আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in সাওম (Fasting) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

১. রমাদানে হায়েজ হলে যে রোজাগুলো কাযা রাখতে হয়, এই ব্যাপারে একটা মেয়ে জানতো না। হায়েজ শুরু হওয়ার কিছু বছর পর সে হিদায়াত পেয়েছে, আলহামদু লিল্লাহ। এখন সে বিষয়টা জানে। তাই আগে যে রোজাগুলো রাখে নি, হায়েজের বছর অনুযায়ী হিসাব করে সে আনুমানিক কাযা রোযার হিসাব করেছে। এখন সে অনুযায়ী কাযা রোযা রাখে।
যেহেতু সে আগে হায়েজের কারণে কাযা হওয়া রোযাগুলোর হিসাব রাখতো না আর হায়েয একেকসময় একেক রকম দিনে হতো (কখনো ৫ দিন, কখনো ৬ দিন, কখনো ৭ দিন)

তাই এই আনুমানিক হিসাবের মধ্যে যদি তার কম হয় রোযা, তাহলে কি সে গুনাহগার হবে?
আর আনুমানিক হিসাবের মধ্যে যদি রোযা বেশি হয়ে যায়, তাহলে কোনো সমস্যা হবে?
সঠিকটা তো সে বের করতে পারছে না হিসাব করে।

২. মেয়েটা আশঙ্কা করছে যে, হায়েজ শুরুর প্রথম বছরে সে হায়েজের দিনগুলো ছাড়াও এমনিও কিছু রোযা বাদ দিয়েছে। সে জানতো না, হায়েজ শুরু হলেই রোযা ফরজ আর পরিবারের কেউও তাকে জানায়নি।
তাই যদি হায়েজ ছাড়া কিছু রোযা বাদ গিয়ে থাকে, তাহলে সে কি অানুমানিক হিসাব করে ঐ রোযাগুলোর কাযা রাখবে? নাকি কাফফারা আদায় করতে হবে?

৩. মহিলাদের ক্ষেত্রে ইতিকাফের রুমের সাথে বেলকনি লাগানো থাকলে (যেভাবে এটাচড বাথরুম থাকে) সেই বেলকনিতে কি ইতিকাফ অবস্থায় যাওয়া আাসা বা বসতে পারবে? কারো সাথে কথাবার্তা না বলে? ইসলামিক বই পড়ার জন্য বা জিকির করার জন্য? যেহেতু বেলকনিটা রুমের কোণায় রুমের সাথেই লাগানো এবং খুব ছোট, তাই সেখানে কোনো মানুষজনও যাওয়া আসা করে না।
এতে কি ইতিকাফের ক্ষতি হবে?

৪. মহিলাদের ইতিকাফের রুমের পাশে রান্নাঘর থাকলে, রান্নাঘর থেকে তার মা যদি ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করে, ইফতার আনবে কিনা, খাবার আনবে কিনা বা কিছু লাগবে কিনা, তখন ইতিকাফকারী মহিলা ঘর থেকেই মাকে জবাব দিতে পারবে রান্নাঘরে শোনা যায় মতো?
নাকি মাকে ইতিকাফের রুমে এসে জিজ্ঞেস করে যেতে হবে?

জাযাকুমুল্লাহ খইর।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/2187 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনি যখন থেকে বালিগ হয়েছেন, সেই থেকে যতগুলো রোযা কাযা হয়েছে বলে আপনার অনুমান হবে, সবগুলো রোযা আপনি কাযা করে নিবেন।

(২)
অনুমানের ভিত্তিতে রোযাকে কাযা করবেন।

(৩)
মহিলা ঘরের যে স্থানকে ইতিকাফের জন্য নির্দিষ্ট করবে, বিনা প্রয়োজনে সেই স্থানকে ত্যাগ করে অন্যত্র যেতে পারবে না। সুতরাং মহিলা বেলকনিতে যেতে পারবে না।

(৪)
জ্বী, ইতিকাফ স্থান থেকে উচাছস্বরে জবাব দিতে পারবে।তবে উত্তম হল, মা উঠে এসে ইতিকাফ স্থলেই জিজ্ঞাসা করবেন যে, কিছু লাগবে কি না?


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
শায়েখ, পুরো রুমকেই যদি ইতিকাফ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করে নিয়ত করা হয়, তাহলে কি বেলকনিতে যেতে পারবে?     

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 135 views
...