আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
288 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আলহামদুলিল্লাহ এটা অনেক ভালো লাগে যখন কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সচারাচর  নওমুসলিমদের প্রতি অনেক অত্যাচারের বিবরণ শুনেছি।
কোন অমুসলিম যদি প্রশ্ন করে যে ইসলাম ধর্মের কেউ যখন অন্য ধর্ম গ্রহণ করে তখন মুসলিমরা তার উপর শাস্তি দিবে তাহলে অমুসলিম কেউ ইসলাম গ্রহণ করলেও অমুসলিমরা সেই নওমুসলিমের প্রতি শাস্তি দিবে।

অমুসলিমরা তো বুঝে না। তারা তো না বুঝে কথা বলে। সেকুলার দেশে তাদের এমন দাবির বিপক্ষে জবাব আশা করছি

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলাম মহান ধর্ম,একমাত্র সত্য ধর্ম। 
এই ধর্ম ভূপৃষ্ঠের সর্বস্তরে পৌঁছে যাবে। 

তামিম আদ-দারি (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন: রাত ও দিন যতদূর পৌঁছেছে এ ধর্মও ততদূর পৌঁছে যাবে। কোন পশমনির্মিত তাবু (শহুরে বাড়ী) অথবা মাটির ঘর (গ্রাম্য ঘর) কোনটাই বাদ থাকবে না; আল্লাহ তাআলা সর্বগৃহে এই ধর্মকে প্রবেশ করাবেন। সম্মানীর ঘরে সম্মানের সাথে, অসম্মানীর ঘরে অসম্মানের সাথে। যে সম্মানের মাধ্যমে আল্লাহ ইসলামকে গৌরবময় করবেন এবং যে অপমানের মাধ্যমে আল্লাহ কুফরকে অপমানিত করবেন।[মুসনাদে আহমাদ (১৬৩৪৪)

★মুরতাদকে হত্যা করার বিষয়টি আল্লাহর আদেশেই সংঘটিত হয়ে থাকে। 

যেহেতু আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর রাসূলের আনুগত্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। 
“তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা কর্তৃত্বশীল তাদের আনুগত্য কর” 

★রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুরতাদকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ عَلِيًّا، عَلَيْهِ السَّلَام أَحْرَقَ نَاسًا ارْتَدُّوا عَنِ الْإِسْلَامِ، فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنَ عَبَّاسٍ، فَقَالَ: لَمْ أَكُنْ لِأُحْرِقَهُمْ بِالنَّارِ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تُعَذِّبُوا بِعَذَابِ اللَّهِ، وَكُنْتُ قَاتِلَهُمْ بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلَام، فَقَالَ: وَيْحَ ابْنِ عَبَّاسٍ صحيح

ইকরিমাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। আলী (রাঃ) কিছু সংখ্যক মুরতাদকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) তা জানতে পেরে বলেন, আমি কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী অনুসরণ করে এদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতাম না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কাউকে আল্লাহর শাস্তির উপকরণ দ্বারা শাস্তি দিও না। তবে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য মোতাবেক এদের মৃত্যুদন্ড দিতাম। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজের ধর্ম (ইসলাম) পরিবর্তন করে তোমরা তাকে হত্যা করো। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত এ হাদীস শুনে আলী (রাঃ) বলেন, আহ! ইবনু আব্বাস (রাঃ) সত্য বলেছেন।
(আবু দাউদ ৪৩৫১)

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী “যে ব্যক্তি ধর্ম ত্যাগ করে তাকে হত্যা কর।” [সহিহ বুখারী (২৭৯৪)]। 
হাদিসে ধর্ম দ্বারা উদ্দেশ্য ইসলাম।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- 
“যে মুসলিম ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল’ নিম্নোক্ত তিনটি কারণের কোন একটি ছাড়া তার রক্তপাত করা হারাম: হত্যার বদলে হত্যা, বিবাহিত ব্যভিচারী, দল থেকে বিচ্ছিন্ন-ধর্মত্যাগী।”[সহিহ বুখারি (৬৮৭৮) সহিহ মুসলিম (১৬৭৬)]।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
ইসলাম ধর্মে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম থাকলে দেশের সরকার মুরতাদের শাস্তি কার্যকর করবে।
অন্যান্য ধর্মের মধ্যে কোনো ধর্মেই নিজ ধর্ম অনুযায়ী দেশ পরিচালনার যেহেতু সুযোগ নেই (complete Code of laife না হওয়ার কারনে)  ,তাই তারা কোনো ভাবেই তাদের ধর্ম ত্যাগ কারীদের উপর শাস্তি আরোপ করতে পারেনা।
মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ধর্ম ছেড়ে দিয়ে মিথ্যা ধর্ম পালনের উপরেই তো শাস্তি হবে।
মিথ্যা ধর্ম থেকে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ধর্মে ফিরে আসলে কেনো শাস্তি হবে?

বিবেকবান প্রত্যেকেই নিজ ধর্মের গ্রন্থ গুলো পরিপূর্ণ ভাবে পড়লে একথা মানতে বাধ্য হবে যে একমাত্র ইসলাম  ধর্মই সঠিক।
মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ একজনই,তার ধর্ম একটাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...