আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
798 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
আমি এবং আমার হাজব্যান্ড একটি অমুসলিম দেশে বসবাস করি। এখানে আমরা হালাল উপার্জন করি, আলহামদুলিল্লাহ।  আমার হাজব্যান্ড দাড়ি রেখেছে, আমিও হিজাব-বোরখা পরা সহ ইসলামের প্রায় সকল বিধান যথাসাধ্য পালন করতে পারি, কোনরকম বাধা বা অসুবিধা ছাড়া। কোন ইসলাম পরিপন্থীকাজ বা অশ্লীল কোনকিছু আমরা সচেতনভাবে কখনো করিনা, আলহামদুলিল্লাহ।  এরকম অবস্থায় কি আমরা অমুসলিম দেশে বসবাস করতে পারবো?

উল্লেখ্য,  সুযোগ পেলেই আমরা বিভিন্ন দাওয়াহ সংক্রান্ত কাজে অংশগ্রহণ করি।

বাংলাদেশে মেয়েদের এত বেশি অনিরাপদ অবস্থা, আমি নিজেও দেশে থাকতে অনেক হেনস্তার স্বীকার হয়েছি, বিশেষ করে এ কারণে দেশে ফিরে যেতে ভয় লাগে।

1 Answer

0 votes
by (696,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/12752 নং ইতিপূর্বে আমরা এ ব্যাপারে  বলেছি যে,
কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও জীবিকা উপার্জনের কোন সোর্স ব্যবস্থা করতে না পারে, এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাপারে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো অমুসলিম দেশে জায়েয কোনো চাকরি পেয়ে যায়,তাহলে দু’টি শর্ত সাপেক্ষে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং বসবাস করা জায়েয হবে।
যথাঃ- 
এক. সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে। দুই. সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।

কেননা, হালাল জীবিকা অন্বেষণ করাও ফরজ ইবাদতসমূহের পর একটি অন্যতম ফরজ কাজ। আর জীবিকা উপার্জনের জন্য ইসলাম কোনো জায়গাকে নির্দিষ্ট করে দেয়নি। বরং জীবিকা উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের ব্যাপক অনুমতি রয়েছে যে, যেখান থেকে ইচ্ছা করবে সেখান থেকে জীবিকা উপার্জন করতে পারবে। 
যেমন কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে :
ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﺟﻌﻞ ﻟﻜﻢ ﺍﻻﺭﺽ ﺫﻟﻮﻻ ﻓﺎﻣﺸﻮﺍ ﻓﻲ ﻣﻨﺎﻛﺒﻬﺎ ﻭﻛﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﺭﺯﻗﻪ ﻭﺍﻟﻴﻪ ﺍﻟﻨﺸﻮﺭ-
“আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন সুগম, সুতরাং তোমরা তাতে ভ্রমণ কর এবং তার দেয়া জীবিকা থেকে আহার কর, তোমাদেরকে তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে”। (সূরা মুলকঃ আয়াত-১৫)

তবে বিনা প্রয়োজনে সেখানে চাকরী এবং বসবাসের কোনো অনুমিত শরীয়তে নেই। তবে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।বা মুসলিম দেশে চাকুরীর কোনো ব্যবস্থা না হলে অমুসলিম দেশ সমূহে যাওয়া যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/3447

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একমাত্র দাওয়াহ এর উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে,তথা আপনি সর্বদা নিজেকে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে ব্যস্ত রাখবেন,এমন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আপনি অমুসলিম দেশ সমূহে পাড়ি জমাতে পারবেন। 

আপনার  বিবরণ অনুযায়ী আপনাদের জন্য অমুসলিম দেশে বসবাসের রুখসত থাকবে। কেননা আপানার সময় সযোগমত দাওয়াহ সংক্রান্ত কাজে অংশ গ্রহণ করে থাকেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...