আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (2 points)
আমি সৌদি রিয়াল যদি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করি যদিও আনুমানিক ২২ টাকা করে প্রতি রিয়াল।এবং এতে উভয় পক্ষই  সম্মত এবং ক্রেতা বেশি দর জেনেও কিনেছে।এই লেনদেনে কোনো ব্যাংক বা তৃতীয় পক্ষের হাত নেয়। তবে কি এই লেনদেন ইসলামের পক্ষে না হারাম বলে বিবেচ্য?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/14067 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সাধারণত মুদ্রার লেনদেন দুইভাবে হতে পারে।যথা- 
(ক)ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন।
(খ)একই দেশের কারেন্সির লেনদেন।
প্রথম প্রকারের লেনদেনকেই ফরেক্স বলা হয়।
তথা ভিন্ন দুই দেশের মুদ্রার লেনদেনকেই ফরেক্স বলা হয়।

(ক)
ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন
এক দেশের কারেন্সি আরেক দেশের কারেন্সির বিনিময়ে কমবেশি করে বিক্রি করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে মজলিসেই কমপক্ষে একপক্ষ টাকাটি হস্তগত করে নিতে হবে। যদি একজনও তাদের বিনিময়কৃত কারেন্সি হস্তগত না করে তাহলে ক্রয় বিক্রয়টি জায়েজ হবে না। (জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;৪/২৮জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম;১-১৩৯)

(খ)
একই দেশের কারেন্সির পরস্পর লেনদেনের সময় সমতা রক্ষা করা আবশ্যক। কমবেশি করে বিক্রি করলে উক্ত ক্রয় বিক্রয় জায়েজ হবে না।
যেমন বর্ণিত রয়েছে,
ﻓﻰ ﺍﻟﻬﺪﺍﻳﺔ - ﻭﻳﺠﻮﺯ ﺑﻴﻊ ﺍﻟﻔﻠﺲ ﺑﺎﻟﻔﻠﺴﻴﻦ ﺑﺄﻋﻴﺎﻧﻬﻤﺎ ” ﻋﻨﺪ ﺃﺑﻲ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻭﺃﺑﻲ ﻳﻮﺳﻒ، ﻭﻗﺎﻝ ﻣﺤﻤﺪ : ﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﻷﻥ ﺍﻟﺜﻤﻨﻴﺔ ﺗﺜﺒﺖ ﺑﺎﺻﻄﻼﺡ ﺍﻟﻜﻞ ﻓﻼ ﺗﺒﻄﻞ ﺑﺎﺻﻄﻼﺣﻬﻤﺎ، ﻭﺇﺫﺍ ﺑﻘﻴﺖ ﺃﺛﻤﺎﻧﺎ ﻻ ﺗﺘﻌﻴﻦ ﻓﺼﺎﺭ ﻛﻤﺎ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻧﺎ ﺑﻐﻴﺮ ﺃﻋﻴﺎﻧﻬﻤﺎ ( ﻫﺪﺍﻳﺔ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺒﻴﻮﻉ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺮﺑﻰ - 3/85 ، ﻃﺒﻊ ﺭﺣﻤﺎﻧﻴﺔ)
ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺴﺘﺪﺭﻙ ﻟﻠﺤﺎﻛﻢ - ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ، ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ « ﻧَﻬَﻰ ﻋَﻦْ ﺑَﻴْﻊِ ﺍﻟْﻜَﺎﻟِﺊِ ﺑِﺎﻟْﻜَﺎﻟِﺊِ » ( ﻣﺴﺘﺪﺭﻙ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﻴﻦ - 2/65 66- ، ﺭﻗﻢ 2342- ، ﺷﺮﺡ ﻣﻌﺎﻧﻰ ﺍﻵﺛﺎﺭ، ﺭﻗﻢ 5554- ، ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺪﺭﻗﻄﻨﻰ، ﺭﻗﻢ 3060- বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/198

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুই দেশের নোটের বিনিময় 'আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল' কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যর ভিত্তিতেই হওয়া চাই।যেমন 1$ সমান ৮৪টাকা।
তাছাড়াও যদি কমবেশের উপর উভয় সম্মত হন, তাহলে সেটাও জায়েয।তবে শর্ত হল উভয়ের যে কেউ একজন মজলিসে মুদ্রা কবজা/হস্তগ্রত করবেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;৪/২৮)
ব্লাক মার্কেট বা হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন করা যদিও জায়েয তবে এক্ষেত্রে সরকারী বিধিনিষেধ কে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। অথচ বৈধ বিষয়ে সরকারী বিধিবিধানের অনুসরণ অত্যাবশ্যকীয়।
সে কারণে ব্লাকমার্কেট পরিত্যাগই শ্রেয়। তবে হারাম বা নাজায়েয হবে না।কেউ হুন্ডির মাধ্যমে করে নিলে সেটা বৈধ হবে।যদি না তাতে ধোকা এবং প্রতারণা না থাকে।(জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম;১-১৩৯) (শেষ)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...