আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম আমার বিয়ে হয়ছে আজ ৩ বছরের বেশী। আমার সম্পর্কে বিয়ে।আমার বিয়ের আগে আর বিয়ের পরে আমার স্বামী ২ বছর আমার সাথে খুব ভালো ছিলো আমাকে অনেক ভালোবাসতো একদিন ঝগড়া করার সময় হঠাৎ সে বলে যে আমি তোরে তালাক দিবো যা তোরে তালাক দিলাম তুই চলে যা সব শেষ এটা বলার পর আমি রাগ করি তারপর সে যখন ঠান্ডা হয় তখন আমাকে বলে আমি মন থেকে দেই নাই আমি রাগ করে বলছি কিছু হবে না এটা বলছিলো ১ বছর আগে তখন আমাকে পারিবারিকভাবে উঠাই নেই নাই অনুষ্ঠান করে নাই।এখন আমি তার সাথে আছি তাদের পরিবারে আমাকে অনুষ্ঠান করে উঠাই নেই পরিবারের সবাই আমাকে পছন্দ করে কিন্তু আমার স্বামী আমাকে পছন্দ করে না আমাকে দেখলে তার নাকি বিরক্ত লাগে সে আমার চেহারাও দেখতে চাই না।আমার স্বামী কথায় কথায় আমাকে বলে যে আমি তো তোরে তালাক দিছিলাম এখন তুই আমার সাথে থাকিস না আমি তোরে চাই না তুই চলে যা। আমার সাথে থাকলে তোর যিনা হবে।আমি আমার স্বামীকে বললাম যে তুমি তো বলছিলা তুমি রাগের মাথায় বলছো মন থেকে বলো নাই আমার স্বামী এখন আমাকে বলে না আমি মন থেকে তোরে তালাক দিছি তোরে! আমি চিনি না তোরে আমার ভাল্লাগে না তুই চলে যা আমাকে মুক্তি দে।এক্ষেত্রে আমাদের কি সত্যি তালাক হয়ে গেছে বলবেন প্লিজ??? এর কোনো মাসালা থাকলে আমাকে বলুন ??
 আমি এখন কি করবো আ?আমার এখন কি করা উচিত?
২. আমার স্বামী আমার সাথে আর সংসার করবে না তারে সবাই বুঝাইছে কিন্তু সে আমাকে রাখবে না সংসার করবে না সে আমাকে চাই না। আমার স্বামী আমাকে ছাড়তে পারছে না শুধু কাবিনের টাকাটা তার কাছে নাই তাই সে আমাকে টাকা দিতে পারবে না বলে আমাকে বের করে দিতে পারছে না তবে সে বলেছে যে সে টাকা যোগাড় করে আমাকে ছেড়ে দিবে। মানে বলছে যে এক বছর পরে ছেড়ে দিবে, যেভাবেই হোক.. এটা ও কি তালাকের মধ্যে পড়ে??
আমাকে জানান!
 ৩.. যদি তালাক না হয়ে থাকে এক্ষেত্রে কোনো আমল কি আছে যাতে করে আমার স্বামীর মন আবার আমার ওপর বসবে আমাকে চাইবে আমাকে ছেড়ে যাবে না আবার সব ঠিক হবে সংসারে তার মন বসবে এমন কোনো আমল থাকলে আমাকে বলেন প্লিজ... আমার কি করণীয়??

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ভূমিকা
নির্ভরযোগ্য ফাতাওয়া গ্রন্থ ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে উল্লেখ করা হয় যে,
তালাক তিন প্রকার।(ক)আহসান(বেশ ভালো)(খ)হাসান(ভালো)(গ)বিদআত
অতপর হাসান তালাকের ব্যখ্যায় বলা হয়,
والحسن أن يطلقها واحدة في طهر لم يجامعها فيه ثم في طهر آخر أخرى ثم في طهر آخر أخرى كذا في محيط السرخسي
তালাকে হাসান হলো, সহবাস মুক্ত তুহুরে (তুহুর হল, স্ত্রী মাসিক অবস্থা মুক্ত পবিত্রতম সময়)তালাক প্রদান করা।অতঃপর দ্বিতীয় সহবাস মুক্ত তুহুরে দ্বিতীয় তালাক দেয়া।অতঃপর তৃতীয় সহবাস মমুক্ত তুহুরে তৃতীয় তালাক প্রদান করা।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৪৮)

প্রথম ও দ্বিতীয় তালাকের পর রাজআত করা যায়।তথা ইদ্দতের ভিতর স্বামী তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।এরজন্য কোনো আনুষ্টানিকতার প্রয়োজন নেই।
রাজআতের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2579

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বামীর বক্তব্য
"আমার স্বামী কথায় কথায় আমাকে বলে যে আমি তো তোরে তালাক দিছিলাম এখন তুই আমার সাথে থাকিস না আমি তোরে চাই না তুই চলে যা। আমার সাথে থাকলে তোর যিনা হবে।আমি আমার স্বামীকে বললাম যে তুমি তো বলছিলা তুমি রাগের মাথায় বলছো মন থেকে বলো নাই আমার স্বামী এখন আমাকে বলে না আমি মন থেকে তোরে তালাক দিছি তোরে! "

একথা দ্বারা তালাক পতিত হয়ে গেছে। তখন আপনার স্বামী যত তালাক দিয়েছিলো, তত তালাকই পতিত হবে। যদি সে তখন তিন তালাক দিয়ে থাকে, তাহলে তো তিন তালাকই পতিত হয়েছে। কিন্তু যদি সে এক বা দুই তালাক সরিহ দিয়ে থাকে, তাহলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য "আমার সাথে থাকলে তোর যিনা হবে।" এ কথা দ্বারা নতুন করে আরো এক তালাক কেনায়া পতিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...