আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
119 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম
হালাল হারাম উপার্জন ও ভক্ষণের নীতিমালা সম্পর্কে গুরুত্ব পুর্ণ প্রশ্ন
১.যে মিথ্যা বলে, পণ্যের দোস গোপন করে ব্যবসা করে, তার দেয়া খাবার গ্রহণ, কুরবানীর গোশত নেয়া যাবে কি
এবং এমন ব্যাক্তির অধীনে চাকরি বা কাজ করা জাবে কি

করলে কি বেতন halal হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
 
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) ، 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৬)

ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : ( مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃযে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মিথ্যা বলা, ধোক দেওয়া, প্রতারণা করা এবং পণ্যর দোষ লুকিয়ে রাখা সবকিছুই হারাম ও নাজায়েয। এবং যে ইনকাম করা হবে তাও হারাম ইনকাম বলে বিবেচিত হবে। এমন ব্যক্তি অধীনে চাকুরী করলে যদি সে মিথ্যা বলতে বাধ্য করে তাহলে এমন চাকুরী করাও জায়েয হবে না। হ্যা, যদি সে কর্মচারীদেরকে মিথ্যা বলতে বাধ্য না করে, এবং কর্মচারীও মিথ্যা না বলে, তাহলে উক্ত চাকুরী বাবৎ যে বেতন নেওয়া হবে, তা অবশ্যই হারাম হবে না। তবে এর চেয়ে উত্তম চাকুরী তালাশ করা জরুরী। যতদিন না এর চেয়ে ভালো কোনো চাকুরীর ব্যবস্থা হচ্ছে, ততদিন উক্ত মালিকের অধীনে চাকুরী করা যাবে। কেননা এখানে ঐ কর্মচারী সে তার কাজের বিনিময় হিসেবে বেতন গ্রহণ করছে, তা নাজায়েয হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...