আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
477 views
in সালাত(Prayer) by (14 points)
আমাদের দেশের হানাফী মসজিদ গুলোতে দেখা যায় যে,জামাত বেশ দেড়িতে হয়।যেমন,বিশেষকরে আসরের সালাত আর ফজরের সালাত।

আসরের সালাত পড়ে উঠতে না উঠতেই দেখা যায়,মাগরিবের আযান দিয়ে দেয়া হয়।আবার দেখা যায় ফজরের সালাত এমন সময়ে হয়,যা সূর্য ঠিক আগ মুহুর্তে।
সৌদি আরবের এক ওয়াক্ত নামাযের পর অন্য ওয়াক্তের নামায পর্যন্ত বেশ ভাল একটা টাইম পাওয়া যায়।কিন্তু আমাদের দেশে এমনটা না।এর ফিকহী কোনো কারণ আছে কী? জানালে উপকৃত হবো।

1 Answer

0 votes
by (711,040 points)

বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

বিসমিহি তা'আলা

আপনি যেই সমস্ত মসজিদে ফজর এবং আসরের নামায সৌদিআরব থেকে একটু দেরিতে পড়তে দেখেছেন, সহীহ হাদীসের আলোকে এটাই সব থেকে বেশী বিশুদ্ধ।যেমনঃ- ফজরের সালাত আকাশ কিছুটা পরিস্কার হওয়ার পর পড়া সম্পর্কে হযরত রা'ফে ইবনে খাদিজ রাঃথেকে বর্ণিত আছে,

154 عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَسْفِرُوا بِالفَجْرِ، فَإِنَّهُ أَعْظَمُ لِلأَجْرِ». [ص: ٢٩٠]
রা'ফে ইবনে খাদিজ রাঃ বলেনঃ আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি তিনি বলেনঃ তোমরা ভোরের আলো পরিস্কার হওয়ার পর ফজরের সালাত পড়,কেননা এতে সওয়াব বেশী করে পাওয়া যায়।(তিরমিযি শরীফ-১৫৪)

وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ، وَالثَّوْرِيُّ هَذَا الحَدِيثَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ. وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلَانَ أَيْضًا، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ. وَفِي البَابِ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ، وَجَابِرٍ، وَبِلَالٍ: «حَدِيثُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ» وَقَدْ رَأَى غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ العِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالتَّابِعِينَ: الإِسْفَارَ بِصَلَاةِ الفَجْرِ، وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ "

ترمذي
ইমাম তিরমিযি উক্ত হাদীস বর্ণনা করার পর বলেনঃউক্ত হাদীসকে শু'বাহ ও সাওরী মুহাদ্দিস মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন।এবং ঠিকতেমনিভাবে মুহাম্মদ ইবনে আজলান-আছিম ইবনে উমর ইবনে ক্বাতাদাহ থেকেও বর্ণনা করেন।উক্ত অধ্যায়ে আবি বারযাহ,জাবের, বেলাল রাঃ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।

"রা'ফে ইবনে খাদিজের হাদীস হাসান ও সহীহ"

নবী কারীম সাঃ এর অনেক সাহাবায়ে কেরামগগণ এবং অনেক তা'বেয়ীগণ ইসফার (পরিস্কার হওয়ার পর ফজরের সালাত)কে উত্তম মনে করতেন,এবং এটাই সুফিয়ান সাওরীর অভিমত।

ফজরের সালাত আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে হেদায়াতে সুস্পষ্ট বর্ণনা এভাবে এসেছে........

ﺟﺎﺀ ﻓﻲ " ﺍﻟﻬﺪﺍﻳﺔ  : " ﻳُﺴﺘﺤﺐ ﺍﻹﺳﻔﺎﺭ ﺑﺎﻟﻔﺠﺮ؛ ﻟﻘﻮﻟﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ : ( ﺃَﺳْﻔِﺮُﻭﺍ ﺑِﺎﻟْﻔَﺠْﺮِ؛ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺃَﻋْﻈَﻢُ ﻟِﻠْﺄَﺟْﺮِ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ،  ( ﻓﻲ ﺣﺪ ﺍﻹﺳﻔﺎﺭ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺠﺮ ) :
" ﺃﻥ ﻳﺒﺪﺃ ﻓﻲ ﻭﻗﺖ ﻳﺒﻘﻰ ﻣﻨﻪ ﺑﻌﺪ ﺃﺩﺍﺋﻬﺎ ﺇﻟﻰ ﺁﺧﺮ ﺍﻟﻮﻗﺖ ﻣﺎ ﻟﻮ ﻇﻬﺮ ﻟﻪ ﻓﺴﺎﺩ ﺻﻼﺗﻪ ﺃﻋﺎﺩﻫﺎ ﺑﻘﺮﺍﺀﺓ ﻣﺴﻨﻮﻧﺔ ﻣﺮﺗﻠﺔ  " ﻳﻨﻈﺮ : " ﻓﺘﺢ ﺍﻟﻘﺪﻳﺮ " ( /1 226 )

ফজরের নামাযের মুস্তাহাব ওয়াক্ত হল ইসফার, নবী কারীম সাঃ কওলী হাদীসের ধরুণ ""তোমরা ভোরের আলো পরিস্কার হওয়ার পর ফজরের সালাত পড়,কেননা এতে সওয়াব বেশী করে পাওয়া যাবে।(তিরমিযি শরীফ-১৫৪)""

ফজরের সালাত এমন সময় আদায় করা হবে যে একবার সুন্নাত ত্বরিকায় ফজরের সালাত আদায় করার পর যদি কোন কারনে নাময ফাসিদ হয়ে যায়,তাহলে দ্বিতীয় বার সুন্নাত ত্বরিকায় পড়ার সুযোগ থাকবে। অর্থ্যাৎ ৫০/৬০আয়াতের মাধ্যমে পড়ার সুযোগ থাকবে।উক্ত বক্তব্যর মাধ্যমে ফজরের সালাত গালস বা অন্ধকারে পড়াকে আবশ্যকীয় করেনা,তবে যারা ওয়াক্তকে চিনেনা তাদের কাছে এমনই মনে হবে।

(ফাতহুল ক্বাদির ১/২২৬)

আসরের নামায এক মিছিলের পর পড়া মুস্তাহাব নাকি দুই মিছিলের পর পড়া মুস্তাহাব?

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 705

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 37 views
0 votes
1 answer 2,028 views
...