আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম 
বিলাল বিন তোফাজ্জল।
ঢাকা জুরাইন থেকে। 
সম্মানিত মুফতি সাহেবান আমার একটি প্রশ্ন হলো ‌02/06/2021 তারিখ রাত্রে আমার ছোট বোন জামাই, সে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফোনের মাধ্যমে আমার আম্মার সাথে রাগারাগি করে এ কথা বলেছেন যে আমি আপনার মেয়েকে ছাইরা দিলাম তারপর বলেছে এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক আমার মা এ কথা শুনে তার সাথে আর কথা না বলে ফোন রেখে দিছেন। বিস্তারিত ঘটনা এটি হলো এরকম আমার বোন ঈদের তিন চারদিন পর আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে অসুস্থ শরীর নিয়ে কিছুদিন যাওয়ার পর আমার বোন জামাইয়ের আম্মাকে মেডিকেল ভর্তি করানো হয়।আমার বোন তার আম্মাকে মেডিকেল এ দেখতে না যাওয়ার কারণে আমার বোনের সাথে 10 12 দিন তিনি ভাল মতো কথাবার্তা বলেননি। আমার বোন দেখতে না যাওয়ার কারণে,এজন্য তার মা তাকে অনেক কথাবার্তা বলেছেন। তার মা তাকে যে কথাগুলো বলছেন সে কথাগুলো আমার বোনকে তিনি বলেছেন। আমার বোন বলেছেন আমিতো নিজেও অসুস্থ আমি কিভাবে দেখা করব, এরপর একদিন আমার বোন বলল আমি আম্মাকে দেখতে যাব তখন তিনি বললেন মা সুস্থ হয়ে গেছে থাক এখন যাওয়া লাগবে না,সুস্থ হলে তুমি কিছুদিন পর বাড়ি চলে যেও। গেছে কালকে তার মা আমার মা কে ফোন করে বললেন আপনার মেয়েকে আমাদের বাসায় দিয়ে যান আমার মা বললেন ওতো এখন জ্বর থেকে ভালো হয়েছে এখন আবার কয়েকদিন যাবত আমাসা শুরু হয়েছে দু চারদিন পরে দিয়ে যাবো তার মা বললেন ঠিক আছে কিছুক্ষণ পর তার মা আমার বোনকে ফোন দিয়ে বলে তুই যদি কালকে না আসিস তাহলে আমার ছেলের জন্য অন্য মেয়ে ঠিক করব এবং আরো অনেক কথাবার্তা বলেন, আমার বোন বললেন এইগুলো আপনে কি বলছেন আম্মা আমি তো বলেছি দু চারদিন পরে আমি চলে আসবো, এরপর তার সাথে আমার মার কথা কাটাকাটি হয়, তখন তিনি তার ছেলেকে এ খবর জানান ছেলে তখন আমার আম্মাকে ফোন দেয়, আমার মা ফোন ধরে বলেন তুমি বলে আমাদের সংসার চালাও আমাদের অনেক টাকা পয়সা দাও তোমার মা একথা বলেন, একথা শুনে ছেলে রাগের মাথায় বলেন আমি আপনার মেয়েকে ছেড়ে দিলাম এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক। এরপর আমার আম্মা আমাকে ফোন দিয়ে এ কথাগুলো জানায় আমি তখন আমার বোন জামাই কে ফোন দেই, আমি বলি তুমি বলে এ কথাগুলো বলেছো তখন তিনি বলেন আমি মন থেকে বলিনি এমনি এমনিই আম্মাকে বলেছি। রাগ করে। আর যখন আমি আম্মাকে এ কথা গুলো বলি আপনার বোনকে তালাক দেওয়ার কোন নিয়ত ছিল না আমার মনে,শুধু আম্মাকে বলেছিলাম রাগ করে,  এর কিছুক্ষণ পর আপনার বোনকে ফোন করে বলি আমি আম্মার সাথে রাগ করে এ কথাগুলো বলেছি তোমাকে আমি বলিনি আর তোমাকে আমি তালাক ও দেইনি আমি বললাম তুমি বললে তো হবেনা এটা হুজুরের কাছে বলতে হবে হুজুর যেটা বলে সেটাই হবে,  বোন জামাই বললো ভাই ওকে ছাড়া আমি বাঁচ তে পরবোনা। আমি নইলে আত্মহত্যা করব। হুজুর এ অবস্থায় ছেলেএবংমেয়ের কি করা উচিত, জানালে উপকৃত হব। যোগাযোগ-01567986676

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
edited by
★প্রশ্নটি হলোঃ

সম্মানিত মুফতি সাহেবান আমার একটি প্রশ্ন হলো 02/06/2021 তারিখ রাত্রে আমার ছোট বোন জামাই, সে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফোনের মাধ্যমে আমার আম্মার সাথে রাগারাগি করে এ কথা বলেছেন যে আমি আপনার মেয়েকে ছাইরা দিলাম তারপর বলেছে এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক আমার মা এ কথা শুনে তার সাথে আর কথা না বলে ফোন রেখে দিছেন। বিস্তারিত ঘটনা এটি হলো এরকম আমার বোন ঈদের তিন চারদিন পর আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে অসুস্থ শরীর নিয়ে কিছুদিন যাওয়ার পর আমার বোন জামাইয়ের আম্মাকে মেডিকেল ভর্তি করানো হয়।আমার বোন তার আম্মাকে মেডিকেল এ দেখতে না যাওয়ার কারণে আমার বোনের সাথে 10 12 দিন তিনি ভাল মতো কথাবার্তা বলেননি। আমার বোন দেখতে না যাওয়ার কারণে,এজন্য তার মা তাকে অনেক কথাবার্তা বলেছেন। তার মা তাকে যে কথাগুলো বলছেন সে কথাগুলো আমার বোনকে তিনি বলেছেন। আমার বোন বলেছেন আমিতো নিজেও অসুস্থ আমি কিভাবে দেখা করব, এরপর একদিন আমার বোন বলল আমি আম্মাকে দেখতে যাব তখন তিনি বললেন মা সুস্থ হয়ে গেছে থাক এখন যাওয়া লাগবে না,সুস্থ হলে তুমি কিছুদিন পর বাড়ি চলে যেও। গেছে কালকে তার মা আমার মা কে ফোন করে বললেন আপনার মেয়েকে আমাদের বাসায় দিয়ে যান আমার মা বললেন ওতো এখন জ্বর থেকে ভালো হয়েছে এখন আবার কয়েকদিন যাবত আমাসা শুরু হয়েছে দু চারদিন পরে দিয়ে যাবো তার মা বললেন ঠিক আছে কিছুক্ষণ পর তার মা আমার বোনকে ফোন দিয়ে বলে তুই যদি কালকে না আসিস তাহলে আমার ছেলের জন্য অন্য মেয়ে ঠিক করব এবং আরো অনেক কথাবার্তা বলেন, আমার বোন বললেন এইগুলো আপনে কি বলছেন আম্মা আমি তো বলেছি দু চারদিন পরে আমি চলে আসবো, এরপর তার সাথে আমার মার কথা কাটাকাটি হয়, তখন তিনি তার ছেলেকে এ খবর জানান ছেলে তখন আমার আম্মাকে ফোন দেয়, আমার মা ফোন ধরে বলেন তুমি বলে আমাদের সংসার চালাও আমাদের অনেক টাকা পয়সা দাও তোমার মা একথা বলেন, একথা শুনে ছেলে রাগের মাথায় বলেন আমি আপনার মেয়েকে ছেড়ে দিলাম এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক। এরপর আমার আম্মা আমাকে ফোন দিয়ে এ কথাগুলো জানায় আমি তখন আমার বোন জামাই কে ফোন দেই, আমি বলি তুমি বলে এ কথাগুলো বলেছো তখন তিনি বলেন আমি মন থেকে বলিনি এমনি এমনিই আম্মাকে বলেছি। রাগ করে। আর যখন আমি আম্মাকে এ কথা গুলো বলি আপনার বোনকে তালাক দেওয়ার কোন নিয়ত ছিল না আমার মনে,শুধু আম্মাকে বলেছিলাম রাগ করে,  এর কিছুক্ষণ পর আপনার বোনকে ফোন করে বলি আমি আম্মার সাথে রাগ করে এ কথাগুলো বলেছি তোমাকে আমি বলিনি আর তোমাকে আমি তালাক ও দেইনি আমি বললাম তুমি বললে তো হবেনা এটা হুজুরের কাছে বলতে হবে হুজুর যেটা বলে সেটাই হবে,  বোন জামাই বললো ভাই ওকে ছাড়া আমি বাঁচ তে পরবোনা। আমি নইলে আত্মহত্যা করব। হুজুর এ অবস্থায় ছেলেএবংমেয়ের কি করা উচিত, জানালে উপকৃত হব। 

   
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো তালাক স্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া জরুরি নয়।
মুখ দিয়ে  উচ্চারণ করলেই তালাক পতিত হয়ে যায়।
স্ত্রী তাহা জানুক বা না জানুক।
তার কাছে সংবাদ না পৌছলেও তালাক পতিত হয়ে যাবে 
,   
الطلاق والخلع يصح دون علم الآخر (الفقه الاسلامى وأدلته-9/291
সারমর্মঃ
তালাক এবং খোলা' অন্যের অবগতি ছাড়াও হয়ে যায়  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তিন তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।এখন আর তাকে নিয়ে ঘর সংসার করা কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।
,
শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত তাকে আর বিবাহও করতে পারবেনা।
তাদের বিবাহ সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে।
,

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك

হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...