আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
326 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
আমার একটা বিয়ে প্রপোজাল এসেছে যেখানে ছেলে একজন স্টুডেন্ট । যার ফ্যামিলি অর্থনৈতিক দিক থেকে  আমার ফ্যামিলির দিক থেকে সমান কিন্তু সমস্যা হলো তাদের ফ্যালির কোনো সম্পদ বেশি থাকলেও তাদের কোনো সম্পত্তি নেই ,ছেলের বাবা আলিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল এবং তারা ৪ ভাই । আর আমার বাবা একজন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আমরা ২ভাইবোন আর সম্পত্তির দিকে আমাদের ছেলের তুলনায় বেশি । আর ছেলের বাড়ি আমার বাড়ি থেকে 4/5 ঘন্টার রাস্তা অনেক দূর । আমার ফ্যামিলি মূলত না করছে
1/আপাততো কোনো চাকরি নেই,ভবিষৎে কেমন চাকরি পাবে বা আদতে পাবে কী না সেটা শিউর না(ছেলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র)
2/তার বাড়ি অনেক দূর
3/সম্পত্তির দিক থেকে তারা আমাদের চেয়ে কম ।
[এই সবগুলো কারণ চলে যেতো যদি ছেলেটা সরকারি চাকরিজীবি হতো]

কিন্তু আমি চাই এই সমন্ধটা আগাক কারণ
1/ছেলেটা দ্বীনদ্বার (5 ওয়াক্ত নামায পড়ে)
2/ ছেলের ফ্যামিলিও দ্বীনদার
3/ছেলের মনমানসিকতা আমার জন্য মনে হয়েছে আমার জন্য এটাই সঠিক
কিন্তু আমার এখানে কিছু বিষয়ে দ্বিধা আছে
১\ ছেলেটা আসলে আমার স্যার ছিলো একসময়(সে হিসেবে আমার এটা বুঝে আসছে না তখন তো আমি দ্বীনের বুঝের উপর ছিলাম না কিন্তু স্যারকে শুরু থেকে দ্বীনদ্বার হিসেবে জানি , স্যার তো আমাকে পড়াতো আমার আম্মুর সাথেও কথা বলতো স্বাভাবিকভাবে {এটা কী জায়েজ!! এ ধরনের পাত্র বিয়ে করা কী ঠিক হবে}- এ বেপারে আম্মু জিজ্ঞেস করেছিলো তখন স্যার বলেছে "আন্টি পরীক্ষায় 33 পেলে পাস 80 পেলেও পাস  সেখানে আপনারা তো এতোটা বেপর্দা না)
2/স্যারের যে সাবজেক্ট সেখানে স্যারের ব্যাংকে জবের অফার সবচে ভালো হবে , আম্মা জিজ্ঞেস করেছিলো ব্যাংকে জব করলে মেয়ে(আমি) বলেছে চোখ বন্ধ করে না করে দিতে তখন স্যার বলে "আন্টি ব্যাংকের সব জব যে হারাম সেটা না তবে কিছু হারাম কিছু হালাল আছে"
আদতে এর সত্যতা কী ?
এ বিষয়গুলো নিয়ে আমি দিদ্ধায় আছি কী করবো বুঝতে পারছি না এখানে কী আমি করবো ?
আমি কোনোভাবেই মানতে পারছি না এই সমন্ধটা না করে দেয়া কারণ আমি শুক্রবার খুব করে দোয়া করেছিলাম এটা যদি আমার ইহকাল ও পরকালের জন্য ভালো হয় তবে এটা এগিয়ে যাক সত্যি বলতে এটা অনেকটাই এগিয়ে যায় তখন আমি উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে বারবার দিদ্বায় পড়ছিলাম আর তখন দোয়া করি যে এই সমন্ধটা যদি আমার ইহকাল ও পরকালের জন্য ভালো হয় তবে এটা যেনো কোনো বাধা ছাড়াই এগিয়ে যায় এবং বিয়েটা যেনো তাড়াতাড়ি হয়ে যায় আর আজ সকালে আম্মু বললো আব্বু এই সমন্ধটা না করে দিবে ।
আমার ফ্যামির না করার কারণ কোনো চাকরি নেই(কিন্তু টিউশনি করে একটা ভালো পরিমাণ ইনকাম আছে উনার যতদূর জানি)
আমার হ্যা বলার কারণ শুধুই দ্বীনদারি আর কিচ্ছু না আর আমার বিয়ের সমন্ধটা আসার একমাত্র কারণ শুধুই দ্বীনদ্বারিতা ।
এখন এখানে আমি কী করবো বাবা মার বাধ্য থাকবো নাকি উনাদের উত্তম অপায়ে বুঝানোর চেষ্টা করবো ।

1 Answer

0 votes
by (677,960 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


মা বাবার সর্বদায় আনুগত্য করতে হবে,তাদের কথার নাফরমানী করা যাবেনা।
তাদের সাথে সর্বদায় ভালো ব্যবহার করতে হবে।

তারা কষ্ট পায়,এমন কাজ কখনোও করা যাবেনা।
তাদের হক বা অধিকারসমূহ এবং তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা সন্তানের ওপর ওয়াজিব বা আবশ্যক।

মাতাপিতার দেখভাল করা ও তাদের সাথে উত্তম আচরণ করা শরীয়ত কর্তৃক ফরয ঘোষনা করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

“আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)

আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)

أن جاهمة جاء إلى النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: يا رسول الله، أردت أن أغزو وقد جئت أستشيرك، فقال: «هل لك من أم؟» قال: نعم، قال: «فالزمها، فإن الجنة تحت رجليها»

“হযরত জাহিমাহ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি যুদ্ধে অংশগ্রহণের ইচ্ছা করেছি, আপনার কাছে পরামর্শ নিতে এসেছি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, “তোমার কি মা আছেন?” সাহাবী জবাব দিলেন, “হ্যাঁ!”। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, “তাঁর সেবাকে নিজের উপর আবশ্যক করে নাও। নিশ্চয়ই তাঁর দুই পায়ের নিচে রয়েছে জান্নাত।” (সুনানে নাসাঈ: ৩১০৪)

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার পিতা মাতার কথা মেনে নেওয়াকেই আমরা সাজেস্ট করছি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...