আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
3,091 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
প্রচলিত হাদিসের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই-

প্রচলিত আছে, যারা শুধু আল্লাহকে খুশী করার জন্য এ সূরা টি প্রত্যহ আছরের নামাজের পর পাঠ করবে, তাদের চেহারা নূরানী হবে, স্ত্রী - পুত্র তাবেদার হবে, তার রিজিক বৃদ্ধি পাবে এবং সে ব্যক্তি বেহেশতের হকদার হবে।
এই হাদিসের উপর কি আমল করা যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (713,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি যে হাদীসের কথা উল্লেখ করেছেন, তা সহীহ সনদে বর্ণিত আমরা কোথাও পাইনি। তবে কুরআন তেলাওয়াতের অনেক সওয়াব। তাই সর্বদা কুরআন তেলাওয়াত করা পৃথক একটি ইবাদত। তবে বিশেষ সময়ে নির্দিষ্ট কোনো সূরা পড়ার যত হাদীস রয়েছে, এর অধিকাংশই সনদ হিসেবে দুর্বল।

আল্লাহ তাআলা বলেন :
إِنَّ الَّذِينَ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَأَقَامُوا الصَّلاةَ وَأَنْفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرّاً وَعَلانِيَةً يَرْجُونَ تِجَارَةً لَنْ تَبُورَ، لِيُوَفِّيَهُمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدَهُمْ مِنْ فَضْلِهِ إِنَّهُ غَفُورٌ شَكُورٌ (فاطر:২৯-৩০)
“যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে, আমার দেয়া রিজিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে এমন ব্যবসার যা কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরো অধিক দান করবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।”

 ওসমান রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
(خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ)
“তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যিনি কুরআন মজিদ শিক্ষা করে ও অন্যকে শিক্ষা দেয়।”[২]

কেননা হাদীস শরীফে এসেছে,হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ، وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ» " مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, কুরআন সম্পর্কে বিজ্ঞজনদের হাশর হবে, আ'মলনামা লিখক পবিত্রতম ফিরিস্তাদের সাথে। আর যে ব্যক্তি কোরআন পড়তে আটকে যায় এবং এমন অবস্থায় সে কুরআনকে পড় যে, কুরআনের উচ্ছারণ তার জন্য কষ্টকর লাগে।সে ব্যক্তি দু'টি সওয়াব পাবে।(প্রথম সওয়াব পাবে পড়ার জন্য এবং দ্বিতীয় সওয়াব পাবে কষ্ট করে পড়ার জন্য)(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১১২)দেখুন-(মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-১০/১৭৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...