আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in পবিত্রতা (Purity) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার স্ত্রীর হায়েজ শেষ হওয়ার ১৪ তম দিন থেকে আবার রক্ত আসছে কিন্তু সেটা নেপকিন পর্যন্ত আসছে না। টিস্যু বা সাদা কাপড় দিয়ে চেক করলে কখনো  স্রাবযুক্ত আবার কখনো হালকা লাল রক্ত দেখা যাচ্ছে যা বাহিরে আসছে না। আজকে ১৬ তম দিন। আজকেও রক্ত আছে কিন্তু বাহিরে আসছে না, ন্যাপকিন সাদা। তার অভ্যাস অনুযায়ী কখনো এত তাড়াতাড়ি তার আবার হায়েজ শুরু হয় না। উল্লেখ্য রক্ত আসার আগের দিন রাতে সহবাসের সময় সে বেশ জোরেই ব্যাথা পেয়েছিল কিন্তু সেই সময় কোনো ব্লিডিং হয়নি।
১। এখন এটা কী তার হায়েজ নাকি ইস্তিহাযা?
২। রক্ত আছে কিন্তু ন্যাপকিন সাদা এমন যদি অন্যান্য দিনেও হয় তাহলে কী সে নামাজ, রোজা, কুরআন তিলাওয়াত চালিয়ে যাবে??
৩। ইস্তিহাযা হলে কী সে মসজিদে মহিলাদের জামাতে নামায পড়তে পারবে?
৪। হায়েজ হওয়ার শর্তে কী রক্ত বাহিরে বের হওয়া জরুরি? অর্থাৎ রক্ত বের হয়ে ন্যাপকিনে বা কাপড়ে  লাগলে তখন সেটা হায়েয বলে গণনা করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এটা যেহেতু বাহিরে আসছেনা,ন্যাপকিন সাদা দেখা যাচ্ছে।
সুতরাং এটি হায়েজ নয়।
এসময়ে নামাজ রোযা চালিয়ে যেতে হবে।

(০২)
হ্যাঁ, সে এমতাবস্থায় সে নামাজ, রোজা, কুরআন তিলাওয়াত চালিয়ে যাবে।

(০৩)
হ্যাঁ, পারবে।

তবে মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ যেহেতু হানাফি মাযহাব মতে মাকরুহে তাহরিমি। 
তাই বাসাতেই নামাজ পড়ার পরামর্শ থাকবে।

তবে ভিন্ন মত অনুসারী হলে সেক্ষেত্রে সে সেভাবে আমল করতে পারে।

(০৪)
হায়েজ হওয়ার শর্তে রক্ত বাহিরে বের হওয়া জরুরি। অর্থাৎ রক্ত বের হয়ে ন্যাপকিনে বা কাপড়ে লাগলে তখন সেটা হায়েয বলে গণনা করতে হবে।
এবং তাহা নুন্যতম তিনদিন তিন রাত ধরে বের হতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 140 views
0 votes
1 answer 86 views
...