জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ওয়াক্ত মত আদায় না করে পরবর্তী ওয়াক্তে বা পরবর্তীতে আদায় করা কবিরাহ গুনাহ।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنْ مَغْرَاءٍ الْعَبْدِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَمِعَ الْمُنَادِيَ فَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ اتِّبَاعِهِ عُذْرٌ " . قَالُوا وَمَا الْعُذْرُ قَالَ خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ " لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلَاةُ الَّتِي صَلَّى " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى عَنْ مَغْرَاءٍ أَبُو إِسْحَاقَ . صحيح
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনা সত্ত্বেও কোনরূপ ওজর ছাড়া (বিনা কারণে) জামা‘আতে সলাত আদায়ে বিরত থাকে তার অন্যত্র (একাকী) সলাত কবুল হবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ওজর কি? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ভয়-ভীতি অথবা অসুস্থতা।
(আবু দাউদ ৫৫১.বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’ (৩/৭৫), হাকিম (১/পৃঃ ২৪৫), দারাকুতনী (১/পৃঃ ৪২১)
★★শুধু জামা'আত ছেড়ে দেওয়ার কারনেই হাদীস শরীফে এমন কঠিন বাক্য ব্যবহার হয়েছে,সুতরাং নামাজ কাজা করলে সেটি আরো বড় মারাত্মক অপরাধ হবে।
,
অনেক ফুকাহায়ে কেরামগন বলেছেন ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নামাজ কাজা করা চুরি করা যেনা করার চেয়েও মারাত্মক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: كَانَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ يَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ الأَعْمَالِ تَرْكُهُ كُفْرٌ غَيْرَ الصَّلاَةِ.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন শাকীক রহঃ বলেছেন, হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবাগণ কোন আমল ছেড়ে দেয়াকে কুফরী মনে করতেন না শুধু নামায ব্যতীত। অর্থাৎ নামায ছেড়ে দেওয়াকে তারা কুফরীর প্রায় নিকটবর্তী কাজ মনে করতেন। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৬২২]
,
★ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াক্ত মিস করার পর কাযা আদায় করলে কবিরাহ গুনাহ হবে।
,
(০২)
হ্যাঁ এটি মহিলাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
(০৩)
এতে সেজদাহ মাকরুহ হবে,তবে নামাজ হয়ে যাবে।
,
আর ওযর বশত এর উপর সেজদাহ করলে কোনো সমস্যা নেই।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৪)
এতে সেজদার কোনো সমস্যা হবেনা।