আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,609 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
এটা কি কোন হাদীসে আছে??  রমজানের 30 দিনের 30 ফজিলত
1ম রমজানে = রোজাদারকে নবজাতকের মত
নিষ্পাপ করে দেওয়া হয়।
2য় রমজানে = রোজাদারের মা -বাবাকে মাফ করে
দেওয়া হয়।
3য় রমজানে = একজন ফিরিস্তা আবারও
রোজাদারের ক্ষমার ঘোষনা দেয়।
4র্থ রমজানে = রোজাদারকে আসমানী বড় বড়
চার কিতাবের বর্ন সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়।
5ম রমজানে= মক্কা নগরীর মসজিদে হারামে
নামাজ আদায়ের সাওয়াব দেওয়া হয়।
6ষ্ঠ রমজানে= ফিরিস্তাদের সাথে 7ম আকাশে
অবস্থিত বাইতুল মামূর
তাওয়াফের সাওয়াব প্রদান করা হয়।
7ম রমজানে= ফিরাউনের বিরুদ্ধে মুসা আঃ এর
পক্ষে সহযোগিতা করার সমান সাওয়াব প্রদান করা
হয়।
8ম রমজানে =রোজাদারের উপর হযরত
ইবরাহীম আঃ এর মতো রহমত- বর্ষিত হয়।
9ম রমজানে= নবী-রাসূলদের সাথে দাড়িয়ে
ইবাদতের সমান সাওয়াব দেওয়া হয়।
10ম রমজানে= রোজাদারকে উভয় জাহানের
কল্যাণ দান করা হয়।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by
জবাব
সিয়াম আরবী শব্দ।আর রোজা ফার্সি শব্দ।

উইকিপিডিয়াতে রোযা সম্পর্কে অত্যন্ত তাত্বিক আলোচনা রয়েছে,

রোজা শব্দের অর্থ হচ্ছে 'বিরত থাকা'। আর আরবিতে এর নাম সাওম, বহুবচনে সিয়াম। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার,কামাচার, পাপাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস ও অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকার নাম রোজা।


কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে,

"হে যারা ঈমান এনেছ তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে করে তোমরা তাক্ওয়া অবলম্বন করতে পার"। (সূরা বাকারা: ১৮৩)[২]
হযরত আদম যখন নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার পর তাওবাহ করেছিলেন তখন ৩০ দিন পর্যন্ত তার তাওবাহ কবুল হয়নি। ৩০ দিন পর তার তাওবাহ কবুল হয়। তারপর তার সন্তানদের উপরে ৩০টি রোযা ফরয করে দেয়া হয়।[ফাতহুল বারী-৪/১০২]

নূহ (আ.)-এর যুগেও রোজা ছিল। কারণ, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন:
হযরত নূহ (আ.) ১ লা শাওয়াল ও ১০ জিলহজ ছাড়া সারা বছর রোযা রাখতেন।— ইবনে মাজাহ ১৭১৪ (সনদ দুর্বল)

হযরত ইবরাহীমের যুগে ৩০টি রোজা ছিল বলে কেউ কেউ লিখেছেন।

হযরত দাউদ (আ.) এর যুগেও রোযার প্রচলন ছিল। হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় রোযা হযরত দাউদ (আ.)-এর রোযা। তিনি একদিন রোযা রাখতেন এবং একদিন বিনা রোযায় থাকতেন।[মিশকাত-১৭৯]

হাদীসের আপনার বর্ণিত কথা কোনো ভিত্তি আমরা খুজে পেতে সক্ষম হইনি-
1ম রমজানে = রোজাদারকে নবজাতকের মত
নিষ্পাপ করে দেওয়া হয়।
2য় রমজানে = রোজাদারের মা -বাবাকে মাফ করে
দেওয়া হয়।
3য় রমজানে = একজন ফিরিস্তা আবারও
রোজাদারের ক্ষমার ঘোষনা দেয়।
4র্থ রমজানে = রোজাদারকে আসমানী বড় বড়
চার কিতাবের বর্ন সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়।
5ম রমজানে= মক্কা নগরীর মসজিদে হারামে
নামাজ আদায়ের সাওয়াব দেওয়া হয়।
6ষ্ঠ রমজানে= ফিরিস্তাদের সাথে 7ম আকাশে
অবস্থিত বাইতুল মামূর
তাওয়াফের সাওয়াব প্রদান করা হয়।
7ম রমজানে= ফিরাউনের বিরুদ্ধে মুসা আঃ এর
পক্ষে সহযোগিতা করার সমান সাওয়াব প্রদান করা
হয়।
8ম রমজানে =রোজাদারের উপর হযরত
ইবরাহীম আঃ এর মতো রহমত- বর্ষিত হয়।
9ম রমজানে= নবী-রাসূলদের সাথে দাড়িয়ে
ইবাদতের সমান সাওয়াব দেওয়া হয়।
10ম রমজানে= রোজাদারকে উভয় জাহানের
কল্যাণ দান করা হয়।এটা বানোয়াট ও জাল।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 237 views
...