আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
315 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
edited by

কোনো হারাম কাজ, আল্লাহর নাম দিয়ে শুরু করা কুুফরি। এবং জেনেশুনে করিলে ব্যক্তি কাফের হয় যায়।

যেমন কেউ যদি বলে "আমি যেনায় যাবো ইনশাআল্লাহ্" (না''উযুবিল্লাহ্)।  এই কথা কুফরি তা জেনে শুনে বললে কাফের হয়ে যাবে ঠিক।

কিন্তু আমার মনে একটি প্রশ্ন জাগে বারবার ( নিচের একটি বাস্তবিক উদাহরন এর সাথে বহু কাযে  আমি এরকম ইনশাআল্লাহ্‌, মাশাআল্লাহ্, আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমি বলতে পারবো কি না? আমি সন্দেহে পড়ে যাই))

লক্ষ করুন-

আমি লিডিং ইউনিভারসিটি তে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হবো। কিন্তু আমাদের দেশে তো সহশিক্ষা আছে। তাছাড়া আমার ইঞ্জিনিয়ার হতে  হলে সহশিক্ষা করতে হবে,,কারন এর বিকল্প আমাদের দেশে নাই। 

আবার সহশিক্ষা হারাম। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু দেশে আর কোনো রাস্তা খুলা নেই,,তাই পুরুষ চোখ এর পর্দা আর নারী পরিপূর্ণ পর্দ করে সহশিক্ষা করে নেবে,, অনেক স্কলার বলেন।

 সসহশিক্ষা হারাম। এইকেত্রে আমি কি বলতে পারব 

"ইনশাআল্লাহ্‌, আমি লিডিং ইউনিভারসিটি এ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বো" এইভাবে ইনশাআল্লাহ্‌ বলা কি ঠিক হবে? কেননা,,আমি যেভাবে পড়বো,,তা তো সহশিক্ষা,যা হারাম।   

এইরকম ঘটনা আরোও অনেক জিনিসে প্রশ্ন জাগে। 

তাছাড়া আমি যখন গ্রাজুয়েশন শেষ করে বের হবো তখন কি আমি এভাবে বলতে পারবো যে,, "আলহামদুলিল্লাহ্‌, আমি লিডিং ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করছি" --এখন এভাবে কি শুকরিয়া আদায় করতে পারবো?? --কেননা আমি হারাম তরিকায় সহশিক্ষা সহিত গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি।

 

উপোরক্ত বর্নিত ঘটনা এবং এর সাথে অন্য প্রসংগে মিলিত আরও ঘটনার ক্ষেত্রে কি আমি ইনশাআল্লাহ্‌ আলহামদুলিল্লাহ্‌ মাশাআল্লাহ্ বলতে পারবো কি,,বলা জায়েজ হবে কি??

1 Answer

0 votes
by (718,320 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/434 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১) বিস্তারিত জানতে উপরোক্ত লিংকে ক্লিক করুন।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ইনশা আল্লাহ অর্থ- যদি আল্লাহ চাহে।অর্থাৎ যদি আল্লাহ চায়, তাহলে আমাদের উদ্দেশ্যকৃত বিষয় বাস্তবায়িত হবে।
যেহেতু সহশিক্ষা ব্যবস্থাকে ইসলাম কিছুটা শর্তসাপেক্ষে সমর্থন দিয়েছে,তাই এই সহশিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা গ্রহণের নিমিত্তে ইনশা আল্লাহ এবং আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি বলা যাবে।
তবে শর্তসাপেক্ষ্য ব্যতীত সাধারণত বৈধ মনে করে শিক্ষা গ্রহণের নিমিত্তে ইনশা আল্লাহ বা আলহামদুলিল্লাহ বলার কোনো রুখসত নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (718,320 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...