আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। একসাথে ব্যবসা করি সুবাধে একজনের কাছে থেকে কিছু টাকা  নিয়েছিলাম।। সেটা তিনি ধার হিসেবে দিয়েছিলেন কিনা জানি না। চেয়েছিলাম্ন,উনিও দিয়েছিলেন।  অল্প টাকা ই। তবে ফেরত দেয়ার  সময় ঊনি টাকা টা নিতে না চাইলেও আমি জোর করে দিয়েছি। দেয়ার পরে উনি আমাকে বলতেছে যে," উলটা এটা ফেরত দিয়ে আপনি আমাকে ঋনি করে দিলেন। এই টাকা আমি আপনাকে আবার কোনো না কোনো ভাবে ফিরায় দিব""

আমি বললাম --- এই টাকা টা আপনার আমাকে ফেরত দিতে হবে না। আপনার যদি নিতে খারাপ লাগে আপনি এটা ভালো কাজে দান করে দিয়েন। পরে উনি বললেন -- আচ্ছা সময় সুযোগ মত তাই করবো। কিন্তু তার পরের দিন আমি আবার উনাকে বললাম যে, -"'''আসলে আপনাকে  যেই টাকা ফেরত দিলাম সেটার মালিক আপনি। আপনি আপনার ইচ্ছা মত এটা খরচ করতে পারেন। দান করার কথা বলেছিলাম যাতে আমাকে ফেরত না দেন সেই জন্য। আপনার টাকা। আপনার যা ইচ্ছা তাই করেন ভাই"""""

১)))) আমার কি ধার করা টাকা শোধ করা হয়েছে?? নাকি দান করতে বলা তে কোনো সমস্যা হবে?

২))) আমি উনাকে দানের কথা বললাম, উনি প্রথমে বললেন করবেন দান, পরে আবার আমি না করেছি,  যা ইচ্ছা করতে বলেছি কারন উনি মালিক টাকার,  যদি এখন উনি দান না করেন তাহলে কি কোনো গুনাহ হবে উনার৷ বা আমার?
by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমাকে উত্তর দেয়া হয়েছে এই প্রশ্নের । আমার এই প্রশ্ন প্রথমে এপ্রোভ হয়নি। তাই আবার করেছিলাম। পরে উত্তর পেয়েছিলাম। ধন্যবাদ। 

1 Answer

0 votes
by (737,820 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
" উলটা এটা ফেরত দিয়ে আপনি আমাকে ঋনি করে দিলেন। এই টাকা আমি আপনাকে আবার কোনো না কোনো ভাবে ফিরায় দিব"

যেহেতু এখানে উনি বলছেন, ফেরত দিয়ে আপনি আমাকে ঋণী বানিয়ে দিলেন। এই কথার দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, তিনি ধার দেয়ার টাকা উসূল হিসেবেই গ্রহণ করছেন। সুতরাং পরবর্তী আপনাকে আর ঋণ ফিরিয়ে দিতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...