আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
312 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক) ইলা পালনের পর চার মাস পরে এম্নিতেই বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর কি আরো তিন হায়েয ইদ্দত পালন করতে হবে মেয়েদের?

খ) নফল ইতিকাফ এমন মসজিদে করা যাবে কি যেখানে ইমাম মুয়াজ্জিন নির্দিষ্ট নাই

গ) চাল বা অন্য শস্য দ্বারা ফিতরা দেওয়া যায়? এইটা কি ইখতিলাফি মাসালা?
ঘ) স্ত্রীকে রোযা রাখা অবস্থায় চুমু খাওয়া বা এ ধরনের কাজ করা কি মাকরুহ?  এক্ষেত্রে মযী বের হলে কি রোযা ভাঙে?
ঙ) পশুর পিঠে আরোহিত অবস্থায় নামাযের সময়, পুরো সময় কি কেবলার দিকে থাকা লাগবে?  পশু চলতে থাকলে কি নামায হবে? (আমি ফিকহুল মুয়াসসারে পড়েছিলাম পশুর পিঠে নামাযের সময় চলতে চলতে যেদিকেই যাক নামায হয়ে যাবে। আবার তাওযীহুল কুরআন প্রথম খণ্ডে সুরা বাকারার আয়াত ২৩৯ এর টীকাতে বলা আছে চলন্ত অবস্থায় পড়া যাবে না। এইটা কি হেঁটে হেঁটে নামায পড়ার কথা বলা তাহলে?)
চ) সুরা বাকারা আয়াত ২৪০ঃ স্বামী মারা গেলে এখনও কি স্বামীগৃহে বিধবার অবস্থান করতে হবে ইদ্দত পর্যন্ত? হানাফি মাযহাব ও অন্য মাযহাব কি বলে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (657,800 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(ক)
হ্যাঁ তারপরেও ইদ্দত পালন করতে হবে।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলো যদি এই চার মাসের মধ্যে পূর্ণ তিন হায়েজ অতিবাহিত হয়ে যায়,তাহলে আর ইদ্দত পালন করতে হবেনা।
,
কিতাবুল ফিকহিল ইসলামি ও আদিল্লাতিহি ৯/৭০৮৯ তে আছেঃ

العدة بعد الإيلاء: اتفقت المذاهب الأربعة على أن الزوجة المولى منها تلزمها العدة بعد الفرقة؛ لأنها مطلقة، فوجب أن تعتد كسائر المطلَّقات. وقال جابر بن زيد وهو مروي عن ابن عباس: لا تلزمها عدة إذا كانت قد حاضت في مدة الأربعة الأشهر ثلاث حيضات؛ لأن العدة إنما وضعت لبراءة الرحم، وهذه قد حصلت لها البراءة
সারমর্মঃ
ইলার ক্ষেত্রে পৃথক হওয়ার পর ইদ্দত আবশ্যক, কেননা সে তালাক প্রাপ্তা, তাই অন্যান্য তালাকপ্রাপ্তা দের ন্যায় তারও ইদ্দত পালন করতে হবে,,।     
,
(খ)
হ্যাঁ, করা যাবে। 

(গ)
এটি মতবিরোধ পূর্ণ মাসয়ালা।
,  
উলামায়ে কেরামগন বলেছেনঃ   সদাকায়ে ফিতর সম্পর্কিত হাদীসগুলো পর্যালোচনা করলে এ বিষয়ে মোট পাঁচ প্রকার খাদ্যের বর্ণনা পাওয়া যায়: যব, খেজুর, পনির, কিসমিস ও গম। এ পাঁচ প্রকারের মধ্যে যব, খেজুর, পনির ও কিসমিস দ্বারা সদকা ফিতর আদায় করতে চাইলে প্রত্যেকের জন্য এক সা’ দিতে হবে। আর গম দ্বারা আদায় করতে চাইলে আধা ‘সা’ দিতে হবে। 

সহিহ বুখারী (১৫১০) ও সহিহ মুসলিমে (৯৮৫)আবু সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে তিনি বলেন:“আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানায় ঈদের দিনএক স্বা খাদ্যদ্রব্য (ফিতরা) হিসেবে প্রদান করতাম। আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন:তখন আমাদের খাদ্য ছিল— যব, কিসমিস, পনির ও খেজুর।” 

অপর এক বর্ণনায় তিনি বলেন: “যখন আমাদের মাঝে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন তখন আমরা ছোট-বড়, স্বাধীন-ক্রীতদাস সবার পক্ষ থেকে যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) হিসেবে এক স্বা’ খাদ্য কিংবা এক স্বা’ পনির কিংবা এক স্বা’ যব কিংবা এক স্বা’ খেজুর কিংবা এক স্বা’ কিসমিস আদায় করতাম।”

তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন বলেনঃ
মানুষ যে যে প্রকারের খাবারকে প্রধান খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে সেসব খাবার দিয়ে ফিতরা প্রদান করা যায়। যেমন- গম, ভুট্টা, চাল, সীমের বিচি, ডাল, ছোলা, ফূল (একজাতীয় ডাল), নূডুলস, গোশত ইত্যাদি। 

(ঘ) 
বীর্যপাত ঘটা বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে স্ত্রীকে চুমু খাওয়া জায়েয,ফোরপ্লে তথা সহবাস ব্যাতিত অন্যান্য কাজ করাও জায়েজ আছে।

তবে কামভাবের সাথে চুমু খাওয়া যাবে না। আর তরুণদের যেহেতু এ আশঙ্কা থাকে তাই তাদের বেঁচে থাকা উচিত।
চুমু খাওয়ার সময় স্ত্রীর থুথু গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
 
মযি বের হলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ  

(ঙ)
ফিকহুল মুয়াসসার এর মাসয়ালা ছহীহ।
হ্যাঁ সেটি হেটে হেটে নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে।
,
(চ)
হ্যাঁ স্বামী গৃহে ইদ্দত পালন করতে হবে।
মাযহাব গত মতবিরোধ নেই।   

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (22 points)
চ এর উত্তর এ , তাফসীরে ইবনে কাসীর এ পেলাম ইচ্ছা করলে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়েও আসা যাবে। তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম কোন মাযহাব কি বলে। কিন্তু আপনি বললেন এরকম কিছু নেই। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...