আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,916 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
আমি বাসায় ২টা বিড়াল পালি এবং ২টাই ছেলে বিড়াল। কিন্তু সমস্যা হলো বিড়ালগুলো প্রাপ্ত বয়স্ক হলে ২টাই শুধু বাহিরে যেতে চায় এবং বাসার এখানে সেখানে প্রস্রাব করে। এটা নিয়ে আমি ফেসবুকের বিভিন্ন বিড়াল গ্রুপে পোস্ট করলে জানতে পারি বিড়ালগুলো হিটে আছে এবং তাদের সঙ্গী দরকার এবং এ সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় হলো বিড়ালকে নিউটার/স্প্রে (বন্ধাত্বকরণ) করা। এতে উপরের সমস্যা গুলোও কমে যায় এবং বিড়ালের টিউমার, ক্যান্সারসহ আরো বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পায়। আমি যেহেতু আমার বিড়ালগুলোকে বাসায় পালি এবং আমি চাই আমার বিড়ালগুলো সুস্থ থাকুক এবং বাহিরে না যাক।
ইসলামে এটা জায়েয আছে কি নাই এ নিয়ে আমি ইউটিউবে শুধু দুইটা ভিডিও পেয়েছি এবং দুইখানেই জায়েজ আছে বলা আছে। তাও আমি আপনাদের অনেক বেশি ফলো করি তাই আমি আপনাদের জিজ্ঞেস করছি ইসলামে কি জায়েজ আছে বিড়ালকে নিউটার/স্প্রে (বন্ধাত্বকরণ) করানো?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রানীকে খাসি বানানো (বন্ধাত্বকরণ করানো) গোশত আর চর্বির দিক লক্ষ্য করে পছন্দনীয়। 
এটার তার (প্রানীর) জন্য দোষ নয়,বরং এটি তার মূল্যের আধিক্যতার মাধ্যম।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৪/৬৩৪)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ اشْتَرَى كَبْشَيْنِ عَظِيمَيْنِ سَمِينَيْنِ أَقْرَنَيْنِ أَمْلَحَيْنِ مَوْجُوءَيْنِ فَذَبَحَ أَحَدَهُمَا عَنْ أُمَّتِهِ لِمَنْ شَهِدَ لِلَّهِ بِالتَّوْحِيدِ وَشَهِدَ لَهُ بِالْبَلاَغِ وَذَبَحَ الآخَرَ عَنْ مُحَمَّدٍ وَعَنْ آلِ مُحَمَّدٍ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .

আয়েশা (রাঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর ইচ্ছা করলে দু’টি মোটাতাজা, মাংসল, শিংযুক্ত, ধুসর বর্ণের ও ছিন্নমুষ্ক মেষ ক্রয় করতেন। অতঃপর এর একটি নিজ উম্মাতের যারা আল্লাহর একত্বের সাক্ষ্য দেয় এবং তাঁর নবুয়াতের সাক্ষ্য দেয় তাদের পক্ষ থেকে এবং অপরটি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে কোরবানী করতেন।
ইবনে মাজাহ ৩১২২.আহমাদ ২৫৩১৫, ২৫৩৫৮, ইরওয়া ১১৩৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

উক্ত হাদিসে موجوءين শব্দটি الوجاء শব্দ থেকে উৎকলিত। খাত্তাবী প্রমুখ এর অর্থ বলেছেন, খাসি করা।

ইমাম আবু হানীফা., মালিক, আহমদ বিন হাম্বল. সহ বড় বড় ইমামগণ এর বৈধতার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন।

আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উসাইমীন রাহ. বলেন, “খাসি করাতে যদি উপকার থাকে তাহলে তা জায়েয। তবে শর্ত হল, এমন প্রক্রিয়ায় তা সম্পন্ন করতে হবে যেন এতে প্রাণী কষ্ট না পায়।” (লিকা আল বাবুল মাফতুহ, ১৫/৩৭)

★★প্রয়োজনের স্বার্থে গরু, ছাগল, ভেড়া, উট, দুম্বা ইত্যাদি পুরুষ প্রাণীর অণ্ডকোষ কেটে খাসি করায় কোন দোষ নেই। কেননা, খাসি করা হলে তাতে প্রাণী মোটাতাজা করা সহজ হয় এবং সেগুলোর গোস্তও সুস্বাদু হয়। 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
যেহেতু বিড়ালের গোশত খাওয়া জায়েজ নেই,তাই তাকে খাসি বানানো (বন্ধাত্বকরণ করানো) এর ক্ষেত্রে 
 গোস্ত সুস্বাদুর বিষয়টি নেই,তাই এতে তাকে খাসি বানানোর প্রয়োজনীয়তা নেই।
প্রয়োজনীয়তা না থাকার কারনে অনুমোদনও নেই।  

কেননা মুসনাদে আহমদে ইবনে উমরা রা. থেকে বর্ণিত ঘোড়া ও চতুষ্পদ প্রাণীকে খাসি করার নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে একটি হাদিস এসেছে। 

نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن إخصاء الخيل والبهائم
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোড়া ও চতুষ্পদ প্রাণীকে খাসি করতে নিষেধ করেছেন।”
,
★তবে প্রশ্নে উল্লেখিত একটি কারন "" বাসার যেখানে সেখানে সে পেশাব করে"" এই কারনে বিড়ালকে খাসি বানানো  (বন্ধাত্বকরণ করানো) জায়েজ আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...