আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
268 views
in সাওম (Fasting) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
আমি সাহরীতে উঠতে পারিনি। আবার বর্তমানে যে তাপমাত্রা, তাতে আমার আশঙ্কা হচ্ছে, সাহরীতে কিছু না খাওয়ার কারণে আমি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারি। সেক্ষেত্রে কি আমি এই রোজা ভাঙলে পাপী হবো? কাযা হিসেবে কি একটা রোজা যথেষ্ট হবে?

জাযাকাল্লহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (687,520 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সেহরী খাওয়া মুস্তাহাব। 
ফরজ বা ওয়াজিব নয়।
তবে সেহরী খাওয়ার দ্বারা রোযার রাখতে শক্তি অর্জন হয়।
তাই সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব।   
সুতরাং সাহরী খাওয়া ছাড়াই কেহ রোযা রাখলে রোযা আদায় হয়ে যাবে,পুরোপুরি ছওয়াবও পাবে।
(নাজমুল ফাতওয়া ৩/১৮৫)

এতে ছওয়াবের ভিতরে কোনো কমতি করা হবেনা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত এই অবস্থাতেই আপনি রোযা রেখে দিন।
অর্ধ দিনের আগেই আপনাকে মনে মনে রোযার নিয়ত করতে হবে।
নতুবা রোযা হবেনা। 

★★হ্যাঁ যদি আপনার রোযা রাখলে খুব কষ্ট হবে বলে মনে করেন,শরীরের জান্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে মনে হয়, তাহলে যদি অর্ধ দিনের আগেই রোযার নিয়ত না করে থাকেন,তাহলে রোযা নাও রাখতে পারেন।
এক্ষেত্রে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে 
.
হাদীস শরীফে এসেছে   

لما فی المشکوۃ (صـ۱۸۱): عن عائشۃ رضی اللہ عنھا قالت دخل علی النبی ﷺ ذات یوم فقال ھل عندکم شی فقلنا لا قال فانی اذا صائم۔الخ

যার সারমর্ম হলো এক দিন রাসুল সাঃ সুবহে সাদিক থেকে কিছুই খাননি,দিনের বেলা বাড়িতে এসে আয়েশা রাঃ জিজ্ঞাসা করলেন যে ঘরে কি খাওয়ার মতো কোনো জিনিস আছে?
তিনি জবাব দিলেন যে না। কিছুই নেই
তখন তিনি রোযা রাখার পুরোপুরি নিয়ত করে ফেললেন। 

সেহরি খাওয়া সুন্নত, এটি রোজার অংশ নয়। সেহরি না খেলেও রোজা হয়ে যায়। (মুসনাদে আহমদ ২/৩৭৭; ইমদাদুল ফাত্তাহ ৬৯৭)

 আর রমজান মাসে কোনো কারণে রাতে নিয়ত করতে না পারলে এবং সুবহে সাদিকের পর থেকে রোজা ভঙ্গের কোনো কারণ পাওয়া না গেলে দুপুরের আগ (অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়ের আগ) পর্যন্ত নিয়ত করার সুযোগ থাকে। তবে রাতে নিয়ত করে নেওয়াই উত্তম।
 [শরহু মুখতাসারিত তহাবী ২/৪০৪; কিতাবুল আছল ২/২২৬; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১৯৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৯] 

সাহরী খাওয়া সুন্নত। পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়, এক ঢোক পানি পান করলেও সাহরীর সুন্নত আদায় হবে।

হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
تسحروا، فإن في السحور بركة.
 ‘তোমরা সাহরী খাও। কেননা, সাহরীতে বরকত রয়েছে।’-সহীহ মুসলিম ১/৩৫০

অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, সাহরী খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরী কর। কারণ যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন।’
(মুসনাদে আহমদ ৩/১২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস : ৯০১০; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৩৪৭৬)

আরো জানুনঃ  
,
★আপনি যদি রোযা রাখার নিয়ত (মনে মনে হোক বা মৌখিক হোক) করে থাকেন,তাহলে সেই রোযা ভেঙ্গে ফেলা  জায়েজ হবেনা।
এক্ষেত্রে যদি আপনি রোযা ভেঙ্গে ফেলেন,তাহলে কাজা এবং কাফফারা (লাগাতার ৬০ টি রোযা রাখা) উভয়টিই ওয়াজিব হবে।    
,
রোযার কাফফারা সংক্রান্ত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 180 views
0 votes
1 answer 147 views
...