ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যোহরের আজান হয়ে গেলে যোহর এর সালাত পড়ার আগে নফল নামাজ পড়া যাবে।
(২) যোহর থেকে আসর এর সময় পর্যন্ত নফল সালাত পড়া যাবে।
(৩) মাগরিবের নামাজ হয়ে গেলে, এশার এর আগে নফল বা সুন্নাত নামাজ পড়া যাবে।
৪) ফজরের ওয়াক্ত শেষ।যোহরের আজানের আগ অব্দি নফল নামাজ পড়া যাবে।
(৬)
সুন্নতের সংজ্ঞা ও হুকুম: যে কাজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বা তাঁর সাহাবাগণ করেছেন তাকে 'সুন্নত' বলে। সুন্নত দুই প্রকার: (১) সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ (২) সুন্নতে গায়ের মুয়াক্কাদাহ।
সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ এর সংজ্ঞা ও হুকুম: যে কাজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা তাঁর সাহাবাগণ সব সময় করেছেন, বিনা ওযরে কোন সময় ছাড়েননি তাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ বলে, যেমন- আযান, ইকামত, খতনা, নেকাহ ইত্যাদি।
সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ আমলের দিক দিয়ে ওয়াজিবের মত, অর্থাৎ যদি কেউ বিনা ওযরে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ ছেড়ে দেয় অথবা ছেড়ে দেয়ার অভ্যাস করে, তবে সে ফাসেক ও গোনাহগার হবে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খাছ সাফায়াত হতে বঞ্চিত হবে। কিন্তু ওয়াজিব তরকের গোনাহ অপেক্ষা কম গোনাহ হবে এবং কখনও ওযরবশতঃ ছুটে গেলে তা কাযা করতে হবে না। ওয়াজিব ওযরবশতঃ ছুটে গেলে কাযা করতে হবে।
সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদাহ-এর সংজ্ঞা ও হুকুম: যে কাজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা তার সাহাবাগণ করেছেন, কিন্তু ওযর ছাড়াও কোন কোন সময় ছেড়ে দিয়েছেন, তাকে সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদাহ বা সুন্নতে যায়েদাহ বলে। এটা করলে সওয়াব আছে, কিন্তু না করলে গুনাহ নেই।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1