বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আমরা ছোটবেলায় পড়েছি।এবং সত্য পড়েছি যে,
মানুষ সামাজিক জীব।সে একা বাস করতে পারেনা।প্রতিবেশীদের সাথে মিলেমিশেই মানুষ তার সময় কে অতিবাহিত করে।এবং লেনদেন করেই তার প্রয়োজনকে পূর্ণ করে।
একটটি সমাজ অনেক কে নিয়ে গঠিত হয়।তাদের কেউ নেককার থাকে আবার কেউ বা বদকার।
পূর্ণ নেককার সমাজ রাসূলুল্লাহ সাঃএবং খেলাফতে রাশেদার সময়ে পৃথিবীতে ছিল।তারপর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত আর আসবে কি না জানিনা।
কিন্তু কিয়ামত পর্যন্ত এই পৃথিবীতে মানুষকে বসবাস করতে হবে। নেককার বদকার উভয় মিলেই সমাজকে পরিচালনা করতে হবে।এবং পরস্পর লেনদেন করেই প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রয়োজনকে পূর্ণ করতে হবে।যে নককাজে ব্রতী হবে সে পরকালে পুরুস্কার পাবে।আর যে বদ কাজের দিকে অগ্রসরমান থাকবে,তাকে পরকালে শাস্তি পেতে হবে।
কেউ কারো বুঝাকে সে দিন বহন করবে না।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন-
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺗُﻨﺬِﺭُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺨْﺸَﻮْﻥَ ﺭَﺑَّﻬُﻢ ﺑِﺎﻟﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺃَﻗَﺎﻣُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﻣَﻦ ﺗَﺰَﻛَّﻰ ﻓَﺈِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﺘَﺰَﻛَّﻰ ﻟِﻨَﻔْﺴِﻪِ ﻭَﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻤَﺼِﻴﺮُ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। আপনি কেবল তাদেরকে সতর্ক করেন, যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখেও ভয় করে এবং নামায কায়েম করে। যে কেউ নিজের সংশোধন করে, সে সংশোধন করে, স্বীয় কল্যাণের জন্যেই আল্লাহর নিকটই সকলের প্রত্যাবর্তন।
সুপ্রিয় পাঠক! ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
আপনারা তাদের সাথে পরস্পর লেনদেন করতে পারবেন।তবে তাদের সুদী কোনো কাজে আপনি তাদেরকে সহযোগিতা করতে পারবেন না।
কোরআন এবং হাদীসের অকাট্য দলীল প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে যে,সুদ এবং সুদী কারবারে সকল প্রকার সহযোগিতা হারাম।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺒِﺮِّ ﻭَﺍﻟﺘَّﻘْﻮَﻯ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺈِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ -
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।
(সূরা- মায়েদা-২)