আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম

ওস্তাদ,

১/ ফেসবুক গ্রুপে বা পেইজে অনেক জায়গায় এ মেনশন বা ইনভাইট বা শেয়ার প্রতিযোগিতা চলে। অর্থাৎ কোনো একটি পোস্টে রিয়েক্ট করে তাতে কয়েকজঙ্কে মেনশন করতে হয় ,তারপর তা নিজের আইডিতে শেয়ার করতে হয়, এরপর উক্ত গ্রুপে বা পেইজে  যে যত বেশই পারে তত ইনভাইট করতে হয়। এরপর যে বেশি ইনভাইট দেয় তাকে গিফট দেওয়া হয়।

২/ অনেক সময় ইনভাইট সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয়। শেয়ার, মেনশন। এরপর অনেকে অংশ নিলে পরে সকলের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ১ জন বা ৩ জনকে বিজয়ী করা হয়।(এখেত্রে অনেকে শেয়ার ,মেনশন,ইনভাইট ৩ টাই না দিয়ে কম দিতে পারে, যেমন শুধু ইনভাইট বা মেনশন বা শেয়ার)

৩/অনেকে কুইজ দেয়, পরে কুইজের সঠিক উত্তরদাতার মধ্য থেকে একজনকে লটারীর মাধ্যমে পুরস্কার দেওয়া হয়।(১,২,৩ করার মাধ্যমে তাদের পেইজ বা গ্রুপের রিচ বাড়ে)

৪/ কেও আবার ব্যাবসার খাতিরে প্রোডাক্ট (যামন ম্যাগাজিন) এর ছবি সকলের প্রফাইলে সেট করা শর্ত দেয় এগুলোর সাথে।

সাথে।,

১,২,৩,৪ এ অংশগ্রহন করা কি হালাল হবে?

৫/ একটা ফেসবুক পেইজ থেকে কর্তৃপক্ষ একটা এপ্স তৈরি করেছেন যেখানে প্রতিদিন ৩ টা কুইজ আসে এবং ১ বার স্পিন ঘুরানো যায়, ১ টা কুইজের সঠিক উত্তর দিলে ১০ পয়েন্ট র ১ বার স্পিন ঘুরিয়ে ০-৩৫ পয়েন্ট পর্যন্ত পাওয়া যায়। এরপর মোট পয়েন্ট এভাবে জমতে জমতে ২০০ হলে উক্ত ব্যাক্তি ২০ টাকা রিচারজ করাতে পারে মোবাইলে এবং ১০০০ কয়েন হলে উক্ত ব্যাক্তি ১ টি বই নিতে পারবে পেইজ থেকে।(এতে এপ্স করতিপক্ষ হয়তো এপ্স এর বেশি ব্যবহারকারীর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা পেতে পারে,আমি সিওর জানিনা। তবে তাদের পেইজে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে এটা বানানোর নিয়ত দাওাআহ, তারা এপ্সের জন্য কোনো টাকা পাচ্ছেনা) এটা কি জুয়া বা সুদ হয়? এটা খেলা কি হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,480 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ফিস যদি না থাকে,এবং যদি শরীয়ত বিরোধী কোনো কর্মকান্ড তাতে না থাকে,
তাহলে ছেলেদের জন্য তাতে অংশ গ্রহন জায়েয। তবে যদি ফিস থাকে,তাহলে জায়েয হবে না। কেননা তখন এটা জুয়া হয়ে যাবে,যা পরিস্কার হারাম।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ ۖ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا  [٢:٢١٩]

তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে,তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়। [সূরা বাকারা-২১৯]

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٥:٩٠]
إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَن ذِكْرِ اللَّهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ ۖ فَهَلْ أَنتُم مُّنتَهُونَ [٥:٩١]

হে মুমিনগণ,এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।
শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে? [সূরা মায়িদা-৯০-৯১]

আরো জানুনঃ 

★শরীয়তের বিধান মতে ক্ষেত্র বিশেষে লটারী বৈধ রয়েছে।সব রকম লটারী হারামের অন্তর্ভুক্ত না।

বরং ঐ সমস্ত লটারী-ই হারাম যা দ্বারা কোনো হক্ব বা যোগ্যতা অথবা মালিকানা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। 

কিন্তু যদি পূর্ব থেকেই হক্ব বা অধিকার প্রতিষ্টিত থাকে।কিন্তু উভয় সমান সমান হওয়ার ধরুণ কাউকে অগ্রাধিকার দেওয়া যাচ্ছেনা।এমতাবস্তায় একজনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য লটারির মাধ্যমে তাকে নির্ধারণ করা হচ্ছে। 

এ প্রকার লটারী বৈধ রয়েছে ।যা কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। যেমনঃ- আল্লাহ তা'আলার বানী, 
َ ﻭَﻣَﺎ ﻛُﻨﺖَ ﻟَﺪَﻳْﻬِﻢْ ﺇِﺫْ ﻳُﻠْﻘُﻮﻥ ﺃَﻗْﻼَﻣَﻬُﻢْ ﺃَﻳُّﻬُﻢْ ﻳَﻜْﻔُﻞُ ﻣَﺮْﻳَﻢَ ﻭَﻣَﺎ ﻛُﻨﺖَ ﻟَﺪَﻳْﻬِﻢْ ﺇِﺫْ ﻳَﺨْﺘَﺼِﻤُﻮﻥَ
"আপনি তখন তাদের কাছে উপস্থিত ছিলেন না। যখন তারা লটারীর মাধ্যমে প্রতিযোগিতা করছিল যে, কে মারইয়ামকে প্রতিপালন করবে। এবং আপনি তাদের কাছে ছিলেন না, যখন তারা এ নিয়ে ঝগড়া করছিলো।"(সূরা-আলে ইমরান-৪৪)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1505

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(১.২.৩.৪)
এখানে যেহেতু ফিস দিতে হয়না,সুতরাং  এক্ষেত্রে শরীয়াহ বিরোধী কোনো কাজ না থাকলে এক্ষেত্রে অংশগ্রহন করা হালাল হবে।
এই গিফট গ্রহন জায়েজ আছে।

(০৫)
এখানেও যেহেতু ফিস এর বিষয় নেই,আর পাশাপাশি রেফারের বিষয়ও নেই।

তাই এটি হালাল।

এটি জুয়া বা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 89 views
...