আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
349 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামুয়ালাইকুম
আমি মেডিকেল এ পরি।আমাদের   1st year  এ মানবদেহের কংকাল লাগে।সে জন্য আমি কংকাল কিনেছিলাম। আমার এখন সে কংকাল দরকার নাই।
১.আমি কি তা যে দাম এ কিনেছিলাম তা দিয়ে বিক্রি করতে পারব?

২.অনেক মুফতিগন মত দিয়েছেন এটা হারাম।কিন্তু আমি এটা নিয়ে ত ব্যবসা করছি না বা লাভ ও নিছিনা।অই টাকা টা আমি আমার কোন প্রয়োজন এ লাগাতে পারব।আমি মধ্যেবিত্ত।টাকা টা আমার লাগবে।আমি কি করব এ ক্ষেত্রে?

৩.একটা সমাধান দরকার। কারন আমরা পরিবার এর জন্য টাকা টা দরকার। এ টাকা টা হলে আমার এর জন্য উপকার হই

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)

 

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

 মানুষ জীবিত হোক বা মৃত হোক সর্বদা মানুষকে সম্মান করতে হবে,তাকে অপদস্থ করা যাবে না । মূত্যু পরবর্তী জানাযা সম্পন্ন হওয়ার পর মানুষকে দাফন করাই আল্লাহর বিধান। এমনকি লাশের যে অংশকে পাওয়া যাবে তাকেও দাফন করা।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

 ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﻛَﺮَّﻣْﻨَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺁﺩَﻡَ

নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি।(সূরা বনী ঈসরাঈল-৭০)

 

মৃত ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা জরুরি।

 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللّهِ ﷺ قَالَ: كَسْرُ عَظْمِ الْمَيِّتِ كَكَسْرِه حَيًّا

 

আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গা, জীবিতকালে তার হাড় ভাঙারই মতো। (আবূ দাঊদ ৩২০৭ )

 

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেছেন, কোনো মুমিন ব্যক্তিকে তাঁর মৃত্যুর পর কষ্ট দেওয়া তেমনই যেমন জীবিত অবস্থায় তাকে কষ্ট দেওয়া। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১১৯৯০)

 

সুতরাং মেডিকেল শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার কাজে মানব কঙ্কাল ব্যবহার করা নাজায়েজ।

এতে মৃত দেহকে কষ্ট দেওয়া ও তার অবমাননা করা হয়।

 

তারা বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে।

যেমন ছবির মাধ্যমে শিখতে পারে,বা অন্য কিছু দিয়ে সেইরকম কোনো কংকালের মতো কিছু তৈরী করে সেটা ব্যবহার করতে পারে। 

আরো বিস্তারিত জানুন -https://ifatwa.info/14298/

মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অন্য কোনো অংশ ক্রয়-বিক্রয় করা ইসলামী শরিয়তে হারাম ও নিষিদ্ধ।

 

আরব-অনারবের কোনো আলেম এ মাসআলার ক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করেননি। সবার ঐকমত্যে মানব অঙ্গ বেচাকেনা করা হারাম।

 

কারণঃ

বেচাকেনা বৈধ হওয়ার জন্য বস্তুর মালিকানা স্বত্বের অধিকারী হওয়া অপরিহার্য। ইসলামী শরিয়ত মতে মানুষ তার দেহের মালিক নয়। বরং এটি আল্লাহর পবিত্র আমানত। তার মালিকানা বহির্ভূত বস্তু ক্রয়-বিক্রয় করা ও দান করা হারাম।

 

মানুষ 'আশরাফুল মাখলুকাত'। তাই তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও অত্যন্ত সম্মানিত বস্তু। কাজেই সাধারণ খেলনা ও পণ্য সামগ্রীর মতো মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্রয়-বিক্রয় করা নিষিদ্ধ।

 

আরো বিস্তারিত জানুন –  https://www.ifatwa.info/1183/

আরো বিস্তারিত জানুন – https://ifatwa.info/8056/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে  মানব কঙ্কাল বিক্রয় করা কোন অবস্থায় আপনার জন্য জায়েজ হবে না । সুতরাং আপনি উক্ত কঙ্কালটি মাটিতে দাফন করে ফেলবেন । বিক্রি বা কাউকে দান করতে পারবেন না।

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
আসসালামু আলাইকুম, কঙ্কালটি আমি বিক্রি করে দিয়েছি। তখন এ সম্পর্কে জানতাম না । এখন আমার করণীয় কি

by (63,560 points)
আপনি  যতটাকার বিনিময়ে কঙ্কালটি বিক্রি করেছেন তা ক্রেতাকে দিয়ে কঙ্কালটি ফেরত নিয়ে কোথাও দাফন করে ফেলবেন।
by
সে তো এখন দিতে চাইবে না আর পার্টনার ও দিবে না। সম্পূর্ণ টাকা আমার একা না। তাছাড়া পড়ার জন্য তার ও তো লাগবে

by (6 points)
কাউকে দান না করে সব যদি দাফন করে দেয়া হয়, তাহলে আগামিতে নতুন যারা মেডিকেলে পড়তে আসবে ওরা তখন কিভাবে পড়াশোনা করবে? ওরা বোন্স কোথায় পাবে,প্লাস্টিক বোন্স ও সহজলভ্য না,
by (63,560 points)
একজনের পক্ষে প্লাস্টিক বোন্স ক্রয় করা বা সংগ্রহ করা সম্ভবপর না হলে কয়েকজন মিলে তা করতে পারে৷

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...