আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (35 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,
ব্যবসাঃ
১।কোনো পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অগ্রিম কিছু টাকা নেওয়া যাবে কি?
যেমন-একটি পণ্যের মূল্য ৫০০ টাকা।পণ্যটি ক্রেতার কাছে দেওয়ার আগে ১০০ টাকা অগ্রিম নিলাম।এবং কিছু দিন পর পণ্যটি ক্রেতাকে দিয়ে বাকী ৪০০ টাকা নিলাম।এরকম জায়েজ আছে কি?

২।কেউ কোনো একটি পণ্য আমাকে দিল পণ্যটি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য। আমি বললাম পণ্যটি বিক্রি করে দিলে আমাকে ১০০০ টাকা দিতে হবে।এরকম টাকা নেওয়া জায়েজ আছে কি?

শিক্ষকতাঃ
৩।যারা (বাংলা, ইংরেজি, গণিত) অর্থাৎ দুনিয়াবি শিক্ষা প্রদান করেন (কোনো প্রতিষ্ঠানে নয়) তারা শিক্ষা দিয়ে মাসিক একটি নির্দিষ্ট বেতন  গ্রহণ করেন।এখন কোনো ছাত্র যদি তার কাছে পড়ে কিন্তু পড়ার পর বেতন না দেয় তাহলে কি ছাত্রের অন্যের  হক মারার গুনাহ হবে?

৪।ধরুন যারা পাঠদান করেন তারা নির্ধারিত করল যে সপ্তাহে ৩ দিন পড়াবেন।কিন্তু বিভিন্ন কারণে দেখা গেল মাসে কয়েকদিন পড়াননি। এক্ষেত্রে অনেক সময় তারা বেতন কম দিতে বলে না।অর্থাৎ যত টাকা নির্ধারণ করেছে সেই টাকাই দাবি করে যদিও তারা মাসে কয়েকদিন বন্ধ করেছে।এখন যদি তারা যেই কয়দিন বন্ধ দিয়েছে অর্থাৎ পড়াইনি সে কয়েকদিনের বেতন না দেই এবং যে কয়দিন পড়িয়েছে সেই কয়দিনের হিসেব করে টাকা দেয় তাহলে কি তার হক মারা হবে?

৫।বেপর্দায় চলাফেরা করে এইরকম মেয়েকে পড়িয়ে(দুনিয়াবি বিষয় যেমন-গণিত,ইংরেজি শিক্ষা দান করে) যদি টাকা নেয় তাহলে সে টাকা কি হালাল হবে?যেহেতু এখানে পর্দা মানা হচ্ছে না।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)জ্বী,মূল্যকে অগ্রীম গ্রহণ করা জায়েয আছে।আংশিক বা পূর্ণ মহরকে অগ্রীম গ্রহণ করা জায়েয আছে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 

(২)https://www.ifatwa.info/44 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম বোখারী রাহ বলেনঃ
" ﺑَﺎﺏ ﺃَﺟْﺮِ ﺍﻟﺴَّﻤْﺴَﺮَﺓِ . ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺮَ ﺍﺑْﻦُ ﺳِﻴﺮِﻳﻦَ ﻭَﻋَﻄَﺎﺀٌ ﻭَﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢُ ﻭَﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ ﺑِﺄَﺟْﺮِ ﺍﻟﺴِّﻤْﺴَﺎﺭِ ﺑَﺄْﺳًﺎ .ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ : ﻻ ﺑَﺄْﺱَ ﺃَﻥْ ﻳَﻘُﻮﻝَ : ﺑِﻊْ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏَ ﻓَﻤَﺎ ﺯَﺍﺩَ ﻋَﻠَﻰ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻚَ .
ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺳِﻴﺮِﻳﻦَ : ﺇِﺫَﺍ ﻗَﺎﻝَ ﺑِﻌْﻪُ ﺑِﻜَﺬَﺍ ﻓَﻤَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻦْ ﺭِﺑْﺢٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻚَ ، ﺃَﻭْ ﺑَﻴْﻨِﻲ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻚَ ﻓَﻠَﺎ ﺑَﺄْﺱَ ﺑِﻪِ .ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤُﻮﻥَ ﻋِﻨْﺪَ ﺷُﺮُﻭﻃِﻬِﻢ)
তরজমাঃ ইবনে সিরীন, আত্বা,ইবরাহিম,হাসান, রাহ এর মত যুগশ্রেষ্ট ইমামগণ দালালী ব্যবসায় শরয়ী কোনো সমস্যা মনে করেন না।
ইবনে আব্বাস রাহ,বলেনঃকোনো অসুবিধা নেই এরকম কোনো চুক্তিতে যে, কেউ কাউকে বলল,তুমি এই মাল এত টাকায় বিক্রি কর,এর(পুর্ব নির্ধারিত মূল্যর) চেয়ে বেশী যা লাভ হবে তা তোমার।
ইবনে সিরীন রাহ বলেনঃযখন কেউ কাউকে বললঃতুমি এই মাল এত টাকায় বিক্রি কর, যা লাভ হবে অথবা এর চেয়ে বেশী যা লাভ হবে, তা তোমার অথবা তা আমার এবং তোমার মধ্যে বন্টিত হবে।এরকম চুক্তিতে কোনো সমস্যা নেই।
নবী কারীম সাঃবলেনঃ-
মুসলমানগন তাদের  কৃতচুক্তির আওতাধীন।অর্থাৎ শরীয়ত বিরোধী চুক্তি না হলে তা অবশ্যই পূরণীয় এবং পূরণ করতে হবে,এবং দালালীও একটি চুক্তি বিধায় তা বৈধ ও পূরণীয় ।
(সহীহ বোখারী-৩/৯২, হাদীস নং ২২৭৪ এর শিরোনাম) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৪৪

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে পণ্য বিক্রি করে দেয়া জায়েয হবে।
(৩)কোনো শিক্ষকের কাছে টিউশনি পড়ার পর তাকে বেতন দেয়া না হলে,বান্দার হক আত্মস্বাৎ করার গোনাহ তার হবে।
(৪)শিক্ষক যে কয়দিন বন্ধ দিয়েছেন তথা পড়াইননি সে কয়দিনের বেতন পাওয়া উনার হক নয়।হ্যা,ছাত্র নিজ ইচ্ছায় দিয়ে দিলে সেটা ভিন্ন কথা।আর যে কয়দিন উনি পড়িয়েছেন সেই কয়দিনের হিসেব করে টাকা দিতে হবে। নয়তো আত্মস্বাতের গোনাহ হবে।
(৫)বেপর্দা মেয়েকে পড়ানো জায়েয হবে না।তবে ইনকাম হারাম হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...