আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in সাওম (Fasting) by (11 points)
আসস্লামু ওয়া আলাইকুম সায়েখ।

১। আমি যেখানে থাকি সেখানে রাত ৩.৩০ এর দিকে ফজর হয়। তো রাত ১১ টায় এক বার খাবার খাই যে এটাই সেহেরি হিসেবে। তার পর হয়ত আজানের আগ পর্জন্ত পানি হা হাল্কা কিছু খাই।
এভাবে সেহেরির নিয়তে ১১টায় খেলে কি সেটা সেহেরি হয়ে যাবে?

২। সবে কদর এর রাত ২০ রোজার পরবর্তি যেকোন বেজোড় রাত নাকি যে কোন জোর বা বিজোর রাত? (সৌদি আর বাংলাদেশ দুই নিয়মই জানতে চাই।

৩। রমজানে যে আমলঈ করব তার ৭০ গুন সয়াব পাওয়া যায়?
.৪। মা - বোনকে বার বার নামাজ - পর্দার কথা বলি। বছর এর পর বছর কাজ করব কাল পড়ব বলে ঘুরায় কিন্তু দিন দিন আরো বেপরোয়া হচ্ছে। একটু প্রেশার দিলে যাচ্ছে তাই বেয়াদবি করে। তাহলে তাদের সাথে কি ধরনের সম্পর্ক মেইন্টেইন করব? তাদের নামাজ-কালামের কথা আর না বললে কি আমার গুনাহ হবে?

জাজাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সাহরী খাওয়া সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً

“তোমরা সেহরি খাও, কারণ সেহরিতে বরকত রয়েছে।” (বুখারি ও মুসলিম)

তিনি আরও বলেন:
السُّحَوُرُ كُلَّهُ بَرَكَةٌ فَلَا تَدَعُوهُ, وَلَوْ أَنْ يَجْرَعَ أَحَدُكُم جَرْعَةً مِنْ مَاءٍ, فَإِنَّ اللَّهَ –عَزَّ وَجَلَّ- وَمَلائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى المُتَسَحِّرِينَ

“সেহরি খাওয়ায় বরকত রয়েছে। তাই তা তোমরা ছেড়ে দিয়ো না। এক ঢোক পানি দ্বারা হলেও সেহরি করে নাও। কেননা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ও ফেরেশতাগণ সেহরিতে অংশ গ্রহণকারীদের জন্য দোয়া করে থাকেন।” (মুসনাদে আহমদ)

 তিনি আরও বলেন:
ﺗَﺴَﺤَّﺮُﻭْﺍ ﻭُﻟَﻮْ ﺑِﺠُﺮْﻋَﺔٍ ﻣِﻦْ ﻣَﺎﺀٍ

“সেহরি গ্রহণ করো যদিও এক ঢোক পানি দিয়েও হয়।” (সহিহ ইবনে হিব্বান)

তিনি আরও বলেন,
ﺇِﻧَّﻬَﺎ ﺑَﺮَﻛَﺔٌ ﺃَﻋْﻄَﺎﻛُﻢُ ﺍﻟﻠﻪُ ﺇِﻳَّﺎﻫَﺎ ﻓَﻼَ ﺗَﺪَﻋُﻮْﻩُ

“‘নিশ্চয় সেহরি বরকত পূর্ণ যা আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে বিশেষভাবে দান করেছেন। অতএব তোমরা তা পরিত্যাগ করো না।” ( সহিহ নাসাঈ হা/২১৬১)

অন্য হাদিসে এসেছে:
عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ

আমর ইবনুল আস রা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমাদের এবং আহলে কিতাব (ইহুদি-খৃষ্টানদের) রোজার মধ্যে পার্থক্য হল, সেহরি খাওয়া।” (অর্থাৎ তারা সেহরি খায় না আর আমরা খাই।)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
সাহরী খাওয়া সুন্নাত।
কেহ যদি সাহরী না খায়,তবুও তার রোযা হয়ে যাবে।

সাহরী শেষ রাতের খাবারকে বলা হয়।
রাত ১১ টায় পানাহার করলে এতে সাহরীর সুন্নাত আদায় হবেনা।

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শেষ রাতেও যেহেতু পানি পানের কথা উল্লেখ রয়েছে,সুতরাং এই পানি পান সাহরী বলে গন্য।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সাহরী হয়ে যাবে।


(০২)
যে যেদেশে আছে,সে সেদেশের বেজোর রাত হিসেব করবে।
বেজোর রাতেই শবে কদর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা হাদীস শরীফে পাওয়া যায়।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত হয়েছে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামবলেছেন: “রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতেলাইলাতুল ক্দর অনুসন্ধান কর।”[সহীহ বুখারী (২০১৭) ও সহীহমুসলিম (১১৬৯), 

বিস্তারিত জানুনঃ  
  
(০৩)
ইখলাছের সাথে কোনো আমল করলে সেই আমলের সওয়াবকে আল্লাহ তা’আলা ১০ থেকে ৭০০ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারেন। এটা রমজানের সাথে নির্দিষ্ট নয়, বরং যে কোনো সময় আল্লাহ তা’আলা ঐ সওয়াব দিতে পারেন। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
আপনি তাদেরকে ধারাবাহিক ভাবে বুঝিয়েই যাবেন।
আপনি যদি বড় ছেলে হোন,আর আপনার বাবা যদি বেঁচে না থাকে,তাহলে আপনি তাদেরকে প্রেশার দিবেন।

আপনার বাবা জীবিত থাকলে আপনি যে তাদেরকে বুঝিয়েছেন,এতে আপনি দায়িত্বমুক্ত হবেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
৩ নং উত্তরে 'হ্যা' বলা হয়েছে অথচ https://ifatwa.info/15812/ তে ৭০ গুন হাদিস টি জাল বলা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...