১৷ আমার আব্বু হজ্জ করে এসেছেন, খুবই ধার্মিক৷ তবে ওনার ময়লা-আবর্জনা বিষয়ে ঘৃণা কম৷ যেমন খালি হাত দিয়ে তেলাপোকা, পোকা মেরে ফেলেন; মশা মেরে হাতে মশার দাগ লাগলেও গুরুত্ব দেন না বা হাতে পানি দেন না৷ এরপর হয়ত শুধু পানি দিয়েই ধুয়ে ফেলেন৷ অন্যদিকে আমার ওয়াসওয়াসাজনিত সমস্যা আছে৷ এজন্য তার ধরা প্রতিটি জিনিস ধরতে আমি বারবার মানসিকভাবে বাধাগ্রস্ত হই, মনে হয় তাতে ময়লা বা নাপাক লেগে আছে৷ উদাহরণস্বরুপ ওনার মোবাইল আমি হাতে নিলে হাত ধুয়ে ফেলি৷ কিংবা ঘরের সুইচে টিপ দিলে আমি টিস্যু দিয়ে মুছি বা আমার হাত ধুয়ে ফেলি৷ এমনকি টিভির রিমোট হাতে নিলেও আমি আমার হাত ধুয়ে ফেলি৷ ওনার রুমে ঢুকেও কোনকিছু ধর‍তে দ্বিধায় পড়ি। এছাড়া উনি বেসিনে হাত ধোবার সময় দেখা যায়, ময়লা হাত দিয়ে বেসিন ধরে ঐ হাতে সাবান নিয়ে হাত পরিস্কার করে আবার একি হাত দিয়ে বেসিন বন্ধ করেন৷ এজন্য আমার সন্দেহ বেশি হয়৷ যদিও দৃশ্যমান নাপাক চোখে পড়ে না৷
এ সমস্যা আমার আগে ছিল না৷ তবে বর্তমানে করোনার সময়ে হাত ধোয়ার কারণে হয়ত আমার শুচিবায়ু বিষয়টা মনে গেথে আছে। আমার জীবানু নিয়ে ভয় নেই৷ তবে মনে হয়, তার হাতে বেখেয়ালবশত যদি নাপাক/ময়লা থেকে যায়, তবে আমার হাত ও নাপাক হবে কিনা৷ কারণ আমি হাত মুখে বা চোখে দি বারবার৷ যদিও উনি ধর্ম সম্পর্কে সচেতন, তবুও আমার মনে খুব সন্দেহ হয়৷ তাই এটা নিয়ে মানসিক সমস্যায় আছি, বাসার সবাই ও জেনে গেছে আমার আচরণে, তারা আমার উপর বিরক্ত, নিজেও হতাশ৷
এখন প্রশ্ন হল, আমি এ হাত ধোয়ার বিষয়টা কি পুরোপুরি বাদ দেবো‌! মানে তার হাতে যদি অসাবধানতাবশত নাপাক থেকে যায়, তার দায়ে কি আমার হাত ও নাপাক হবে? উনি রিমোট ধরলে বা সুইচ চাপলে এটা কি ইগ্নোর করে যাবো? মানসিক সমস্যা থেকে উত্তরণ চাই৷
২৷ কোন মহিলা যদি ঘর মোছা বা ঝাড় দেবার সময় রুমের বাতাস বন্ধ করতে ফ্যানের সুইচ চাপে তবে ঐ হাত দিয়ে সুইচ ধরার কারণে সুইচ কি নাপাক হবে, মোছার দরকার আছে?
৩৷ নখ কাটার ৩-৪ দিন পর যে পরিমাণ নখ বড় হয়, এর ভিতরে নাপাক ঢুকলে করণীয় কি? আমি বাথরুমে টিস্যু দিয়ে মোছার সময় সন্দেহ হয় ৩-৪ দিনের নখের মধ্যে নাপাক ঢুকে গেল কিনা! এতটুকু নখ তো কাটা যায় না, তাই হাতে সাবান নিয়ে ওই নখের ভিতর অন্য নখ ঢুকিয়ে পরিস্কার করার চেষ্টা করি৷ এরপর পানি দিয়ে দি, এ পন্থা কি ঠিক আছে?
৪৷ যে জিনিসের উপর দিয়ে মশা, মাছি বা টিকটিকি চলাচল করে সেখানে হাত দিলে কি হাত ধোয়ার প্রয়োজন আছে?