ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الأَرْضِ جَمِيعاً ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاء فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।( সূরা বাকারা-২৯)
আল্লাহ তা’আলা উনার বিভিন্ন সূষ্টি সম্পর্কে বলেন,
أَفَرَأَيْتُم مَّا تَحْرُثُونَ
তোমরা যে বীজ বপন কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
أَأَنتُمْ تَزْرَعُونَهُ أَمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ
তোমরা তাকে উৎপন্ন কর, না আমি উৎপন্নকারী ?
لَوْ نَشَاء لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ
আমি ইচ্ছা করলে তাকে খড়কুটা করে দিতে পারি, অতঃপর হয়ে যাবে তোমরা বিস্ময়াবিষ্ট।
إِنَّا لَمُغْرَمُونَ
বলবেঃ আমরা তো ঋণের চাপে পড়ে গেলাম;
بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ
বরং আমরা হূত সর্বস্ব হয়ে পড়লাম।
أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاء الَّذِي تَشْرَبُونَ
তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
أَأَنتُمْ أَنزَلْتُمُوهُ مِنَ الْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ الْمُنزِلُونَ
তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি?
لَوْ نَشَاء جَعَلْنَاهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ
আমি ইচ্ছা করলে তাকে লোনা করে দিতে পারি, অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না?
أَفَرَأَيْتُمُ النَّارَ الَّتِي تُورُونَ
তোমরা যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
أَأَنتُمْ أَنشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنشِؤُونَ
তোমরা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছ, না আমি সৃষ্টি করেছি ?
نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِّلْمُقْوِينَ
আমি সেই বৃক্ষকে করেছি স্মরণিকা এবং মরুবাসীদের জন্য সামগ্রী।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আল্লাহ লবণ সৃষ্টি করেছেন যেখানে সোডিয়াম আর ক্লোরিন আছে। এখন গবেষণার প্রয়োজনে কোনভাবে যদি এই সোডিয়াম আর ক্লোরিনকে আলাদা করা হয়, তাহলে তা নাজায়েয হবে না।
(২) প্রয়োজন আলাদা করা যাবে তবে অপ্রয়োজন এভাবে পদার্থ আলাদা করা যাবে না। বরং এটা অপচযের শামিল হবে। এবং গোনাহ হবে।
(৩) যেকোন আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ কি নিজ প্রয়োজন মত ব্যবহার করতে পারবে? যেমনঃ পাহাড় আছে কিন্তু সেটা কেটে রাস্তা বানানো । কেননা পৃথিবীকে আল্লাহ মানুষের জন্যই বানিয়েছেন।
(৪) টাকা ছাড়া হলে এবং দ্বীন বা দুনিয়াবী ফায়দাজনক হলে তথা শিক্ষামূলক হলে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ জায়েজ হবে। তবে অংশ গ্রহণ না করাই উত্তম হবে।