-প্রদান করতে পারবে। 

গায়রে মাহরামদের সাথে জরুরী বিষয়ে কথা বলতে হলে নারীদের জন্য গায়রে মাহরামের সাথে কথা বলতে গিয়ে কর্কশ ভাষায় কথা বলা সবচেয়ে ভালো। 
সুমিষ্ট মোলায়েম স্বরে নয়।

তবে এক্ষেত্রে কর্কশ ভাষায় কথা বলা সমস্যাকর বা বিরক্তিকর মনে হলে বা এভাবে কথা বলতে না পারলে সেক্ষেত্রে মুখের ওপর হাত রেখে কণ্ঠ বিকৃত করে পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ 

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

 হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে বিনম্র হয়ে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে পৌরষত্ব আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে। {সূরা আহযাব-৩২}

আরো জানুনঃ- 

৬. মিরাজের আগে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ ছিল না।

প্রথমে রাতের নামাজ (কিয়ামুল লাইল) ফরজ ছিল, পরে নফল করা হয়।

কিছু আলেমের মতে মিরাজের আগে দু’বার দুই রাকাত করে নামাজ ছিল (সকাল ও সন্ধ্যায়), তবে তা সর্বসম্মত নয়।

(০৭)
স্বামীকে আল্লাহর রাসূল ﷺ স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন:

“তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর প্রতি সর্বোত্তম।”
(সুনান তিরমিজি, হাদিস ৩৮৯৫)

অযথা মারধর ও গালাগাল হারাম, এটি গুনাহে কবীরা (বড় গুনাহ)। কুরআনে স্পষ্ট নিষেধ আছে:

وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ
“তোমরা তাদের (স্ত্রীর) সাথে উত্তমভাবে বসবাস কর।”
(সূরা আন-নিসা: ১৯)

মারধর ও কষ্ট দেওয়া জুলুম, এবং জালিমের জন্য কঠিন শাস্তির হুঁশিয়ারি আছে।

★ এ অবস্থায় আপনার আম্মুর করণীয়:

শরীয়াহ তিনটি বিকল্প দেয়:

(ক) স্বামীকে সংশোধনের চেষ্টা

প্রথমে উপদেশ, পরামর্শ, পরিবার থেকে বয়স্কদের হস্তক্ষেপ। কিন্তু আপনি বলেছেন, আম্মু অনেক চেষ্টা করেছেন, কাজ হয়নি।

(খ) মুরব্বিদের মিমাংসার ভিত্তিতে আলাদা থাকা (তালাক না দিয়ে)

স্ত্রী যদি মারধরের ভয় পায় বা স্বামীর সাথে থাকা কষ্টকর হয়, তাহলে আলাদা থাকা জায়েজ।

দলিল:
وَإِنِ امْرَأَةٌ خَافَتْ مِن بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يُصْلِحَا بَيْنَهُمَا صُلْحًا
“যদি কোনো স্ত্রী তার স্বামীর অবাধ্যতা বা অবহেলার আশঙ্কা করে, তবে তাদের মধ্যে মীমাংসা করার কোনো দোষ নেই।”
(সূরা আন-নিসা: ১২৮)

অন্য ঘরে থাকা বা সম্পূর্ণ আলাদা বাসায় চলে যাওয়া গোনাহ নয়, বরং নিজের ইজ্জত, জান ও মানসিক সুস্থতার জন্য তা করা বৈধ।

(গ) তালাক বা খোলার উদ্যোগ নেওয়া

যদি সংশোধনের আশা না থাকে, তালাক চাওয়া জায়েজ।

খোলা (স্ত্রী পক্ষ থেকে বিচ্ছেদ) সম্ভব, যদি স্বামী তালাক না দেয়।

কুরআনে বলা হয়েছে:
فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ
“তাহলে হয় উত্তমভাবে ধরে রাখা, নয়তো সুন্দরভাবে ছেড়ে দেওয়া।”
(সূরা বাকারা: ২২৯)

(০৮)
এক্ষেত্রে আপনার পর্দা রক্ষার্থে আপনার স্বামীর উচিত হলো আপনার জন্য আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। 

অন্যথায় আপনি ঘর হতে বের হওয়ার সময় হিজাব পড়ে চেহারা ঢেকে বের হবেন।

এরপরেও যদি পর্দা রক্ষা করা কষ্টকর হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে আপনি যদি বাবার বাসায় যান,এতে আপনার গুনাহ হবেনা। 


(০৯)
ক.. দাদা যদি নাতনীর জন্য ছেলের নামে জমি লিখে দেয় সেক্ষেত্রে নাতনী হকদার হবেনা।

খ.  বাবা মারা যাওয়ার আগে সন্তান বাবার সম্পদের অংশ পাবে না।

হ্যাঁ যদি বাবা সন্তুষ্টি চিত্তে তাকে লিখে দেয়,সেক্ষেত্রে সে সেটির মালিক হবে।

১০. প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে তাদের সাথে কথা বলার বিধানঃ-
ফিতনার  আশঙ্কা থাকলে তো তাদের সাথে কথা বলা কোনোক্রমেই জায়েজ নেই।

ফিতনার আশঙ্কা না থাকলেও বিনা প্রয়োজনে কথা বলা যাবেনা।

প্রয়োজন বশত হলে সেক্ষেত্রে পূর্ণ পর্দার আড়ালে থেকে হলে তাহা মুবাহ।

যেমনঃ পরপুরুষের সাথে কোনো বেগানা মহিলার কথা বলার প্রয়োজন হলে তখন কথার শুরুতে সালাম আদান-প্রদান করতে পারবে। 

গায়রে মাহরামদের সাথে জরুরী বিষয়ে কথা বলতে হলে নারীদের জন্য গায়রে মাহরামের সাথে কথা বলতে গিয়ে কর্কশ ভাষায় কথা বলা সবচেয়ে ভালো। 
সুমিষ্ট মোলায়েম স্বরে নয়।

তবে এক্ষেত্রে কর্কশ ভাষায় কথা বলা সমস্যাকর বা বিরক্তিকর মনে হলে বা এভাবে কথা বলতে না পারলে সেক্ষেত্রে মুখের ওপর হাত রেখে কণ্ঠ বিকৃত করে পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলবে।

১১. 
আপনি যেহেতু আপনার স্বামীকে মন থেকে মাফ করে দিয়েছেন, সুতরাং আপনার স্বামী যদি মোহরানা বাবদ আপনাকে আর একটি টাকাও না দেন, সেক্ষেত্রেও এর জন্য তার কোনো আজাব হবে না, কিয়ামতের ময়দানে এর জন্য তাকে কোন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে না।

এর জন্য তাকে কবরে হিসাব দিতে হবেনা।

আপনি যেহেতু তাকে মাফ করে দিয়েছেন,সুতরাং আপনিও তার থেকে আর কোন মোহরানার দাবি করতে পারবেন না।

★ কাবিন নামা তো এটা শরীয়তের কোন নিয়ম নয়, এটি আমাদের রাষ্ট্রের নিয়ম।

এটি সংশোধন করা বা না করা এটা আমাদের রাষ্ট্রের আইনের সাথে সম্পৃক্ত, শরীয়তের আইনের সাথে আর কোন সম্পর্ক নেই।

১২. 
আপনি যে লিংক পাঠিয়েছেন সেখানে তিনটি ছবি দেখা যাচ্ছে।

প্রথম ছবিতে প্রাণীর মাথা চোখ চেহারা দেখা যাচ্ছে।

আর দ্বিতীয় ছবিতে মাথা কান চোখ দেখা যাচ্ছে।

উভয় ছবিতেই চেহারা কিছুটা স্পষ্ট হওয়ায় এগুলো জায়েজ নেই।
এগুলো তৈরি করা  এবং ঘরে রাখা জায়েজ হবেনা।

শেষের ছবিতে চেহারা নাক মুখ কোন কিছুই স্পষ্ট নয়, তাই এটার অনুমোদন রয়েছে।

তবে এটিকেও অনেকে অনুচিত বলেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (704,310 points)
বিঃদ্রঃ আপনি প্রায়ই প্রশ্নেই এক সাথে একাধিক প্রশ্ন করছেন।অনেক অনেক প্রশ্ন এক সাথে করছেন।

আপনার একটি প্রশ্নের জবাব দিতেই আধা ঘন্টার  মতো সময় লাগে।
অনেক সময় আরো বেশি সময় লেগে যায়।


তাই আপনার প্রতি পরামর্শঃ 
শুধুমাত্র নিজের জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশ্ন করার পরামর্শ থাকবে। 
অন্যের প্রশ্ন অন্যদেরকে করার সুযোগ দিলে ভালো হয়।

আপনি শুধুমাত্র আপনার প্রশ্নটি করবেন।
জাযাকাল্লাহ। 
by (21 points)
জাযাকাল্লাহু খইরন উস্তায। আইফতোয়া ফেসবুক গ্রুপে অনেক প্রশ্ন জমা হয়। তারা অনেকেই ওয়েবসাইটে প্রশ্ন করতে পারেননা। তাই তাদের জন্য প্রশ্ব গুলো করা হতো।
আফওয়ান উস্তায

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...