আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in পবিত্রতা (Purity) by (100 points)
reshown by
আমার সাধারণত হায়েজ ৭দিন থাকে,
লাস্ট ৩০ জুন হায়েজ সমাপ্ত হয়,এই হায়েজের সময়সীমা ছিল ৮দিন,শেষের দিনে খুবই অল্প রক্ত বের হয়েছিলো।

কাল ১৩ তারিখ মাগরিবের আগে মাসিকের রাস্তা দিয়ে সামান্য রক্ত বের হতে দেখতে পাই, ইস্তিহাজা ভেবে আসর মাগরিব এশা সব ই আদায় করেছি এবং গতদিন কাযা রোজা রেখেছিলাম সেটাও ভাঙিনি,কন্টিনিউ করেছি ইফতার পর্যন্তই।

আজ ১৪ তারিখ ফজর ও আদায় করেছি, কিন্তু সকাল ৭টার পর থেকে বেশি পরিমাণে রক্ত বের হওয়া শুরু হয় এবং সাথে অনেক পেট ব্যাথা। মাসিকের প্রথমদিনে আমার যেমন প্রচুর পেট ব্যাথা করে তেমন ব্যথা হচ্ছে আর রক্ত ও অনেক বেরোচ্ছে।


আমার জানামতে ইস্তিহাযাতে রক্তের পরিমাণ সামান্য হয়,মাসিকের রক্তের মতো প্রবাহিত রক্ত হয় না।


এখন আমার প্রশ্ন হলোঃ


১। সর্বশেষ হায়েজ সমাপ্ত হওয়ার পর আজ ১৪ তম দিন চলছে কিন্তু মাসিকের প্রথমদিনের মতো রক্ত আসছে আর অনেক পেট ব্যথা করছে, আমি কি তবু একে ইস্তিহাজা ধরে নামায পড়ব?

২। যদি আমি একে ইস্তিহাজা ধরি তাহলে আমি হায়েজের গণনা কি ১৫ তম দিন থেকেই করব নাকি ১৫ তম দিনেও ইস্তিহাযা ভেবে ১৬ তম দিন থেকে হায়েজ গণনা করব?

৩। মাসিকে অনিয়ম হচ্ছে,এরকন প্রায়ই নামায পড়বা কিনা এই সংকটে পড়ছি, এমতাবস্থায় যদি কোথাও থেকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে( যেমন আপনাদের কাছে এই ওয়েবসাইটে) উত্তর আসতে সময় লাগে আর নামাযের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে কি সন্দেহ নিয়েই নামায পড়ে ফেলব?
৪। গতদিনের রোযা ভাঙিনি ইস্তিহাযা ভেবে, গতদিনের রোযা কি আদায় হয়েছে?
closed

1 Answer

0 votes
by (712,880 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যেহেতু ১৫ দিন অতিবাহিত হয়নি,তাই এ রক্ত আপনার হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না বরং এটা ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।

(২)
১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ১৬ তম দিন থেকে আপনি হায়েয গণ্য করবেন।

(৩)
জ্বী,সংশয় ও সন্দেহের কারণে নামায ত্যাগ করা যাবে না।হায়েযের ইয়াকিন বিশ্বাস হওয়ার পরই কেবল নামাযকে ত্যাগ করতে হবে।

(৪)
জ্বী,আদায় হয়েছে।যেহেতু সে সময় আপনার হায়েয হয়নি।

কারো যদি নিয়ম থাকে যে, মাসে ৭ দিন হায়েয আসা।এবং যেকোনো কারণে পরবর্তীতে সেই নিয়ম বদলে ৩ দিন হয়ে যায,তাহলে হায়েয তিন বলেই গণ্য হবে।এই তিন দিন অতিবাহিত হয়ে যে নামাযের ওয়াক্তে রক্ত বন্ধ হবে, সে নামাযের আখের ওয়াক্তে গোসল করে উক্ত নামায পড়বে।(আহসানুল ফাতাওয়া;২/৬৮) ঠিক তেমনি হায়েয যদি ৭দিন অতিক্রম করে যায়,তাহলে সর্বোচ্ছ দশ দিন পর্যন্ত হায়েয গণ্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...