আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,609 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

১.কুরআন হাদিসের আলোকে সূরা আর রহমান এর ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।

২. "জান্নাতে হুরদের গান শোনার পর হযরত দাউদ (আ) যাবুর কিতাব তিলাওয়াত করবেন। এরপর আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করবেন। এরপর জান্নাতবাসীদের অনুরোধে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা সূরা আর রহমান তিলাওয়াত করবেন।"   এই ব্যাপারগুলো কি সত্য?  মানে কোনো হাদিসে উল্লেখ আছে কি?

৩. "জান্নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে হযরত আসিয়া (রা) এবং হযরত মারইয়াম (আা) বিবাহ দেয়া হবে" এটা কি সঠিক?

৪. একটি মাসজিদের নাম ঠিক করার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় খেয়াল রেখে, নাম ঠিক করতে হবে? এর জন্য হাদিসে বর্ণিত কোনো পদ্ধতি আছে কি?

৫. মাসজিদ যেহেতু আল্লাহর ঘর, তাই কোনো মসজিদের নাম "বায়তুর রহমান" দেয়া যাবে কি? এভাবে আল্লাহর যেকোনো গুণবাচক নামের সাথে "বায়তুর/বায়তুল" যুক্ত করে কোনো মসজিদের নাম দেয়া যাবে কি?

জাযাকুমুল্লাহ খইর।
closed

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


۔
(০১)
সুরা আর রহমানের ফজিলত সংক্রান্ত ছহীহ হাদীস পাইনি।
কিছু হাদীস পেয়েছে,যেগুলো সংক্রান্ত মুহাদ্দিসিনে কেরামদের বিভিন্ন মত আছে।
,   
وأما حديث : ( لكل شيء عروس، وعروس القرآن سورة الرحمن ) فحديث منكر ، انظر : "سلسلة الأحاديث الضعيفة" للألباني (1350).
প্রত্যেক জিনিসের একটি সৌন্দর্য রয়েছে। আর কোরআনের সৌন্দর্য হলো সূরা,আর-রাহমান।
শায়েখ আলবানী রহঃ বলেন উক্ত হাদীস মুনকার। 
,

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত পুরো বিষয় হাদীসে খুজে পাইনি। 

তবে অসংখ্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে আল্লাহ তায়ালা  জান্নাতিদের কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাবেন।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
    
رواه الديلمي عن أبي هريرة مرفوعا: كأن الخلق لم يسمعوا القرآن حين يسمعونه من الرحمن يتلوه عليهم يوم القيامة.
সারমর্মঃ
মাখলুক আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে কিয়ামতের ময়দানে যেই কুরআন তিলাওয়াত শ্রবন করব্র,এমন তিলাওয়াত কোনো দিন শোনেনি।   

رواه أبو نعيم في " صفة الجنة " (270) من طريق الْمُسَيَّبِ بْنِ شَرِيكٍ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ الْبَكْرِيِّ ، عَنْ صَالِحِ بْنِ حَيَّانَ , ثنا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ ، قَالَ : " إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ يَدْخُلُونَ كُلَّ يَوْمٍ مَرَّتَيْنِ عَلَى الْجَبَّارِ تَعَالَى فَيَقْرَأُ عَلَيْهِمُ الْقُرْآنَ ، وَقَدْ جَلَسَ كُلَّ امْرِئٍ مِنْهُمْ مَجْلِسَهُ عَلَى مَنَابِرِ الدُّرِّ وَالْيَاقُوتِ ، وَالزَّبَرْجَدِ ، وَالذَّهَبِ وَالزُّمُرُّدِ كُلًّا بِأَعْمَالِهِمْ ، فَلَمْ تَقَرَّ أَعْيُنُهُمْ بِذَلِكَ ، وَلَمْ يَسْمَعُوا شَيْئًا قَطُّ أَعْظَمَ , وَلَا أَحْسَنَ مِنْهُ ، ثُمَّ يَنْصَرِفُونَ إِلَى رِحَالِهِمْ نَاعِمِينَ قَرِيرَةً أَعْيُنُهُمْ إِلَى مِثْلِهَا مِنَ الْغَدِ " .
সারমর্মঃ
জান্নাত বাসীগন প্রত্যেক দিন দুইবার আল্লাহ তায়ালার কাছে আসবেন,আল্লাহ তায়ালা কুরআন তিলাওয়াত করবেন, প্রত্যেকেই নিজ আমল অনুপাতে স্বর্ণ, ইয়াকুত মতির মেম্বারে বসবে,,,,,

روى عبد الله بن أحمد في "السنة" (1/ 147) من طريق مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ ، قَالَ : " كَأَنَّ النَّاسَ إِذَا سَمِعُوا الْقُرْآنَ ، مِنْ فِي الرَّحْمَنِ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَكَأَنَّهُمْ لَمْ يَسْمَعُوهُ قَبْلَ ذَلِكَ " وهذا مع كونه مقطوعا من قول محمد بن كعب فإسناده ضعيف لضعف ابن عبيدة .
সারমর্মঃ
যখন মানুষেরা মহান আল্লাহর যবান থেকে কুরআন শ্রবন করবে,তখন মনে করবে যে যেনো কোনোদিন ইতিপূর্বে শোনেইনি।,,,   

,
(০৩)
হ্যাঁ এ কথা সঠিক।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
جاء فی بعض الآثار أن مریم و آسیة زوجا رسول اللہ صلی اللہ صلی اللہ علیہ وسلم فی الجنة، أخرج الطبرانی عن سعد بن جنادة قال: قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم إن اللہ زوجني فی الجنة مریم بنت عمران وامرأة فرعون وأخت موسی علیہ السلام وفی ھامشہ: إسنادہ ضعیف (روح المعانی: ۲۸/۴۸۱، دارالحدیث قاہرة)
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আমাকে জান্নাতে মারইয়াম বিনতে ইমরান এবং ফিরআউনের স্ত্রী,এবং মুসা আঃ এর বোনের সাথে বিবাহ করিয়ে দিবেন।

 حدثنا محمد بن نوح بن حرب العسکري ثنا خالد بن یوسف السمتي ثنا عبد النور بن عبد اللہ ثنا یونس بن شعیب عن أبي امامة قال: سمعت رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم یقول لعائشة: أشعرت أن اللہ عزوجل زوجنی فی الجنة مریم بنت عمران وکلثم أخت موسی وامرأة فرعون۔ (المعجم الکبیر: ۸/۲۵۸، ۲۵۹، داراحیاء االتراث العربی) رواہ الطبرانی وفیہ خالد بن یوسف السمتي وہو ضعیف (مجمع الزوائد: ۱۸/۶۲۷، دارالمنہاج جدہ) 
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আমাকে জান্নাতে মারইয়াম বিনতে ইমরান, মুসা আঃ এর বোন কুলছুম এবং ফিরআউনের স্ত্রীর  সাথে বিবাহ করিয়ে দিবেন।
,
(০৪)
নামটি যেনো ইসলাম সম্মত হয়,অনৈসলামিক না হয়,নামের মধ্যে যেনো কোনো রিয়া না থাকে,ইত্যাদি দিক লক্ষ্য করে যেকোনো নাম রাখা যাবে।  
,
(০৫)
হ্যাঁ এতে কোনো সমস্যা নেই।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...